তানোরে গভীর নলকুপে বখাটে যুবকের হানা

- আপডেট সময় : ০৫:৩৮:৩৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ ২৫ বার পড়া হয়েছে

সোহানুল হক পারভেজ রাজশাহী বিভাগীয় :
রাজশাহীর তানোর পৌরসভার তালন্দ উপরপাড়া মাঠে বিএমডিএ’র একটি গভীর নলকুপ জবরদখলের অভিযোগ উঠেছে।এ ঘটনায় অপারেটর মোমতাজুল ইসলাম বাদি হয়ে আয়েস উদ্দিনের বিরুদ্ধে বিএমডিএ তানোর জোনের সহকারী প্রকৌশলীর কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন। এনিয়ে স্কীমের কৃষকদের মাঝে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
জানা গেছে, তানোর পৌরসভার জেল নম্বর ১৫৬, তালন্দ মৌজার ১৭১ নম্বর
দাগে অবস্থিত গভীর নলকুপের, বৈধ অপারেটর তালন্দ উপরপাড়া মহল্লার মৃত হাজী সোলাইমানের পুত্র মোমতাজুল ইসলাম। কিন্ত্ত একই মহল্লার মৃত শাহজাহান আলীর পুত্র বখাটে আয়েস উদ্দিন দেশীয় অস্ত্র সজ্জিত বহিরাগত ভাড়াটিয়া বাহিনী নিয়ে গভীর নলকুপ জবরদখল করেছে।
আয়েস হাতে বড় সাইজের ধারালো হাঁসুয়া নিয়ে ডিপ চালাচ্ছে,কেউ বাধা দিতে গেলে তাকে সেখানেই পুঁতে রাখা হবে বলে হুমকি দিচ্ছে।
এদিকে ওই গভীর নলকুপ স্কীমে প্রায় দেড়শ’ বিঘা জমি রয়েছে। এসব জমির সিংহভাগ অপারেটর মোমতাজুল ও তার আত্মীয় স্বজনদের। কিন্ত্ত যারা অবৈধভাবে নিয়ন্ত্রণ করছে স্কীমে তাদের তেমন কোনো জমি নাই। অবৈধ দখলদারদের প্রতিহত করা না হলে যেকোনো সময় অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটতে পারে বলে কৃষকেরা শঙ্কিত।
সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে গভীর নলকুপ অপারেটর নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এতে ওই গভীর নলকুপে একাধিক কৃষক আবেদন করেন। কিন্ত্ত যাচাই-বাছাই ও মৌখিক পরীক্ষা শেষে মোমতাজুলকে অপারেটর নিয়োগ দেন বিএমডিএ কর্তৃপক্ষ।তবে আয়েস বাহিনী বৈধ অপারেটরকে গভীর নলকুপে যেতে দিচ্ছেন না।আবার তিনি কৃষকদের কাছে থেকে বিঘা প্রতি দেড় হাজার টাকা করে সেচ চার্জ আদায় করেছেন। এতে সেচ নিয়ে বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়ায় ফসলহানির আশঙ্কায় কৃষকেরা শঙ্কিত হয়ে পড়েছে।
কৃষকেরা বলেন, আয়েস অপারেটর না হয়েও জোরপুর্বক কৃষকের কাছে সেচ চার্জ আদায় করছেন। তারা বলেন,বৈধ অপারেটরকে দায়িত্ব বুঝে দেয়া না হলে যেকোনো সময় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটতে পারে। এবিষয়ে তারা আইন প্রয়োগকারী সংস্থার উর্ধতন কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এবিষয়ে জানতে চাইলে বিএমডিএ তানোর জোনের সহকারী প্রকৌশলী জামিনুর রহমান বলেন, এবিষয়ে বিস্তারিত খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।এবিষয়ে জানতে চাইলে আয়েস উদ্দিন বলেন, ওই ডিপ গ্রামের মসজিদের নামে চালানো হবে তাই তিনি দখল করেছেন।তিনি বলেন, অফিস টাকা খেয়ে মোমতাজুলকে অপারেটর করেছে,কৃষকেরা এটা মানেন না।