সংবাদ শিরোনাম ::
তারেক রহমানের একত্রিশ দফার লিফলেট বিতরণ করেন আব্দুস সালাম তুহিন  চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ এর বিএনপির এমপি পদপ্রার্থী ইঞ্জিঃ মাসুদের বাড়ি -বাড়ি গিয়ে ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ ভুয়া ফেসবুক পেইজে গুজব ছড়ানোর প্রতিবাদ মহারাজপুর ইউপি চেয়ারম্যান রাজনের সুশাসনের ডাক: রাজশাহী-৫ এ জামায়াত প্রার্থী নুরজ্জামান লিটনের গণসংযোগ ও সমাবেশ। গোদাগাড়ীতে আটক সোনার বারকে ঘিরে ধোঁয়াশা তানোরে কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের মিলন মেলা নাইস গার্ডেন পার্কে অনুষ্ঠিত হবে আপনারা সকলে আমন্ত্রিত! গোমস্তাপুর আড্ডা থেকে নিখোঁজের দেড় মাসেও সন্ধান মেলেনি আজাহারের রাজশাহী-৬: বিএনপির মনোনয়ন যুদ্ধে এগিয়ে কে? বিদ্যুৎ সার্কিটে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে জামায়াতের সহায়তা প্রদান 📰 রাজশাহী-৫ আসনে গণজোয়ার: বেলপুকুরে জামায়াত প্রার্থীর নির্বাচনী প্রচারণা

তফসিল ঘোষণা না হলেও পৌর নির্বাচনে তানোরে ছাত্রদল নেতা মালেকের আগাম প্রচারণা, বাড়ছে জনসমর্থন

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০২:৩৭:১৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ জুলাই ২০২৫ ১৯ বার পড়া হয়েছে
আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

সোহানুল হক পারভেজ রাজশাহী বিভাগীয় প্রধান :ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকার পতনে দেশে আন্তবর্তী সরকার ক্ষমতায় আসে। এরপর রাজশাহীর তানোর পৌরসভায় নির্বাচিত মেয়র সড়িয়ে পৌর প্রশাসক হিসেবে ইউএনওকে নিয়োগ দেয় সরকার। কিন্তু তফসিল ঘোষণা না হলেও মেয়রপদে আগাম নির্বাচনি প্রচারণায় সরব হয়ে উঠেছে বেশ কয়েকটি দলের নেতারা। এরমধ্যে অন্যতম তানোর উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি এম এ মালেক মন্ডল। বাড়ি তানোর পৌর সদরের আমশো মহল্লায়। তার বাবার নাম মরহুম আব্দুল হামিদ মন্ডল। তিনি এমএ ডিগ্রিধারী। তার স্ত্রী নাজমা পারভীন। তানোর পৌরসভা হাইস্কুলের শিক্ষিকা। বড়ভাই আব্দুল খালেক পৌরসভার সাবেক সফল কাউন্সিলর। বিরাট নাম করা ঐতিহ্যবাহী বংশে জন্ম তার। তারা ৪ ভাই ও ৪ বোন সবাই বিএনপির কর্মী সমর্থক। ইতোমধ্যেই ঈদ শুভেচ্ছায় প্রার্থীতা জানান দিতে পৌর এলাকার গুরুত্বপূর্ণ স্থানজুড়ে রঙিন পোস্টার, ব্যানার ও ফেস্টুনে ভরে তুলেছেন তিনি ও তার অনুসারী নেতাকর্মী আর সমর্থকরা। এতে একদিকে যেমন শোভা পাচ্ছে অন্যদিকে তিনি বিএনপির একক প্রার্থী হলে বিজয়ী হবেন এমন জল্পনা-কল্পনা চলছে পাড়া মহল্লাজুড়ে। সেই সাথে পৌর বিএনপির সভাপতি পদে প্রার্থিতা জানান দিয়ে সাংঠনিক তৎপরতা বাড়িয়েছেন তিনি। এম এ মালেক মন্ডল বলেন, ছাত্রজীবন থেকেই বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। আমি ১৯৯৫ সালে এসএসসি পরীক্ষার্থী তখন ছাত্রদলে যোগ দেই। মূলত রাজশাহী জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও তানোর বিএনপির সভাপতি এবং মুন্ডুমালা পৌরসভার সাবেক মেয়র মরহুম শীশ মোহাম্মদ দলের প্রতি তার ভালোবাসা ও আনুগত্য লক্ষ্য করে তানোর উপজেলা ছাত্রদলের প্রচার সম্পাদক পদ পাইয়ে দেন। পরবর্তীতে শীশ ভাইয়ের আর্শিবাদে তানোর পৌর ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সেই সময়ে জেলা ছাত্রদলের সদস্যপদে দায়িত্ব পালন করি। তিনি আরও বলেন, মরহুম শীশ মোহাম্মদ ভাইয়ের দোয়া আর নিজের সাংগঠনিক দক্ষতায় ২০০৭ সালে কাউন্সিলের মাধ্যমে তানোর উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি পদে নির্বাচিত ওই। এরপর ২০১৭ সালে তোফাজ্জল হোসেন তপু ও মতিউর রহমান মন্টু স্বাক্ষরিত কমিটির তানোর পৌর বিএনপির সদস্য সচিব পদ পাই। পরে ২০১৮ সালে তানোর উপজেলা কৃষকদলের সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করি। এসময় আমি দলের জন্য ও নেতাকর্মীদের জন্য ব্যাপক কাজ করেছি। বিএনপির দুর্দিনে নিজের পকেটের টাকাপয়সা খরচ করে দলকে শক্তিশালী করতে কাজ করেছি এখনো করছি। দলে তার সাংগঠনিক কর্মতৎপরতা দমানোর জন্য আওয়ামী লীগ সরকার শাসন আমলে ১৫ বছরে তার বিরুদ্ধে ১৭টি রাজতৈনিক মামলা হয়। তানোরে তার বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ রাজনৈতিক মিথ্যা মামলা দেয়া হয়। এতে তিনি ৯ বার হাজত বাস করেছেন। বর্তমানে ৬টি মামলা হতে খালাস পেয়েছেন। অন্য মামলায় কোর্টে হাজিরা দিতে হয়। এরপরও তিনি দলের নির্যাতিত নেতাকর্মীর পাশে থেকে সাহস জুগিয়েছেন। পাশাপাশি তাকে পৌর বিএনপির সভাপতির দায়িত্ব দেয়া হলে তিনি দলকে সাংঠনিক ভাবে শক্তিশালী করতে সর্বাত্নক চেস্টা করবেন বলে জানান এই তরুণ নেতা। এব্যাপারে তানোর পৌর বিএনপির ক্লিক ইমেজ নেতা ওমর আলী বলেন, আগামীতে তানোর পৌরসভা নির্বাচনে বিএনপি থেকে মালেককে মনোনয়ন দেয়া হলে দলকে মেয়রপদ উপহার দেয়া যাবে বলে আশাবাদী তিনি। বিএনপির দুর্দিনে নিজের পকেটের টাকাপয়সা খরচ করে মালেক দলকে শক্তিশালী করতে কাজ করেছে এখনো করে যাচ্ছে। আমরা তার পাশে আছি বলে তিনি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

তফসিল ঘোষণা না হলেও পৌর নির্বাচনে তানোরে ছাত্রদল নেতা মালেকের আগাম প্রচারণা, বাড়ছে জনসমর্থন

আপডেট সময় : ০২:৩৭:১৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ জুলাই ২০২৫

 

সোহানুল হক পারভেজ রাজশাহী বিভাগীয় প্রধান :ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকার পতনে দেশে আন্তবর্তী সরকার ক্ষমতায় আসে। এরপর রাজশাহীর তানোর পৌরসভায় নির্বাচিত মেয়র সড়িয়ে পৌর প্রশাসক হিসেবে ইউএনওকে নিয়োগ দেয় সরকার। কিন্তু তফসিল ঘোষণা না হলেও মেয়রপদে আগাম নির্বাচনি প্রচারণায় সরব হয়ে উঠেছে বেশ কয়েকটি দলের নেতারা। এরমধ্যে অন্যতম তানোর উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি এম এ মালেক মন্ডল। বাড়ি তানোর পৌর সদরের আমশো মহল্লায়। তার বাবার নাম মরহুম আব্দুল হামিদ মন্ডল। তিনি এমএ ডিগ্রিধারী। তার স্ত্রী নাজমা পারভীন। তানোর পৌরসভা হাইস্কুলের শিক্ষিকা। বড়ভাই আব্দুল খালেক পৌরসভার সাবেক সফল কাউন্সিলর। বিরাট নাম করা ঐতিহ্যবাহী বংশে জন্ম তার। তারা ৪ ভাই ও ৪ বোন সবাই বিএনপির কর্মী সমর্থক। ইতোমধ্যেই ঈদ শুভেচ্ছায় প্রার্থীতা জানান দিতে পৌর এলাকার গুরুত্বপূর্ণ স্থানজুড়ে রঙিন পোস্টার, ব্যানার ও ফেস্টুনে ভরে তুলেছেন তিনি ও তার অনুসারী নেতাকর্মী আর সমর্থকরা। এতে একদিকে যেমন শোভা পাচ্ছে অন্যদিকে তিনি বিএনপির একক প্রার্থী হলে বিজয়ী হবেন এমন জল্পনা-কল্পনা চলছে পাড়া মহল্লাজুড়ে। সেই সাথে পৌর বিএনপির সভাপতি পদে প্রার্থিতা জানান দিয়ে সাংঠনিক তৎপরতা বাড়িয়েছেন তিনি। এম এ মালেক মন্ডল বলেন, ছাত্রজীবন থেকেই বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। আমি ১৯৯৫ সালে এসএসসি পরীক্ষার্থী তখন ছাত্রদলে যোগ দেই। মূলত রাজশাহী জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও তানোর বিএনপির সভাপতি এবং মুন্ডুমালা পৌরসভার সাবেক মেয়র মরহুম শীশ মোহাম্মদ দলের প্রতি তার ভালোবাসা ও আনুগত্য লক্ষ্য করে তানোর উপজেলা ছাত্রদলের প্রচার সম্পাদক পদ পাইয়ে দেন। পরবর্তীতে শীশ ভাইয়ের আর্শিবাদে তানোর পৌর ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সেই সময়ে জেলা ছাত্রদলের সদস্যপদে দায়িত্ব পালন করি। তিনি আরও বলেন, মরহুম শীশ মোহাম্মদ ভাইয়ের দোয়া আর নিজের সাংগঠনিক দক্ষতায় ২০০৭ সালে কাউন্সিলের মাধ্যমে তানোর উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি পদে নির্বাচিত ওই। এরপর ২০১৭ সালে তোফাজ্জল হোসেন তপু ও মতিউর রহমান মন্টু স্বাক্ষরিত কমিটির তানোর পৌর বিএনপির সদস্য সচিব পদ পাই। পরে ২০১৮ সালে তানোর উপজেলা কৃষকদলের সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করি। এসময় আমি দলের জন্য ও নেতাকর্মীদের জন্য ব্যাপক কাজ করেছি। বিএনপির দুর্দিনে নিজের পকেটের টাকাপয়সা খরচ করে দলকে শক্তিশালী করতে কাজ করেছি এখনো করছি। দলে তার সাংগঠনিক কর্মতৎপরতা দমানোর জন্য আওয়ামী লীগ সরকার শাসন আমলে ১৫ বছরে তার বিরুদ্ধে ১৭টি রাজতৈনিক মামলা হয়। তানোরে তার বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ রাজনৈতিক মিথ্যা মামলা দেয়া হয়। এতে তিনি ৯ বার হাজত বাস করেছেন। বর্তমানে ৬টি মামলা হতে খালাস পেয়েছেন। অন্য মামলায় কোর্টে হাজিরা দিতে হয়। এরপরও তিনি দলের নির্যাতিত নেতাকর্মীর পাশে থেকে সাহস জুগিয়েছেন। পাশাপাশি তাকে পৌর বিএনপির সভাপতির দায়িত্ব দেয়া হলে তিনি দলকে সাংঠনিক ভাবে শক্তিশালী করতে সর্বাত্নক চেস্টা করবেন বলে জানান এই তরুণ নেতা। এব্যাপারে তানোর পৌর বিএনপির ক্লিক ইমেজ নেতা ওমর আলী বলেন, আগামীতে তানোর পৌরসভা নির্বাচনে বিএনপি থেকে মালেককে মনোনয়ন দেয়া হলে দলকে মেয়রপদ উপহার দেয়া যাবে বলে আশাবাদী তিনি। বিএনপির দুর্দিনে নিজের পকেটের টাকাপয়সা খরচ করে মালেক দলকে শক্তিশালী করতে কাজ করেছে এখনো করে যাচ্ছে। আমরা তার পাশে আছি বলে তিনি।