সংবাদ শিরোনাম ::
তারেক রহমানের একত্রিশ দফার লিফলেট বিতরণ করেন আব্দুস সালাম তুহিন  চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ এর বিএনপির এমপি পদপ্রার্থী ইঞ্জিঃ মাসুদের বাড়ি -বাড়ি গিয়ে ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ ভুয়া ফেসবুক পেইজে গুজব ছড়ানোর প্রতিবাদ মহারাজপুর ইউপি চেয়ারম্যান রাজনের সুশাসনের ডাক: রাজশাহী-৫ এ জামায়াত প্রার্থী নুরজ্জামান লিটনের গণসংযোগ ও সমাবেশ। গোদাগাড়ীতে আটক সোনার বারকে ঘিরে ধোঁয়াশা তানোরে কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের মিলন মেলা নাইস গার্ডেন পার্কে অনুষ্ঠিত হবে আপনারা সকলে আমন্ত্রিত! গোমস্তাপুর আড্ডা থেকে নিখোঁজের দেড় মাসেও সন্ধান মেলেনি আজাহারের রাজশাহী-৬: বিএনপির মনোনয়ন যুদ্ধে এগিয়ে কে? বিদ্যুৎ সার্কিটে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে জামায়াতের সহায়তা প্রদান 📰 রাজশাহী-৫ আসনে গণজোয়ার: বেলপুকুরে জামায়াত প্রার্থীর নির্বাচনী প্রচারণা

ঝালকাঠি সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কে জিম্মি করে হত্যার চেষ্টা অভিযোগে অ্যাম্বুলেন্স চালক শাহাদাৎ আটক

ইমাম বিমান
  • আপডেট সময় : ১২:৫৯:৪৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৫ ৭৬ বার পড়া হয়েছে
আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ঝালকাঠি সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কে জিম্মি করে হত্যার চেষ্টা অভিযোগে অ্যাম্বুলেন্স চালক শাহাদাৎকে আটক করেছে থানা পুলিশ। ১২ জানুয়ারী রবিবার দুপুর আনুমানিক ১টার সময় তত্ত্বাবধায়ক ডাক্তার শামীম আহমেদকে কথা আছে বলে পাশের রুমে নিয়ে মারধর করে এবং হত্যার হুমকি দিয়ে রুমে তালা লাগিয়ে দেয় অ্যাম্বুলেন্স চালক শাহাদাৎ।

এ বিষয় তত্ত্বাবধায়ক বলেন, শাহাদাৎ হোসেন আমাকে বলেন, স‍্যার আপনার সাথে আমার কথা আছে একটু শুনেন। তখন আমি পাশের রুমে গেলে রুমের দরজা আটকে আমাকে হেনস্থা করে এবং হত‍্যার হুমকি দেয়।

এ বিষয় তত্ত্বাবধায়ক কে প্রশ্ন করা হলে কেন আপনার কর্মচারী অ্যাম্বুলেন্স চালক আপনাকে হত্যার হুমকি দিবে ? জবাবে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কে ডা: শামীম আহমেদ বলেন, ড্রাইভার এর চাকরি চুক্তি ভিত্তিক থাকায় তার মেয়াদ শেষ হয়েছে এছাড়াও গত ১৪ ডিসেম্বর সদর হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্সের টুলবক্স থেকে ডিবি পুলিশ ৩৭পিস ইয়াবা উদ্ধার করে কিন্তু অজ্ঞাত কারণে চালক শাহাদাৎকে আটক করেনি। তার কাছ থেকে অ্যাম্বুলেন্স রেখে দেওয়া হয়েছে। তাই সে ক্ষিপ্ত হয়ে আমার উপর হামলা চালায় এবং হত্যার হুমকি দেয়।

তত্ত্বাবধায়ক ডাক্তার শামীম আহমেদ থানায় লিখিত অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেন ইতিমধ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর হতে তার চাকরির মেয়াদ শেষ হয়েছে। তার নিকট পাওনা এম্বুলেন্স পরিবহন বাবদ সরকারি ইউজার ফি জমা প্রদানের জন্য চিঠি দেওয়া হয়েছে তিনি দুই মাস পর্যন্ত সরকারি টাকা জমা দেননি।

হাসপাতালে অফিসার্স কোয়াটার অবৈধভাবে রুম দখল করিয়া মাদক সেবন ও মাদকের কর্মকাণ্ড করেন যাহা তাহার কর্মকাণ্ডে ও চলা প্রায় সন্দেহ হয়েছে। ইতিপূর্বে তিনি পুলিশের নিকট ইয়াবাসহ ধরা পড়েন, গত ১১ জানুয়ারি আমাকে হুমকি প্রদান করেন এবং আমার সরকারি বাসভবনের বিভিন্ন স্থাপিত সিসি ক্যামেরা নষ্ট করেন যা তার আচরণে প্রমাণিত হয়। বিকেল পাঁচটার দিকে তত্ত্বাবধায়ক ডাক্তার শামীম আহমেদ হাসপাতালে যে কক্ষে অ্যাম্বুলেন্স চালক শাহাদাৎ ছিলেন সেই রুমে তিনি সিলগালা করে দেয়।

এ বিষয় পুলিশ হেফাজতে থাকা সদর হাসপাতালের সাবেক অ্যাম্বুলেন্স চালক মাদকসেবি ও মাদকব্যবসায়ী শাহাদাৎ বলেন, আমার কাছ থেকে তত্ত্বাবধায়ক অ্যাম্বুলেন্সের চাবি নিয়ে গিয়ে আমাকে বলে তোমার চাকরি নেই। দুইবছর ধরে আমাকে মানষিক টর্চার করে। আমি তাকে রুমের মধ্যে নিয়ে তাকে বুঝাতে গেলে আমাকে হাসপাতালের স্টাফ মিলে মারধর করে। এছাড়াও তিনি আরো বলেন, আমি সরকারের পার্সনাল একজন ব্যক্তি আমি সরকারকে ইনকাম করে দিচ্ছি। কিন্তু তত্ত্বাবধায়ক আমাকে গ্রেফতার করিয়েছেন।

অপরদিকে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্স সেবা গত বুধবার থেকে বন্ধ থাকায় চরম ভোগান্তিত পরে জনগণ সরকার নির্ধারিত ৪০০ টাকার ভাড়া থাকলেও বিপদগ্রস্তরা রোগী নিতে বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্সে দিতে হচ্ছে ১৫০০ থেকে ২০০০ টাকা।

অ্যাম্বুলেন্স বন্ধের বিষয় তত্ত্বাবধায়ক বলেন ড্রাইভারের চাকরি নেই আর আমার এখানে অন্য কোন ড্রাইভার নেই তাই অ্যাম্বুলেন্স সেবা বন্ধ রয়েছে। উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়েছি খুব দ্রুত সমস্যা সমাধান হবে এবং ড্রাইভার আসবে। পাশাপাশি বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স মালিকদের বলছি আপনারা জনগণকে জিম্মি করে অতিরিক্ত অর্থ নিবেন না।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

ঝালকাঠি সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কে জিম্মি করে হত্যার চেষ্টা অভিযোগে অ্যাম্বুলেন্স চালক শাহাদাৎ আটক

আপডেট সময় : ১২:৫৯:৪৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৫

ঝালকাঠি সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কে জিম্মি করে হত্যার চেষ্টা অভিযোগে অ্যাম্বুলেন্স চালক শাহাদাৎকে আটক করেছে থানা পুলিশ। ১২ জানুয়ারী রবিবার দুপুর আনুমানিক ১টার সময় তত্ত্বাবধায়ক ডাক্তার শামীম আহমেদকে কথা আছে বলে পাশের রুমে নিয়ে মারধর করে এবং হত্যার হুমকি দিয়ে রুমে তালা লাগিয়ে দেয় অ্যাম্বুলেন্স চালক শাহাদাৎ।

এ বিষয় তত্ত্বাবধায়ক বলেন, শাহাদাৎ হোসেন আমাকে বলেন, স‍্যার আপনার সাথে আমার কথা আছে একটু শুনেন। তখন আমি পাশের রুমে গেলে রুমের দরজা আটকে আমাকে হেনস্থা করে এবং হত‍্যার হুমকি দেয়।

এ বিষয় তত্ত্বাবধায়ক কে প্রশ্ন করা হলে কেন আপনার কর্মচারী অ্যাম্বুলেন্স চালক আপনাকে হত্যার হুমকি দিবে ? জবাবে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কে ডা: শামীম আহমেদ বলেন, ড্রাইভার এর চাকরি চুক্তি ভিত্তিক থাকায় তার মেয়াদ শেষ হয়েছে এছাড়াও গত ১৪ ডিসেম্বর সদর হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্সের টুলবক্স থেকে ডিবি পুলিশ ৩৭পিস ইয়াবা উদ্ধার করে কিন্তু অজ্ঞাত কারণে চালক শাহাদাৎকে আটক করেনি। তার কাছ থেকে অ্যাম্বুলেন্স রেখে দেওয়া হয়েছে। তাই সে ক্ষিপ্ত হয়ে আমার উপর হামলা চালায় এবং হত্যার হুমকি দেয়।

তত্ত্বাবধায়ক ডাক্তার শামীম আহমেদ থানায় লিখিত অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেন ইতিমধ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর হতে তার চাকরির মেয়াদ শেষ হয়েছে। তার নিকট পাওনা এম্বুলেন্স পরিবহন বাবদ সরকারি ইউজার ফি জমা প্রদানের জন্য চিঠি দেওয়া হয়েছে তিনি দুই মাস পর্যন্ত সরকারি টাকা জমা দেননি।

হাসপাতালে অফিসার্স কোয়াটার অবৈধভাবে রুম দখল করিয়া মাদক সেবন ও মাদকের কর্মকাণ্ড করেন যাহা তাহার কর্মকাণ্ডে ও চলা প্রায় সন্দেহ হয়েছে। ইতিপূর্বে তিনি পুলিশের নিকট ইয়াবাসহ ধরা পড়েন, গত ১১ জানুয়ারি আমাকে হুমকি প্রদান করেন এবং আমার সরকারি বাসভবনের বিভিন্ন স্থাপিত সিসি ক্যামেরা নষ্ট করেন যা তার আচরণে প্রমাণিত হয়। বিকেল পাঁচটার দিকে তত্ত্বাবধায়ক ডাক্তার শামীম আহমেদ হাসপাতালে যে কক্ষে অ্যাম্বুলেন্স চালক শাহাদাৎ ছিলেন সেই রুমে তিনি সিলগালা করে দেয়।

এ বিষয় পুলিশ হেফাজতে থাকা সদর হাসপাতালের সাবেক অ্যাম্বুলেন্স চালক মাদকসেবি ও মাদকব্যবসায়ী শাহাদাৎ বলেন, আমার কাছ থেকে তত্ত্বাবধায়ক অ্যাম্বুলেন্সের চাবি নিয়ে গিয়ে আমাকে বলে তোমার চাকরি নেই। দুইবছর ধরে আমাকে মানষিক টর্চার করে। আমি তাকে রুমের মধ্যে নিয়ে তাকে বুঝাতে গেলে আমাকে হাসপাতালের স্টাফ মিলে মারধর করে। এছাড়াও তিনি আরো বলেন, আমি সরকারের পার্সনাল একজন ব্যক্তি আমি সরকারকে ইনকাম করে দিচ্ছি। কিন্তু তত্ত্বাবধায়ক আমাকে গ্রেফতার করিয়েছেন।

অপরদিকে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্স সেবা গত বুধবার থেকে বন্ধ থাকায় চরম ভোগান্তিত পরে জনগণ সরকার নির্ধারিত ৪০০ টাকার ভাড়া থাকলেও বিপদগ্রস্তরা রোগী নিতে বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্সে দিতে হচ্ছে ১৫০০ থেকে ২০০০ টাকা।

অ্যাম্বুলেন্স বন্ধের বিষয় তত্ত্বাবধায়ক বলেন ড্রাইভারের চাকরি নেই আর আমার এখানে অন্য কোন ড্রাইভার নেই তাই অ্যাম্বুলেন্স সেবা বন্ধ রয়েছে। উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়েছি খুব দ্রুত সমস্যা সমাধান হবে এবং ড্রাইভার আসবে। পাশাপাশি বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স মালিকদের বলছি আপনারা জনগণকে জিম্মি করে অতিরিক্ত অর্থ নিবেন না।