সংবাদ শিরোনাম ::
আহত এটিএন বাংলার সিনিয়র সাংবাদিক এর বাসায় রাজশাহী বিভাগীয় প্রেসক্লাবের নেতৃবৃন্দ দেখতে যান নাচোলে এআই ও সাইবার সিকিউরিটি বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত। দুর্গাপুরে খেজুর গাছের সাথে গলায় রশি দিয়ে আত্মহত্যা করেন উমা বালা রাজশাহীতে জেলা প্রশাসকের বরাবর সাংবাদিকদের স্মারকলিপি প্রদান তানোরে পাকা রাস্তা কাঁদা মাটিতে রুপান্তর, ঝুকি নিয়ে চলাচল  চাঁপাইনবাবগঞ্জ নাচোলে টাকাহারা মাধবপুর যুবসমাজের ফুটবল ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত গোমস্তাপুরে পুলিশের চাকরি দেওয়ার কথা বলে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ জলবায়ু ঝুঁকি ও জেন্ডার বৈচিত্র্যসম্পন্ন জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে লফস-রিইব এফজিডি অনুষ্ঠিত বৃষ্টির মধ্যেই মাসুদপুর সীমান্ত দিয়ে ২০ জনকে পুশইন করল বিএসএফ ফ্যাসিবাদের দোসর এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী জহুরুল ইসলাম এখনও বহাল তবিয়তে!

গোমস্তাপুরে শুরু হয়েছে বোরো মৌসুমের ধান ঘরে তোলার ব্যস্ততা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৫:৫৭:৩২ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ মে ২০২৫ ১৮ বার পড়া হয়েছে
আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

মোঃ তুহিন, (চাঁপাইনবাবগঞ্জ)

চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার গোমস্তাপুর উপজেলায় শুরু হয়েছে বোরো মৌসুমের ধান ঘরে তোলার প্রক্রিয়া। মাঠজুড়ে এখন ধান কাটার ব্যস্ততা, কৃষক ও শ্রমিকরা সকাল-সন্ধ্যা পরিশ্রম করে জমি থেকে সোনালী ধান ঘরে তুলছেন। কেউ ধান কাটছেন, কেউ তা পরিবহণ করছেন আবার কেউ মাড়াই কাজে ব্যস্ত রয়েছেন।

উপজেলার রহনপুর ইউনিয়নের লক্ষীপুর গ্রামের কৃষক আব্দুল হালিম জানান চলতি মৌসুমে বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় ধান কাটার কাজে কোনো বিঘ্ন ঘটেনি। একই সঙ্গে শ্রমিক সংকট না থাকায় সহজেই ফসল ঘরে তুলতে পারছেন তাঁরা। কৃষকদের আশা, আবহাওয়া অনুকূল থাকলে এবার বাম্পার ফলনের পাশাপাশি ভালো দামও পাওয়া যাবে ।অপরদিকে উপজেলার পার্বতীপুর ইউনিয়ন ও পার্শ্ববর্তী গ্রামের কৃষকরা জানায় গত ১ মে বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার পার্বতীপুর ইউনিয়নসহ পার্শ্ববর্তী কয়েকটি গ্রামে শিলা বৃষ্টি কারণে ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে কিন্তু নায্য দাম পেলে সেই ক্ষতি কিছুটা কম হবে বলে জানান তারা I

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ বছর গোমস্তাপুরে মোট ১৪,৭২৫ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের চাষ হয়েছে। এর মধ্যে উফশী জাতের ধান ১৫ প্রকার এবং হাইব্রিড জাতের ধান ৭ প্রকার ধান রোপণ করা হয়েছে।

উল্লেখযোগ্য উফশী জাতের ধানের মধ্যে রয়েছে—জিরাশাইল, ব্রিধান-৩৬, ব্রিধান-৮৯, ব্রিধান-৯২, ব্রিধান-২৯, ব্রিধান-১০২ ইত্যাদি। অপরদিকে হাইব্রিড জাতের মধ্যে জনকরাজ, সংকর, ন্যাশনাল-১, ময়না, টিয়া, এসএলএইটএইচ ও পারটেক্স-৩ এর চাষ হয়েছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তানভীর আহমেদ সরকার বলেন, “চলতি মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ধানের ফলন ভালো হয়েছে। আমরা মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের সার্বিক সহায়তা দিয়ে যাচ্ছি যাতে তারা তাদের কষ্টের ফসল সুষ্ঠুভাবে ঘরে তুলতে পারেন।

উপজেলার কৃষি বিভাগ ও কৃষক সমাজের প্রত্যাশা, এ বছর ধানের ভালো ফলনের পাশাপাশি বাজারেও ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত হলে তারা অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হবেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

গোমস্তাপুরে শুরু হয়েছে বোরো মৌসুমের ধান ঘরে তোলার ব্যস্ততা

আপডেট সময় : ০৫:৫৭:৩২ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ মে ২০২৫

 

মোঃ তুহিন, (চাঁপাইনবাবগঞ্জ)

চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার গোমস্তাপুর উপজেলায় শুরু হয়েছে বোরো মৌসুমের ধান ঘরে তোলার প্রক্রিয়া। মাঠজুড়ে এখন ধান কাটার ব্যস্ততা, কৃষক ও শ্রমিকরা সকাল-সন্ধ্যা পরিশ্রম করে জমি থেকে সোনালী ধান ঘরে তুলছেন। কেউ ধান কাটছেন, কেউ তা পরিবহণ করছেন আবার কেউ মাড়াই কাজে ব্যস্ত রয়েছেন।

উপজেলার রহনপুর ইউনিয়নের লক্ষীপুর গ্রামের কৃষক আব্দুল হালিম জানান চলতি মৌসুমে বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় ধান কাটার কাজে কোনো বিঘ্ন ঘটেনি। একই সঙ্গে শ্রমিক সংকট না থাকায় সহজেই ফসল ঘরে তুলতে পারছেন তাঁরা। কৃষকদের আশা, আবহাওয়া অনুকূল থাকলে এবার বাম্পার ফলনের পাশাপাশি ভালো দামও পাওয়া যাবে ।অপরদিকে উপজেলার পার্বতীপুর ইউনিয়ন ও পার্শ্ববর্তী গ্রামের কৃষকরা জানায় গত ১ মে বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার পার্বতীপুর ইউনিয়নসহ পার্শ্ববর্তী কয়েকটি গ্রামে শিলা বৃষ্টি কারণে ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে কিন্তু নায্য দাম পেলে সেই ক্ষতি কিছুটা কম হবে বলে জানান তারা I

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ বছর গোমস্তাপুরে মোট ১৪,৭২৫ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের চাষ হয়েছে। এর মধ্যে উফশী জাতের ধান ১৫ প্রকার এবং হাইব্রিড জাতের ধান ৭ প্রকার ধান রোপণ করা হয়েছে।

উল্লেখযোগ্য উফশী জাতের ধানের মধ্যে রয়েছে—জিরাশাইল, ব্রিধান-৩৬, ব্রিধান-৮৯, ব্রিধান-৯২, ব্রিধান-২৯, ব্রিধান-১০২ ইত্যাদি। অপরদিকে হাইব্রিড জাতের মধ্যে জনকরাজ, সংকর, ন্যাশনাল-১, ময়না, টিয়া, এসএলএইটএইচ ও পারটেক্স-৩ এর চাষ হয়েছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তানভীর আহমেদ সরকার বলেন, “চলতি মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ধানের ফলন ভালো হয়েছে। আমরা মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের সার্বিক সহায়তা দিয়ে যাচ্ছি যাতে তারা তাদের কষ্টের ফসল সুষ্ঠুভাবে ঘরে তুলতে পারেন।

উপজেলার কৃষি বিভাগ ও কৃষক সমাজের প্রত্যাশা, এ বছর ধানের ভালো ফলনের পাশাপাশি বাজারেও ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত হলে তারা অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হবেন।