সংবাদ শিরোনাম ::
তারেক রহমানের একত্রিশ দফার লিফলেট বিতরণ করেন আব্দুস সালাম তুহিন  চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ এর বিএনপির এমপি পদপ্রার্থী ইঞ্জিঃ মাসুদের বাড়ি -বাড়ি গিয়ে ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ ভুয়া ফেসবুক পেইজে গুজব ছড়ানোর প্রতিবাদ মহারাজপুর ইউপি চেয়ারম্যান রাজনের সুশাসনের ডাক: রাজশাহী-৫ এ জামায়াত প্রার্থী নুরজ্জামান লিটনের গণসংযোগ ও সমাবেশ। গোদাগাড়ীতে আটক সোনার বারকে ঘিরে ধোঁয়াশা তানোরে কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের মিলন মেলা নাইস গার্ডেন পার্কে অনুষ্ঠিত হবে আপনারা সকলে আমন্ত্রিত! গোমস্তাপুর আড্ডা থেকে নিখোঁজের দেড় মাসেও সন্ধান মেলেনি আজাহারের রাজশাহী-৬: বিএনপির মনোনয়ন যুদ্ধে এগিয়ে কে? বিদ্যুৎ সার্কিটে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে জামায়াতের সহায়তা প্রদান 📰 রাজশাহী-৫ আসনে গণজোয়ার: বেলপুকুরে জামায়াত প্রার্থীর নির্বাচনী প্রচারণা

ফ্যাসিবাদের দোসর এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী জহুরুল ইসলাম এখনও বহাল তবিয়তে!

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৪:০৪:১১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫ ১৭ বার পড়া হয়েছে
আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

সোহানুল হক পারভেজ রাজশাহী বিভাগীয় প্রধান :

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরে(এলজিইডি)রাজশাহী স্বৈরশাসকের আস্থাভাজন রাজশাহী (এলজিইডির) নির্বাহী প্রকৌশলী জহুরুল ইসলাম এখনও লোভনীয় পদে বসে আছেন,তার খুঁটির জোর কোথায়?।

গত ৫ই আগস্ট এর পর তিনি বিগত আওয়ামী সরকারের আরেক দোসর প্রধান প্রকৌশলী গোপালকৃষ্ণ দেবনাথ গোপালগঞ্জ বাড়ি তার সুপারিশে মোটা অঙ্কের উৎকোচের বিনিময়ে পদ বাগিয়ে নিয়েছেন দাপুটেএ প্রকৌশলী।

সেই ক্ষেত্রে নির্বাহী প্রকৌশলী জহুরুল ইসলামের,নাম উল্লেখযোগ্য।সে জয় বাংলার শ্লোগানে বিশ্বাসী হলেও বর্তমান খোলস পাল্টিয়ে ফেলেছেন।

সূত্র জানায়,ফ্যাসিবাদের দােসর নির্বাহী প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে গেলে।প্রকল্প থেকে মোটা অঙ্কের অর্থ লুটের টাকায় সব ম্যানেজ করে ফেলেছেন বলে সূত্র জানায়।

ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার পদত্যাগ করে পলায়নের পর দেশের অন্য সব সরকারি দপ্তর,অধিদপ্তরের ন্যায় এলজিইডিতেও চলছে চরম বিশৃঙ্খলা। এর নেপথ্যে কাজ করছেন শেখ হাসিনার মদদপুষ্টরা।শেখ হাসিনার পতনের দশ মাসেও তার বিরুদ্ধে দৃশ্যমান কোন কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি।

রাজশাহীতে বদলি হয়ে আসার পর তিনি বিভিন্ন অনিয়ম দুর্নীতি স্বেচ্ছাচারিতা নিয়ে তৎপর হয়ে ওঠেন।আ.লীগ পন্থি ঠিকাদারদের সুবিধা দিয়ে যাচ্ছেন রাতের অন্ধকারে গোপনে তাদের সাথে বৈঠক মিটিং করছেন এবং বড় বড় কাজগুলি তাদের নামে চুক্তি করছেন অনিয়মের মাধ্যমে।

গত( ২৯ এপ্রিল ২০২৫)রোজ মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে ১টা পর্যন্ত রাজশাহীর এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয়ে ঝটিকা অভিযান চালায় দুদকের একটি টিম।দুদকের জেলা সমন্বিত কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ইসমাইল হোসেন অভিযান শেষে বলেন, আমাদের কাছে অভিযোগ ছিল ঠিকাদারদের বিল প্রদানের ক্ষেত্রে এক্সট্রা কমিশন অর্থাৎ ঘুষ নেওয়া হচ্ছে। আমরা অফিসে নথিপত্র যাচাই করলাম, ঘুষের বিষয়ে তাৎক্ষণিক প্রমাণ পেয়েছি। তবে প্রকল্প সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার কাজ পেলেও অন্য লোক কাজ করছে, প্রত্যেকটা কাজের ক্ষেত্রেই এ অনিয়ম হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, প্রচলিত আইন অনুযায়ী একটা কাজ যে ঠিকাদার পাবেন তারই দায়িত্ব কাজটা শেষ করা। কিন্তু চুক্তিবদ্ধ ঠিকাদার কাজ না করে যখন তৃতীয় বা চতুর্থ ব্যক্তি দিয়ে করাচ্ছেন সেটা তো অনিয়ম। কাজ হস্তান্তরটা অপরাধের মধ্যেই পড়ে।

রাজশাহী এলজিডি নির্বাহী প্রকৌশলী এখনো বহাল তবিয়তে নির্বাহী প্রকৌশলী জহুরুল ইসলাম শত দুর্নীতির পরও এখনো দায়িত্ব পালন করছেন রাজশাহী ঠিকাদারদের অভিযোগ এবং দুর্নীতি দমনের অভিযানের পরও কিভাবে দায়িত্ব পালন করে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলতে চাই তাহলে কি তার আওয়ামী লীগের শিকড় এখনো দেশের ভিতরে অবস্থান করছে।

এ ব্যাপারে তারা এলজিইডির প্রধান প্রকৌশলী, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এবং সচিবের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

এ বিষয়ে রাজশাহী এলজিইডি’র নির্বাহী প্রকৌশলী জহুরুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি প্রতিবেদকের ওপর চড়াও হয়ে উঠেন এবং এ ব্যাপারে আমি কোন বক্তব্য দিবোনা বলে ফোন কেটে দেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ফ্যাসিবাদের দোসর এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী জহুরুল ইসলাম এখনও বহাল তবিয়তে!

আপডেট সময় : ০৪:০৪:১১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫

সোহানুল হক পারভেজ রাজশাহী বিভাগীয় প্রধান :

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরে(এলজিইডি)রাজশাহী স্বৈরশাসকের আস্থাভাজন রাজশাহী (এলজিইডির) নির্বাহী প্রকৌশলী জহুরুল ইসলাম এখনও লোভনীয় পদে বসে আছেন,তার খুঁটির জোর কোথায়?।

গত ৫ই আগস্ট এর পর তিনি বিগত আওয়ামী সরকারের আরেক দোসর প্রধান প্রকৌশলী গোপালকৃষ্ণ দেবনাথ গোপালগঞ্জ বাড়ি তার সুপারিশে মোটা অঙ্কের উৎকোচের বিনিময়ে পদ বাগিয়ে নিয়েছেন দাপুটেএ প্রকৌশলী।

সেই ক্ষেত্রে নির্বাহী প্রকৌশলী জহুরুল ইসলামের,নাম উল্লেখযোগ্য।সে জয় বাংলার শ্লোগানে বিশ্বাসী হলেও বর্তমান খোলস পাল্টিয়ে ফেলেছেন।

সূত্র জানায়,ফ্যাসিবাদের দােসর নির্বাহী প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে গেলে।প্রকল্প থেকে মোটা অঙ্কের অর্থ লুটের টাকায় সব ম্যানেজ করে ফেলেছেন বলে সূত্র জানায়।

ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার পদত্যাগ করে পলায়নের পর দেশের অন্য সব সরকারি দপ্তর,অধিদপ্তরের ন্যায় এলজিইডিতেও চলছে চরম বিশৃঙ্খলা। এর নেপথ্যে কাজ করছেন শেখ হাসিনার মদদপুষ্টরা।শেখ হাসিনার পতনের দশ মাসেও তার বিরুদ্ধে দৃশ্যমান কোন কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি।

রাজশাহীতে বদলি হয়ে আসার পর তিনি বিভিন্ন অনিয়ম দুর্নীতি স্বেচ্ছাচারিতা নিয়ে তৎপর হয়ে ওঠেন।আ.লীগ পন্থি ঠিকাদারদের সুবিধা দিয়ে যাচ্ছেন রাতের অন্ধকারে গোপনে তাদের সাথে বৈঠক মিটিং করছেন এবং বড় বড় কাজগুলি তাদের নামে চুক্তি করছেন অনিয়মের মাধ্যমে।

গত( ২৯ এপ্রিল ২০২৫)রোজ মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে ১টা পর্যন্ত রাজশাহীর এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয়ে ঝটিকা অভিযান চালায় দুদকের একটি টিম।দুদকের জেলা সমন্বিত কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ইসমাইল হোসেন অভিযান শেষে বলেন, আমাদের কাছে অভিযোগ ছিল ঠিকাদারদের বিল প্রদানের ক্ষেত্রে এক্সট্রা কমিশন অর্থাৎ ঘুষ নেওয়া হচ্ছে। আমরা অফিসে নথিপত্র যাচাই করলাম, ঘুষের বিষয়ে তাৎক্ষণিক প্রমাণ পেয়েছি। তবে প্রকল্প সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার কাজ পেলেও অন্য লোক কাজ করছে, প্রত্যেকটা কাজের ক্ষেত্রেই এ অনিয়ম হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, প্রচলিত আইন অনুযায়ী একটা কাজ যে ঠিকাদার পাবেন তারই দায়িত্ব কাজটা শেষ করা। কিন্তু চুক্তিবদ্ধ ঠিকাদার কাজ না করে যখন তৃতীয় বা চতুর্থ ব্যক্তি দিয়ে করাচ্ছেন সেটা তো অনিয়ম। কাজ হস্তান্তরটা অপরাধের মধ্যেই পড়ে।

রাজশাহী এলজিডি নির্বাহী প্রকৌশলী এখনো বহাল তবিয়তে নির্বাহী প্রকৌশলী জহুরুল ইসলাম শত দুর্নীতির পরও এখনো দায়িত্ব পালন করছেন রাজশাহী ঠিকাদারদের অভিযোগ এবং দুর্নীতি দমনের অভিযানের পরও কিভাবে দায়িত্ব পালন করে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলতে চাই তাহলে কি তার আওয়ামী লীগের শিকড় এখনো দেশের ভিতরে অবস্থান করছে।

এ ব্যাপারে তারা এলজিইডির প্রধান প্রকৌশলী, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এবং সচিবের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

এ বিষয়ে রাজশাহী এলজিইডি’র নির্বাহী প্রকৌশলী জহুরুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি প্রতিবেদকের ওপর চড়াও হয়ে উঠেন এবং এ ব্যাপারে আমি কোন বক্তব্য দিবোনা বলে ফোন কেটে দেন।