সোহানুল হক পারভেজ রাজশাহী বিভাগীয় প্রধান :
রাজশাহী-১(তানোর-গোদাগাড়ী) ভিআইপি এই সংসদীয় আসনে ত্রয়োদ্বশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে বিএনপির দলীয় মনোনয়ন পেতে এরই মধ্যে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন দলের একাধিক মনোনয়ন প্রত্যাশী। ইতিমধ্যে কেউ কেউ মোটরসাইকেল শোডাউন করে তৃণমূল নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মনোযোগ আর্কষণের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছে।আবার কেউ দলের নীতিনির্ধারণী মহলের সঙ্গে যোগাযোগ বৃদ্ধির জন্য নানা কৌশল খুঁজে বের করার চেষ্টায় মরিয়া রয়েছে। এআসনে এবার বিএনপির মনোয়ন চান বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার সাবেক সামরিক সচিব ও উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য মেজর জেনারেল অবঃ শরিফ উদ্দিন, সাজেদুর রহমান মার্কনী, কেএম জুয়েল ও ব্যবসায়ী এ্যাডঃ সুলতানুল ইসলাম তারেকপ্রমুখ।
এদিকে বিএনপির নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের কাছে পচ্ছন্দের শীর্ষে রয়েছেন মেজর জেনারেল অবঃ শরিফ উদ্দিন। একাধিক নেতা মনোনয়ন চাইলেও শরিফ উদ্দিনকে নিয়েই বিএনপির নেতা ও কর্মী-সমর্থকেরা একট্টা। তারা তাকে নিয়েই ভোট করতে চাই। এসব বিবেচনায় এখানে বিএনপি তো বটেই বিএনপি বিরোধীরাও মেজর জেনারেল অবঃ শরিফ উদ্দিনের বিকল্প স্বপ্নেও ভাবেন না।
এদিকে ভোটারদের অভিমত, প্রয়াত ব্যারিস্টার আমিনুল হক পরিবারের সদস্য এবং একজন সাবেক মেজর জেনারেল পদমর্যাদা সম্পন্ন নেতৃত্বকে বঞ্চিত করে যদি প্রার্থী দেয়া হয়, তাহলে সাধারণ ভোটারগণ বুঝবে হবে দল হিসেবে বিএনপি দেউলিয়া হয়ে পড়েছে ? কারণ রাজশাহী-১ ভিআইপি আসন এখানে যারা নির্বাচিত হয়েছেন তারা সরকারের মন্ত্রী সভার সদস্যসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। সেই বিবেচনায় এখানে যারা মনোনয়ন পাবেন তাদের পারিবারিক ঐতিহ্য, সামাজিক মর্যাদা ও রাজনৈতিক দুরদর্শিতা থাকতে হবে। কারণ কোনো অবস্থাতেই সুযোগসন্ধানী গ্রহণযোগ্যহীন বির্তকিত,আওয়ামী লেজুড়বৃত্তি,মাদক পৃষ্ঠপোষক বা ব্যবসায়ী,মাদকের গডফাদার ,হুন্ডি কারবারি বা যাদের রাজনৈতিক জীবনটায় পালাবদলের
গত ১৭ বছর যাবত যারা আওয়ামী লীগের সুযোগ-সুবিধা নিয়ে মোটাতাজা হয়েছে ইত্যাদি কারণে বির্তকিত কোনো নেতৃত্ব এই জনপদের মানুষ মেনে নিবেন না।