সংবাদ শিরোনাম ::
তারেক রহমানের একত্রিশ দফার লিফলেট বিতরণ করেন আব্দুস সালাম তুহিন  চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ এর বিএনপির এমপি পদপ্রার্থী ইঞ্জিঃ মাসুদের বাড়ি -বাড়ি গিয়ে ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ ভুয়া ফেসবুক পেইজে গুজব ছড়ানোর প্রতিবাদ মহারাজপুর ইউপি চেয়ারম্যান রাজনের সুশাসনের ডাক: রাজশাহী-৫ এ জামায়াত প্রার্থী নুরজ্জামান লিটনের গণসংযোগ ও সমাবেশ। গোদাগাড়ীতে আটক সোনার বারকে ঘিরে ধোঁয়াশা তানোরে কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের মিলন মেলা নাইস গার্ডেন পার্কে অনুষ্ঠিত হবে আপনারা সকলে আমন্ত্রিত! গোমস্তাপুর আড্ডা থেকে নিখোঁজের দেড় মাসেও সন্ধান মেলেনি আজাহারের রাজশাহী-৬: বিএনপির মনোনয়ন যুদ্ধে এগিয়ে কে? বিদ্যুৎ সার্কিটে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে জামায়াতের সহায়তা প্রদান 📰 রাজশাহী-৫ আসনে গণজোয়ার: বেলপুকুরে জামায়াত প্রার্থীর নির্বাচনী প্রচারণা

সংবাদপত্রের স্বাধীনতা রক্ষায় কাজ করবে জামায়াত: মিয়া গোলাম পরওয়ার

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৬:৩৫:০১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫ ১৭ বার পড়া হয়েছে
আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

আবু রায়হান, স্টাফ রিপোর্টার

ঢাকা: বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, “সংবাদপত্রের স্বাধীনতা রক্ষা এবং সাংবাদিকদের স্বার্থরক্ষায় জামায়াতে ইসলামী সর্বদা সচেষ্ট থাকবে ইনশাআল্লাহ।” ১৬ জুন ‘সংবাদপত্রের কালো দিবস’ উপলক্ষে ১৫ জুন এক বিবৃতিতে তিনি এ মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, “১৯৭৫ সালের ১৬ জুন তৎকালীন সরকার বাকশাল গঠন করে গণতন্ত্রকে নির্বাসনে পাঠায় এবং মাত্র চারটি পত্রিকা—দৈনিক বাংলা, বাংলাদেশ টাইমস, ইত্তেফাক ও অবজারভার—সরকারি নিয়ন্ত্রণে রেখে বাকি সব পত্রিকার অনুমোদন বাতিল করে। এর ফলে হাজার হাজার সাংবাদিক ও সংবাদকর্মী বেকার হয়ে চরম মানবেতর জীবন যাপন করেন। এই দিনটি গণমাধ্যমের ইতিহাসে ‘কালো দিবস’ হিসেবে বিবেচিত।”

তিনি আরও অভিযোগ করেন, “আওয়ামী লীগ ২০০৯ সালে ক্ষমতায় এসে একই ধরণের দমননীতি অনুসরণ করেছে। সরকার একের পর এক সংবাদপত্র ও টেলিভিশন চ্যানেল যেমন—দৈনিক আমার দেশ, চ্যানেল ওয়ান, দিগন্ত টিভি, সিএসবি ও ইসলামিক টিভি—বন্ধ করে দেয়। পাশাপাশি বহু অনলাইন পোর্টালও হয়রানির শিকার হয়।”

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ এবং সাইবার নিরাপত্তা আইন ২০২৩ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “এই কালাকানুনগুলো সাংবাদিক, লেখক ও মতপ্রকাশকারীদের দমনে ব্যবহৃত হয়েছে। আইন সংশোধনের নামে সরকার আইওয়াশ করেছে, বাস্তবে দমননীতির অবসান হয়নি।”

তিনি দাবি করেন, বর্তমান সরকার ৯টি ধারা রেখে বাকি কিছু ধারা বাতিল করলেও আইনটি এখনো গণমাধ্যমের স্বাধীনতা রক্ষার বদলে একটি নিয়ন্ত্রণের হাতিয়ার হিসেবেই ব্যবহৃত হচ্ছে।

মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, “যদি জনগণ জামায়াতে ইসলামীকে রাষ্ট্রক্ষমতায় আসার সুযোগ দেয়, তবে আমরা বাক-স্বাধীনতা, সংবাদপত্রের পেশাগত মান উন্নয়ন এবং সাংবাদিকদের জীবনমান রক্ষায় কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করব।”

তিনি আরও বলেন, “সংবাদপত্র রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ। গণতন্ত্র, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সাংবাদিকদের অবাধভাবে সত্য তুলে ধরার সুযোগ দিতে হবে।”

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

সংবাদপত্রের স্বাধীনতা রক্ষায় কাজ করবে জামায়াত: মিয়া গোলাম পরওয়ার

আপডেট সময় : ০৬:৩৫:০১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫

 

আবু রায়হান, স্টাফ রিপোর্টার

ঢাকা: বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, “সংবাদপত্রের স্বাধীনতা রক্ষা এবং সাংবাদিকদের স্বার্থরক্ষায় জামায়াতে ইসলামী সর্বদা সচেষ্ট থাকবে ইনশাআল্লাহ।” ১৬ জুন ‘সংবাদপত্রের কালো দিবস’ উপলক্ষে ১৫ জুন এক বিবৃতিতে তিনি এ মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, “১৯৭৫ সালের ১৬ জুন তৎকালীন সরকার বাকশাল গঠন করে গণতন্ত্রকে নির্বাসনে পাঠায় এবং মাত্র চারটি পত্রিকা—দৈনিক বাংলা, বাংলাদেশ টাইমস, ইত্তেফাক ও অবজারভার—সরকারি নিয়ন্ত্রণে রেখে বাকি সব পত্রিকার অনুমোদন বাতিল করে। এর ফলে হাজার হাজার সাংবাদিক ও সংবাদকর্মী বেকার হয়ে চরম মানবেতর জীবন যাপন করেন। এই দিনটি গণমাধ্যমের ইতিহাসে ‘কালো দিবস’ হিসেবে বিবেচিত।”

তিনি আরও অভিযোগ করেন, “আওয়ামী লীগ ২০০৯ সালে ক্ষমতায় এসে একই ধরণের দমননীতি অনুসরণ করেছে। সরকার একের পর এক সংবাদপত্র ও টেলিভিশন চ্যানেল যেমন—দৈনিক আমার দেশ, চ্যানেল ওয়ান, দিগন্ত টিভি, সিএসবি ও ইসলামিক টিভি—বন্ধ করে দেয়। পাশাপাশি বহু অনলাইন পোর্টালও হয়রানির শিকার হয়।”

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ এবং সাইবার নিরাপত্তা আইন ২০২৩ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “এই কালাকানুনগুলো সাংবাদিক, লেখক ও মতপ্রকাশকারীদের দমনে ব্যবহৃত হয়েছে। আইন সংশোধনের নামে সরকার আইওয়াশ করেছে, বাস্তবে দমননীতির অবসান হয়নি।”

তিনি দাবি করেন, বর্তমান সরকার ৯টি ধারা রেখে বাকি কিছু ধারা বাতিল করলেও আইনটি এখনো গণমাধ্যমের স্বাধীনতা রক্ষার বদলে একটি নিয়ন্ত্রণের হাতিয়ার হিসেবেই ব্যবহৃত হচ্ছে।

মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, “যদি জনগণ জামায়াতে ইসলামীকে রাষ্ট্রক্ষমতায় আসার সুযোগ দেয়, তবে আমরা বাক-স্বাধীনতা, সংবাদপত্রের পেশাগত মান উন্নয়ন এবং সাংবাদিকদের জীবনমান রক্ষায় কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করব।”

তিনি আরও বলেন, “সংবাদপত্র রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ। গণতন্ত্র, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সাংবাদিকদের অবাধভাবে সত্য তুলে ধরার সুযোগ দিতে হবে।”