সংবাদ শিরোনাম ::
তারেক রহমানের একত্রিশ দফার লিফলেট বিতরণ করেন আব্দুস সালাম তুহিন  চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ এর বিএনপির এমপি পদপ্রার্থী ইঞ্জিঃ মাসুদের বাড়ি -বাড়ি গিয়ে ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ ভুয়া ফেসবুক পেইজে গুজব ছড়ানোর প্রতিবাদ মহারাজপুর ইউপি চেয়ারম্যান রাজনের সুশাসনের ডাক: রাজশাহী-৫ এ জামায়াত প্রার্থী নুরজ্জামান লিটনের গণসংযোগ ও সমাবেশ। গোদাগাড়ীতে আটক সোনার বারকে ঘিরে ধোঁয়াশা তানোরে কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের মিলন মেলা নাইস গার্ডেন পার্কে অনুষ্ঠিত হবে আপনারা সকলে আমন্ত্রিত! গোমস্তাপুর আড্ডা থেকে নিখোঁজের দেড় মাসেও সন্ধান মেলেনি আজাহারের রাজশাহী-৬: বিএনপির মনোনয়ন যুদ্ধে এগিয়ে কে? বিদ্যুৎ সার্কিটে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে জামায়াতের সহায়তা প্রদান 📰 রাজশাহী-৫ আসনে গণজোয়ার: বেলপুকুরে জামায়াত প্রার্থীর নির্বাচনী প্রচারণা

ভুয়া জমি রেজিষ্ট্রি দিতে গিয়ে প্রতারক আটক, মুচলেকায় ছাড়লেন ইউএনও

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:৫১:৩৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫ ২৩ বার পড়া হয়েছে
আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

রাজশাহী প্রতিনিধি :- রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলায় ভুয়া জমি রেজিস্ট্রি দিতে গিয়ে একজন প্রতারক আটক হয়। আটক প্রতারক ও ওই চক্রের সদস্যদের আর্থিক লেনদেনের বিনিময়ে মুচলেকায় ছেড়ে দেন ইউএনও।

জমি রেজিষ্ট্রি দিতে গিয়ে একজন ভুয়া দাতাকে চিহ্নিত করেন গোদাগাড়ী সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের সাব- রেজিস্ট্রার সাদেকুর রহমান। আটকের পর তাকে পুলিশে দেওয়া হয়। পুলিশ আটক ব্যক্তিকে থানায় না নিয়ে গোদাগাড়ীর ইউএনও ফয়সাল আহমেদের নিকট নিয়ে যায়। সেখানে পুলিশ, ইউএনও ও দলিল লেখক রেজাউল চক্র বিষয়টি ধামাচাপা দিয়ে দেয়। আটক ব্যক্তিকে মুচলেকায় ছেড়ে দেন ইউএনও।

১৬ মার্চ ( রবিবার) বিকেল ৪ টায় এমন ঘটনার সংবাদ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে।

স্থানীয়রা জানান, একজন প্রতারক অন্যের জমির দাতা সেজে রেজিস্ট্রি দিতে গিয়ে আটক হয়। সাব রেজিস্ট্রারের বিচক্ষণতায় প্রতারক চক্র ধরা পরে। এরপর আটক ভুয়া দাতাকে (মহিলা) পুলিশে দেওয়া হয়। আটকের পর তাকে মুচলেকায় ছেড়ে দেওয়ায় গোদাগাড়ীর সাধারণ মানুষের মাঝে চলছে আলোচনা সমালোচনা ঝড়। ভুয়াভাবে দাতা সেজে দলিল লেখকের সহায়তায় রেজিস্ট্রি দেওয়া এ চক্রের খপ্পরে পরে অনেক অসহায় পরিবার নিঃস্ব হয়েছে বলেও জানান স্থানীয়রা। দলিল লেখক রেজাউলের বিরুদ্ধে এর আগেও এমন ভুয়া দাতা সাজিয়ে রেজিস্ট্রি অফিসে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ আছে।
জানতে চাইলে অভিযুক্ত গোদাগাড়ী দলিল লেখক সমিতি রেজাউল ইসলাম বলেন, আমি বুঝতে পারিনি ওই ব্যক্তি ভুয়া জমি দাতা সাজিয়ে রেজিস্ট্রি দিতে এসেছেন। পরে সাব রেজিস্ট্রার বুঝতে পারলে তাকে পুলিশে দেওয়া হয়। আমি বাদি হয়ে মামলা করতেও রাজি ছিলাম। কিন্তু ইউএনও তাদের ক্ষমা করে একটি মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক বিএনপি’র নেতা জানায়, আ’লীগের দোসররা এখনো সক্রিয়। বর্তমান সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে নানা ঘটনার জন্ম দিচ্ছে। অপরাধীকে ছেড়ে সেই ঘটনার ভিডিও ভাইরাল করে বিতর্ক সৃষ্টি করছে উপজেলা প্রশাসন। আমরা এসব ঘটনাসহ উপজেলা প্রশাসনের (ইউএনও) বিষয়ে তদন্ত চাই। আসলেই তিনি কোন রাজনৈতিক আদর্শে উজ্জীবীত।

এ বিষয়ে কথা বললে গোদাগাড়ীর সাব রেজিস্ট্রার সাদিকুল ইসলাম বলেন, আগে থেকেই ইনফরমেশন ছিলো বলে প্রতারক চক্রকে আটক করা সম্ভব হয়েছে। আমি ওই প্রতারককে আটকের পর থানা পুলিশে দিয়েছি। পরে ইউএনও, এসিল্যান্ড, থানা পুলিশ মানবিক কারণে তাকে ছেড়ে দেয়। যদিও জমিটি অন্য কাউকে নয় তাঁর ছেলেদের দেওয়ার জন্য ওই মহিলাকে দাতা সাজিয়ে এনেছিলো। তাই প্রথম অপরাধ হিসেবে ক্ষমা করা হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে একাধিকবার ফোন দিয়েও ফোনে পাওয়া যায়নি গোদাগাড়ী ইউএনও ও ওসিকে। পরে ম্যাসেজের মাধ্যমে ক্ষুদে বার্তা দিলেও তাঁরা ফোন রিসিভ করেননি। একারণে তাঁদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

উল্লেখ, নেইমুদ্দিন নামে ওই প্রতারক তার স্ত্রী’র নামে থাকা জমি হাতিয়ে নিতে অন্য আরেজন নারীকে স্ত্রী সাজিয়ে জমি রেজিস্ট্রি দিতে যায়।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ভুয়া জমি রেজিষ্ট্রি দিতে গিয়ে প্রতারক আটক, মুচলেকায় ছাড়লেন ইউএনও

আপডেট সময় : ১০:৫১:৩৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫

 

রাজশাহী প্রতিনিধি :- রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলায় ভুয়া জমি রেজিস্ট্রি দিতে গিয়ে একজন প্রতারক আটক হয়। আটক প্রতারক ও ওই চক্রের সদস্যদের আর্থিক লেনদেনের বিনিময়ে মুচলেকায় ছেড়ে দেন ইউএনও।

জমি রেজিষ্ট্রি দিতে গিয়ে একজন ভুয়া দাতাকে চিহ্নিত করেন গোদাগাড়ী সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের সাব- রেজিস্ট্রার সাদেকুর রহমান। আটকের পর তাকে পুলিশে দেওয়া হয়। পুলিশ আটক ব্যক্তিকে থানায় না নিয়ে গোদাগাড়ীর ইউএনও ফয়সাল আহমেদের নিকট নিয়ে যায়। সেখানে পুলিশ, ইউএনও ও দলিল লেখক রেজাউল চক্র বিষয়টি ধামাচাপা দিয়ে দেয়। আটক ব্যক্তিকে মুচলেকায় ছেড়ে দেন ইউএনও।

১৬ মার্চ ( রবিবার) বিকেল ৪ টায় এমন ঘটনার সংবাদ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে।

স্থানীয়রা জানান, একজন প্রতারক অন্যের জমির দাতা সেজে রেজিস্ট্রি দিতে গিয়ে আটক হয়। সাব রেজিস্ট্রারের বিচক্ষণতায় প্রতারক চক্র ধরা পরে। এরপর আটক ভুয়া দাতাকে (মহিলা) পুলিশে দেওয়া হয়। আটকের পর তাকে মুচলেকায় ছেড়ে দেওয়ায় গোদাগাড়ীর সাধারণ মানুষের মাঝে চলছে আলোচনা সমালোচনা ঝড়। ভুয়াভাবে দাতা সেজে দলিল লেখকের সহায়তায় রেজিস্ট্রি দেওয়া এ চক্রের খপ্পরে পরে অনেক অসহায় পরিবার নিঃস্ব হয়েছে বলেও জানান স্থানীয়রা। দলিল লেখক রেজাউলের বিরুদ্ধে এর আগেও এমন ভুয়া দাতা সাজিয়ে রেজিস্ট্রি অফিসে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ আছে।
জানতে চাইলে অভিযুক্ত গোদাগাড়ী দলিল লেখক সমিতি রেজাউল ইসলাম বলেন, আমি বুঝতে পারিনি ওই ব্যক্তি ভুয়া জমি দাতা সাজিয়ে রেজিস্ট্রি দিতে এসেছেন। পরে সাব রেজিস্ট্রার বুঝতে পারলে তাকে পুলিশে দেওয়া হয়। আমি বাদি হয়ে মামলা করতেও রাজি ছিলাম। কিন্তু ইউএনও তাদের ক্ষমা করে একটি মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক বিএনপি’র নেতা জানায়, আ’লীগের দোসররা এখনো সক্রিয়। বর্তমান সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে নানা ঘটনার জন্ম দিচ্ছে। অপরাধীকে ছেড়ে সেই ঘটনার ভিডিও ভাইরাল করে বিতর্ক সৃষ্টি করছে উপজেলা প্রশাসন। আমরা এসব ঘটনাসহ উপজেলা প্রশাসনের (ইউএনও) বিষয়ে তদন্ত চাই। আসলেই তিনি কোন রাজনৈতিক আদর্শে উজ্জীবীত।

এ বিষয়ে কথা বললে গোদাগাড়ীর সাব রেজিস্ট্রার সাদিকুল ইসলাম বলেন, আগে থেকেই ইনফরমেশন ছিলো বলে প্রতারক চক্রকে আটক করা সম্ভব হয়েছে। আমি ওই প্রতারককে আটকের পর থানা পুলিশে দিয়েছি। পরে ইউএনও, এসিল্যান্ড, থানা পুলিশ মানবিক কারণে তাকে ছেড়ে দেয়। যদিও জমিটি অন্য কাউকে নয় তাঁর ছেলেদের দেওয়ার জন্য ওই মহিলাকে দাতা সাজিয়ে এনেছিলো। তাই প্রথম অপরাধ হিসেবে ক্ষমা করা হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে একাধিকবার ফোন দিয়েও ফোনে পাওয়া যায়নি গোদাগাড়ী ইউএনও ও ওসিকে। পরে ম্যাসেজের মাধ্যমে ক্ষুদে বার্তা দিলেও তাঁরা ফোন রিসিভ করেননি। একারণে তাঁদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

উল্লেখ, নেইমুদ্দিন নামে ওই প্রতারক তার স্ত্রী’র নামে থাকা জমি হাতিয়ে নিতে অন্য আরেজন নারীকে স্ত্রী সাজিয়ে জমি রেজিস্ট্রি দিতে যায়।