সংবাদ শিরোনাম ::
খাদ্য কর্মকর্তা জান মোহাম্মদের বিরুদ্ধে পাহাড়সম দুর্নীতির অভিযোগ  তানোরে তৃষ্ণার্ত কৃষকের মাঝে বিশুদ্ধ পানি,বিস্কুট ও খাবার স্যালাইন বিতরণ করেন আনসার কমান্ডার জামিরুল ইসলাম! মহিপুর বাজারে ‘মেসার্স ঢাকা ইলেকট্রনিক্স এ্যান্ড সার্ভিসিং সেটার’-এর নতুন শোরুমের শুভ উদ্বোধন রাজশাহীর দুর্গাপুরে আলোচিত মকবুল হত্যা মামলায় গ্রেফতার ৫ গোমস্তাপুরে সমলয় চাষাবাদের লক্ষ্যে কম্বাইন হারভেস্টার যন্ত্র দ্বারা ধান কর্তন কর্মসূচির উদ্বোধন ও মাঠ দিবস গোমস্তাপুরে ওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচি গোমস্তাপুরে বিদ্যুৎস্পর্শ হয়ে ওয়েল্ডিং মিস্ত্রির মৃত্যু গোমস্তাপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত ১১ তানোরে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকের গোপন বিয়ে ঘিরে তোলপাড়! গোমস্তাপুরে আওয়ামী লীগ ও শ্রমিক লীগ নেতার অপকর্মের প্রতিবাদে এলাকাবাসীর মানববন্ধন 

খাদ্য কর্মকর্তা জান মোহাম্মদের বিরুদ্ধে পাহাড়সম দুর্নীতির অভিযোগ 

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:৫৯:৩৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫ ৫ বার পড়া হয়েছে
আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

নিজস্ব প্রতিবেদক:
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার খাদ্য নিয়ন্ত্রক জান মোহাম্মদের দুর্নীতির পাহাড়সম অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত পহেলা মে জান মোহাম্মদকে পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলায় বদলি এবং শিবগঞ্জ উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আতাউর রহমানকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলায় দায়িত্ব গ্রহণের আদেশ দেন খাদ্য অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মনিরুল ইসলাম। বদলির আদেশ পাওয়ার পরও জান মোহাম্মদ আতাউর কে দায়িত্ব বুঝিয়ে দিতে গড়িমসি করলে পরে ৭ মে আতাউর রহমান দায়িত্ব বুঝে নেন। ৯ মে শুক্রবার ছুটির দিনেও জান মোহাম্মদ তার দুর্নীতির তথ্য মুছে ফেলার জন্য আমনুরা খাদ্য গুদাম থেকে নথিপত্র নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে বাধা দেন এবং বিষয়টি জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিসার মোহন আহম্মেদ কে জানান আমনুরা খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রেশমা ইয়াসমিন। এ ঘটনায় তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিসার।কমিটির প্রতিবেদনে জানা গেছে বদলির পরও সংরক্ষিত খাদ্য গুদামে তার অবৈধভাবে প্রবেশ সহ অফিসের গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা এবং রেশমা ইয়াসমিনকে লাঞ্ছিত করার প্রমাণ পাওয়া গেছে।

সদ্য যোগদানকৃত জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিসার মোহন আহম্মেদ জেলার ওএমএস ডিলারদের দোকান পরিদর্শন করে দেখেন স্টেনসিল মার্ক ছাড়াই গুদাম থেকে চালের বস্তা সরবরাহ করেছে অথচ চালের বস্তায় স্টেনসিল মার্ক দেওয়া বাধ্যতামূলক। বস্তায় স্টেনসিল মার্ক না দিয়েই ৮৫ হাজার টাকা শ্রমিক বিল তুলে নেওয়া হয়। এ নিয়ে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিসার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ব্যাখ্যা তলব করে এর সঠিক জবাব দিতে বলেন।

আরো জানা যায় স্টেনসিল মার্ক না দিয়েও প্রতি মাসেই প্রায় ৯০ হাজার টাকা শ্রমিক বিল অনুমোদন করতেন জান মোহাম্মদ। মিল মালিকরা বলেন ধান- চাল কেনা বাবদ জান মোহাম্মদের কথা বলে টনপ্রতি আমাদের কাছ থেকে ২০০ টাকা করে আদায় করতেন। এছাড়াও ডিও ছাড়ের সময় ২০০ টাকা, জিএস দেখিয়ে ওজনে কারসাজি,বস্তা সরবরাহকারী ঠিকাদারদের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেওয়া সহ একাধিক অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ এই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে।

এ বিষয়ে জানার জন্য জেলার সদর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক জান মোহাম্মদকে তার ব্যবহৃত মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দিয়েও পাওয়া যায় নি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

খাদ্য কর্মকর্তা জান মোহাম্মদের বিরুদ্ধে পাহাড়সম দুর্নীতির অভিযোগ 

আপডেট সময় : ১০:৫৯:৩৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫

 

নিজস্ব প্রতিবেদক:
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার খাদ্য নিয়ন্ত্রক জান মোহাম্মদের দুর্নীতির পাহাড়সম অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত পহেলা মে জান মোহাম্মদকে পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলায় বদলি এবং শিবগঞ্জ উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আতাউর রহমানকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলায় দায়িত্ব গ্রহণের আদেশ দেন খাদ্য অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মনিরুল ইসলাম। বদলির আদেশ পাওয়ার পরও জান মোহাম্মদ আতাউর কে দায়িত্ব বুঝিয়ে দিতে গড়িমসি করলে পরে ৭ মে আতাউর রহমান দায়িত্ব বুঝে নেন। ৯ মে শুক্রবার ছুটির দিনেও জান মোহাম্মদ তার দুর্নীতির তথ্য মুছে ফেলার জন্য আমনুরা খাদ্য গুদাম থেকে নথিপত্র নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে বাধা দেন এবং বিষয়টি জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিসার মোহন আহম্মেদ কে জানান আমনুরা খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রেশমা ইয়াসমিন। এ ঘটনায় তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিসার।কমিটির প্রতিবেদনে জানা গেছে বদলির পরও সংরক্ষিত খাদ্য গুদামে তার অবৈধভাবে প্রবেশ সহ অফিসের গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা এবং রেশমা ইয়াসমিনকে লাঞ্ছিত করার প্রমাণ পাওয়া গেছে।

সদ্য যোগদানকৃত জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিসার মোহন আহম্মেদ জেলার ওএমএস ডিলারদের দোকান পরিদর্শন করে দেখেন স্টেনসিল মার্ক ছাড়াই গুদাম থেকে চালের বস্তা সরবরাহ করেছে অথচ চালের বস্তায় স্টেনসিল মার্ক দেওয়া বাধ্যতামূলক। বস্তায় স্টেনসিল মার্ক না দিয়েই ৮৫ হাজার টাকা শ্রমিক বিল তুলে নেওয়া হয়। এ নিয়ে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিসার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ব্যাখ্যা তলব করে এর সঠিক জবাব দিতে বলেন।

আরো জানা যায় স্টেনসিল মার্ক না দিয়েও প্রতি মাসেই প্রায় ৯০ হাজার টাকা শ্রমিক বিল অনুমোদন করতেন জান মোহাম্মদ। মিল মালিকরা বলেন ধান- চাল কেনা বাবদ জান মোহাম্মদের কথা বলে টনপ্রতি আমাদের কাছ থেকে ২০০ টাকা করে আদায় করতেন। এছাড়াও ডিও ছাড়ের সময় ২০০ টাকা, জিএস দেখিয়ে ওজনে কারসাজি,বস্তা সরবরাহকারী ঠিকাদারদের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেওয়া সহ একাধিক অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ এই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে।

এ বিষয়ে জানার জন্য জেলার সদর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক জান মোহাম্মদকে তার ব্যবহৃত মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দিয়েও পাওয়া যায় নি।