সংবাদ শিরোনাম ::
দূর্গাপুরে দুই মাথা চার চোখ ও দুইটি মুখ বিশিষ্ট গরুর বাছুরের জন্ম জেলা কৃষক দলের আহ্বায়কের হজ্জ যাত্রায় গোমস্তাপুর উপজেলা কৃষক দলের বিদায় সংবর্ধনা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত গোমস্তাপুরে শুরু হয়েছে বোরো মৌসুমের ধান ঘরে তোলার ব্যস্ততা ‎দুর্গাপুরে আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্টর উদ্বোধন শিবগঞ্জে এডহক কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে মাদরাসা সুপারকে মারপিটের অভিযোগ ‎দুর্গাপুরে আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্টর উদ্বোধন নাচোলে বিএনপি ঘোষিত ৩১ দফা নিয়ে ছাত্র সমাবেশ অনুষ্ঠিত চাঁপাইনবাবগঞ্জে ডিএনসির অভিযানে হেরোইন সহ শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে এলাকা থেকে বিপুল পরিমাণ ককটেল _ পেট্রোল বোমা উদ্ধার গোমস্তাপুরে নিরাপদ অভিবাসন ও বিদেশ ফেরত অভিবাসীদের পুনরেকত্রীকরণ বিষয়ক কর্মশালা

শিবগঞ্জে ছাগলে ফসল নষ্টের প্রতিবাদ করায় আমগাছ কেটে ফেলার অভিযোগ

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৪:০৯:২৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ এপ্রিল ২০২৫ ৪৭ বার পড়া হয়েছে
আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

হাবিবুল বারি হাবিব : চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে ছাগলের দ্বারা ফসল ও আমবাগানের ক্ষতি সাধনের প্রতিবাদ করায় আমগাছ কেটে ফেলার অভিযোগ উঠেছে । ভুক্তভোগী স্থানীয় শ্যামপুর ইউনিয়ন ৭ নাম্বার ওয়ার্ড বিএনপির সহ-সভাপতি ও চৌধুরী বংশীয় মো: মোহবুল হক জানান, দীর্ঘদিন থেকে এলাকার ঘোষ বংশের কিছু গরু-ছাগল আমার পৈতৃক সম্পত্তির উপরের ফসল নষ্ট করে আসছে, যার ধারাবাহিকতায় গত ১১ এপ্রিল ফসল নষ্টের সময় ৩ টি ছাগল ধরে রাখলে ঘোষ বংশের লোকজন আমার উপরে আক্রমণ করে ছাগল ছিনিয়ে নিয়ে যায় । এরপর আমার পরিবার ও এলাকার কিছু লোকজন আমাকে উদ্ধারে আসলে এক পর্যায়ে তা সংঘর্ষে পরিণত হয় এবং আমি সহ বেশ কয়েকজন আহত হই । সেই জেরে রাতেই তারা আমার জমির উপরের বেশ কিছু রূপালি আমের গাছ কেটে ফেলে যা অত্যন্ত দুঃখজনক ও অমানবিক । এসময় নষ্টকৃত আমগাছের ক্ষতিপূরণ ও সুষ্ঠু বিচার দাবী করেন ভুক্তভোগী বিএনপি নেতা মো: মোহবুল হক । সেই সাথে ঐ মাঠে নির্বিঘ্নে আম ও বিভিন্ন ফসল চাষের নিরাপত্তাও চান তিনি । এদিকে অপর পক্ষের ও ঘোষ বংশীয় মো: নাসির উদ্দীন আমগাছ কেটে ফেলার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমাদের ছাগল আটকে রাখলে আমরা তা ফেরত চাই এবং কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে সংঘর্ষ সৃষ্টি হয় । এতে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সাইফুল ইসলামের নেতৃত্বে বাড়িঘরে ভাংচুর, ককটেল বিস্ফোরণ ও কয়েকজন আহত হওয়ার দাবী করেন নাসির উদ্দীন । কিন্তু অপর পক্ষের মোহবুল হক তা অস্বীকার করে বলেন, ককটেল বিস্ফোরণ তারাই করেছে এবং বিষয়টিকে রাজনৈতিক দ্বন্দ্বে পরিণত করার অপচেষ্টা করলেও আসলে বিষয়টি রাজনৈতিক নয়, বরং এটি দীর্ঘদিনের বংশীয় জের । সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সাইফুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি সেই ঘটনায় উপস্থিত ছিলেন না বলে জানান । এদিকে বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে স্থানীয় শ্যামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো: রবিউল ইসলাম বলেন, প্রথমত চৌধুরী বংশীয় লোকজন আমাকে মৌখিকভাবে জানালে ও মীমাংসার আশা ব্যক্ত করলে সেই প্রেক্ষিতে আমি ঘোষ বংশের সাথে যোগাযোগ করে মীমাংসার চেষ্টা অব্যহত রেখেছি ।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

শিবগঞ্জে ছাগলে ফসল নষ্টের প্রতিবাদ করায় আমগাছ কেটে ফেলার অভিযোগ

আপডেট সময় : ০৪:০৯:২৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ এপ্রিল ২০২৫

 

হাবিবুল বারি হাবিব : চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে ছাগলের দ্বারা ফসল ও আমবাগানের ক্ষতি সাধনের প্রতিবাদ করায় আমগাছ কেটে ফেলার অভিযোগ উঠেছে । ভুক্তভোগী স্থানীয় শ্যামপুর ইউনিয়ন ৭ নাম্বার ওয়ার্ড বিএনপির সহ-সভাপতি ও চৌধুরী বংশীয় মো: মোহবুল হক জানান, দীর্ঘদিন থেকে এলাকার ঘোষ বংশের কিছু গরু-ছাগল আমার পৈতৃক সম্পত্তির উপরের ফসল নষ্ট করে আসছে, যার ধারাবাহিকতায় গত ১১ এপ্রিল ফসল নষ্টের সময় ৩ টি ছাগল ধরে রাখলে ঘোষ বংশের লোকজন আমার উপরে আক্রমণ করে ছাগল ছিনিয়ে নিয়ে যায় । এরপর আমার পরিবার ও এলাকার কিছু লোকজন আমাকে উদ্ধারে আসলে এক পর্যায়ে তা সংঘর্ষে পরিণত হয় এবং আমি সহ বেশ কয়েকজন আহত হই । সেই জেরে রাতেই তারা আমার জমির উপরের বেশ কিছু রূপালি আমের গাছ কেটে ফেলে যা অত্যন্ত দুঃখজনক ও অমানবিক । এসময় নষ্টকৃত আমগাছের ক্ষতিপূরণ ও সুষ্ঠু বিচার দাবী করেন ভুক্তভোগী বিএনপি নেতা মো: মোহবুল হক । সেই সাথে ঐ মাঠে নির্বিঘ্নে আম ও বিভিন্ন ফসল চাষের নিরাপত্তাও চান তিনি । এদিকে অপর পক্ষের ও ঘোষ বংশীয় মো: নাসির উদ্দীন আমগাছ কেটে ফেলার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমাদের ছাগল আটকে রাখলে আমরা তা ফেরত চাই এবং কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে সংঘর্ষ সৃষ্টি হয় । এতে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সাইফুল ইসলামের নেতৃত্বে বাড়িঘরে ভাংচুর, ককটেল বিস্ফোরণ ও কয়েকজন আহত হওয়ার দাবী করেন নাসির উদ্দীন । কিন্তু অপর পক্ষের মোহবুল হক তা অস্বীকার করে বলেন, ককটেল বিস্ফোরণ তারাই করেছে এবং বিষয়টিকে রাজনৈতিক দ্বন্দ্বে পরিণত করার অপচেষ্টা করলেও আসলে বিষয়টি রাজনৈতিক নয়, বরং এটি দীর্ঘদিনের বংশীয় জের । সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সাইফুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি সেই ঘটনায় উপস্থিত ছিলেন না বলে জানান । এদিকে বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে স্থানীয় শ্যামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো: রবিউল ইসলাম বলেন, প্রথমত চৌধুরী বংশীয় লোকজন আমাকে মৌখিকভাবে জানালে ও মীমাংসার আশা ব্যক্ত করলে সেই প্রেক্ষিতে আমি ঘোষ বংশের সাথে যোগাযোগ করে মীমাংসার চেষ্টা অব্যহত রেখেছি ।