সংবাদ শিরোনাম ::
তারেক রহমানের একত্রিশ দফার লিফলেট বিতরণ করেন আব্দুস সালাম তুহিন  চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ এর বিএনপির এমপি পদপ্রার্থী ইঞ্জিঃ মাসুদের বাড়ি -বাড়ি গিয়ে ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ ভুয়া ফেসবুক পেইজে গুজব ছড়ানোর প্রতিবাদ মহারাজপুর ইউপি চেয়ারম্যান রাজনের সুশাসনের ডাক: রাজশাহী-৫ এ জামায়াত প্রার্থী নুরজ্জামান লিটনের গণসংযোগ ও সমাবেশ। গোদাগাড়ীতে আটক সোনার বারকে ঘিরে ধোঁয়াশা তানোরে কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের মিলন মেলা নাইস গার্ডেন পার্কে অনুষ্ঠিত হবে আপনারা সকলে আমন্ত্রিত! গোমস্তাপুর আড্ডা থেকে নিখোঁজের দেড় মাসেও সন্ধান মেলেনি আজাহারের রাজশাহী-৬: বিএনপির মনোনয়ন যুদ্ধে এগিয়ে কে? বিদ্যুৎ সার্কিটে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে জামায়াতের সহায়তা প্রদান 📰 রাজশাহী-৫ আসনে গণজোয়ার: বেলপুকুরে জামায়াত প্রার্থীর নির্বাচনী প্রচারণা

পরিবেশ বিপর্যয়ের পথে রাজশাহী: প্রাণ-আরএফএল কর্তন করলো শত শত গাছ, ভরাট হলো পুকুর”

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৩:৪৪:৫৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ মার্চ ২০২৫ ২৯ বার পড়া হয়েছে
আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

সোহানুল হক পারভেজ রাজশাহী বিভাগীয় প্রধান :রাজশাহীতে পরিবেশ বিপর্যয়ের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে, কারণ দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পগোষ্ঠী প্রাণ-আরএফএল সম্প্রতি রাজশাহী টেক্সটাইল মিলসের বিশাল পুকুর ভরাটের পাশাপাশি কর্তন করেছে কয়েকশ’ গাছ। স্থানীয়রা বলছেন, পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্যের ওপর এটির ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।
জানা গেছে ১৯৭৪ সালে প্রতিষ্ঠিত রাজশাহী টেক্সটাইল মিলস ২০২৪ সালের অক্টোবরে পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) চুক্তির মাধ্যমে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের কাছে ৩০ বছরের জন্য লিজ দেওয়া হয়। চুক্তির পর মিলটির নতুন নামকরণ করা হয়েছে ‘বরেন্দ্র টেক্সটাইল মিলস’। চুক্তি অনুযায়ী, মিলটি পরিচালনার দায়িত্ব পেলেও, এত সংখ্যক গাছ কর্তন ও পুকুর ভরাটের কোনো অনুমতি ছিল কিনা, সে প্রশ্ন উঠেছে।

পরিবেশবিদরা বলছেন, শত শত গাছ কেটে ফেলার ফলে এলাকার তাপমাত্রা বেড়ে যাবে, বাতাসের মান খারাপ হবে এবং কার্বন নিঃসরণ বাড়বে। স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, “আমাদের এলাকার অক্সিজেন ভান্ডার একের পর এক ধ্বংস করা হচ্ছে। বনবিভাগের ২০৫টি গাছ কাটার ধকল সামলানোর আগেই নতুন করে শত শত গাছ নিধন করা হলো।”

এ বিষয়ে প্রাণ-আরএফএল-এর স্থানীয় এজিএম শরিফ উদ্দিন বলেন, “আমরা পুরো মিল ৩০ বছরের জন্য লিজ নিয়েছি, সব স্থাপনা ব্যবহার করবো, তাই গাছ কাটা ও পুকুর ভরাটের প্রয়োজন পড়েছে।” তবে বনবিভাগ ও পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমতি নেওয়া হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি কোনো উত্তর দেননি।

প্রাণ-আরএফএল কর্তৃপক্ষ এর আগে মিলের উচ্চমূল্যের মেশিনারিজ গোপনে সরিয়ে নিতে চেয়েছিল বলে অভিযোগ রয়েছে। স্থানীয়রা জানান, গভীর রাতে এসব ভারি মেশিন স্থানান্তরের সময় বাধা দিলে পরে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বিষয়টি সমাধান করা হয়। পরিবেশবিদরা আশঙ্কা করছেন, ভবিষ্যতে আরো গাছ কাটা হলে এলাকার পরিবেশ বিপর্যস্ত হয়ে পড়বে।

পরিবেশ রক্ষা ও টেকসই শিল্পায়নের স্বার্থে এ বিষয়ে যথাযথ তদন্ত করা প্রয়োজন। স্থানীয় প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তর কী পদক্ষেপ নিচ্ছে, সেটাও এখন দেখার বিষয়। এ ধরনের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড যাতে প্রাকৃতিক ভারসাম্য ধ্বংস না করে, সে বিষয়ে কঠোর নজরদারি প্রয়োজন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

পরিবেশ বিপর্যয়ের পথে রাজশাহী: প্রাণ-আরএফএল কর্তন করলো শত শত গাছ, ভরাট হলো পুকুর”

আপডেট সময় : ০৩:৪৪:৫৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ মার্চ ২০২৫

 

সোহানুল হক পারভেজ রাজশাহী বিভাগীয় প্রধান :রাজশাহীতে পরিবেশ বিপর্যয়ের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে, কারণ দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পগোষ্ঠী প্রাণ-আরএফএল সম্প্রতি রাজশাহী টেক্সটাইল মিলসের বিশাল পুকুর ভরাটের পাশাপাশি কর্তন করেছে কয়েকশ’ গাছ। স্থানীয়রা বলছেন, পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্যের ওপর এটির ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।
জানা গেছে ১৯৭৪ সালে প্রতিষ্ঠিত রাজশাহী টেক্সটাইল মিলস ২০২৪ সালের অক্টোবরে পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) চুক্তির মাধ্যমে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের কাছে ৩০ বছরের জন্য লিজ দেওয়া হয়। চুক্তির পর মিলটির নতুন নামকরণ করা হয়েছে ‘বরেন্দ্র টেক্সটাইল মিলস’। চুক্তি অনুযায়ী, মিলটি পরিচালনার দায়িত্ব পেলেও, এত সংখ্যক গাছ কর্তন ও পুকুর ভরাটের কোনো অনুমতি ছিল কিনা, সে প্রশ্ন উঠেছে।

পরিবেশবিদরা বলছেন, শত শত গাছ কেটে ফেলার ফলে এলাকার তাপমাত্রা বেড়ে যাবে, বাতাসের মান খারাপ হবে এবং কার্বন নিঃসরণ বাড়বে। স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, “আমাদের এলাকার অক্সিজেন ভান্ডার একের পর এক ধ্বংস করা হচ্ছে। বনবিভাগের ২০৫টি গাছ কাটার ধকল সামলানোর আগেই নতুন করে শত শত গাছ নিধন করা হলো।”

এ বিষয়ে প্রাণ-আরএফএল-এর স্থানীয় এজিএম শরিফ উদ্দিন বলেন, “আমরা পুরো মিল ৩০ বছরের জন্য লিজ নিয়েছি, সব স্থাপনা ব্যবহার করবো, তাই গাছ কাটা ও পুকুর ভরাটের প্রয়োজন পড়েছে।” তবে বনবিভাগ ও পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমতি নেওয়া হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি কোনো উত্তর দেননি।

প্রাণ-আরএফএল কর্তৃপক্ষ এর আগে মিলের উচ্চমূল্যের মেশিনারিজ গোপনে সরিয়ে নিতে চেয়েছিল বলে অভিযোগ রয়েছে। স্থানীয়রা জানান, গভীর রাতে এসব ভারি মেশিন স্থানান্তরের সময় বাধা দিলে পরে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বিষয়টি সমাধান করা হয়। পরিবেশবিদরা আশঙ্কা করছেন, ভবিষ্যতে আরো গাছ কাটা হলে এলাকার পরিবেশ বিপর্যস্ত হয়ে পড়বে।

পরিবেশ রক্ষা ও টেকসই শিল্পায়নের স্বার্থে এ বিষয়ে যথাযথ তদন্ত করা প্রয়োজন। স্থানীয় প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তর কী পদক্ষেপ নিচ্ছে, সেটাও এখন দেখার বিষয়। এ ধরনের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড যাতে প্রাকৃতিক ভারসাম্য ধ্বংস না করে, সে বিষয়ে কঠোর নজরদারি প্রয়োজন।