শিবগঞ্জে জোর করে তুলে নিয়ে মানসিক ও বাক প্রতিবন্ধী মেয়েকে ধর্ষণ
- আপডেট সময় : ০৪:০৮:৪৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ অগাস্ট ২০২৫ ১৩ বার পড়া হয়েছে

রিপন আলী চাঁপাইনবাবগঞ্জ
চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার চককীত্তি ইউনিয়ন চকনরেন্দ্র গ্রামে, জলি নামে এক বাক প্রতিবন্ধী নারীকে আমড়া খাওয়ার লোভ দেখিয়ে বাড়িতে বাড়িতে ডেকে জোরপূর্বক ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে । ধর্ষণের পর থেকে পলাতক রয়েছেন অভিযুক্ত ধর্ষক প্রতিবেশী।
স্থানীয় ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, প্রতিবেশী তোসলিম উদ্দীনের ছেলে মোফাসসের হোসেন ইমন গত ২২ আগষ্ট ভিকটিমের বাড়িতে গিয়ে আমড়া খাওয়ার লোভ দেখিয়ে, ইমনের বাড়িতে নিয়ে গিয়ে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে। পরে জলিকে ঈশারা ইঙ্গিতে কাউকে কিছু না বলার জন্য হুমকি দিয়ে ঘরে তালা বন্ধ করে রেখে চলে যায় ইমন।
ভিকটিমের মা জানান ,আমার এক আত্মীয় মারা যান আমার বাক প্রতিবন্ধী মেয়েকে বাড়িতে রেখে, আমি তাকে দেখতে যায়,। আমার আত্মীয়কে দেখে বাড়িতে ফিরে আমার মেয়েকে দেখতে না পেয়ে বিভিন্ন জায়গায় খোজা খুজি করি। আমার মেয়েকে খুঁজে পাওয়া না গেলে, এলাকার লোকজন নিয়ে প্রতিবেশীদের বাড়িতে খুজাখুজি করি। খোঁজাখোঁজির একপর্যায়ে তসলিম উদ্দিনের ছেলে ইমনের ঘরে আমার মেয়েকে দেখতে পাই । ইমনের ঘরে আমার মেয়েকে দেখতে পেয়ে, ৯৯৯ ফোন দিলে শিবগঞ্জ থানার এসআই পিয়ারুল ইসলাম, সহ কয়েকজন পুলিশ এসে আমার মেয়েকে উদ্ধার করে, আমার কাছে রেখে যান। আমার মেয়ে আমাকে ইশারায় বলেন, আমি বাড়িতে না থাকার সুযোগে প্রতিবেশি ইমন আমার মেয়েকে, আমড়া খাওয়ার লোভ দেখিয়ে তার ঘরে নিয়ে ধর্ষন করে।
কয়েকজন প্রতিবেশী জানান, জলি মানসিক ও বাক প্রতিবন্ধী হওয়ায় , কথা বলতে পারেন না, তাদের বাড়ীর পাশে মহানন্দা নদী আমরা প্রথমে ভেবেছিলাম জলি পানিতে ডুবে মারা গেছে, আমরা সবাই মিলে, নদীতে খোজাখুজি করি, খোজাখুজি করে না পাওয়ায়, আমরা একে অপরের বাড়িতে খুজে দেখি, তোসলিম উদ্দীনের বাড়িতে তালা মারা থাকায়, বাড়ীর ভিতরে প্রবেশ করা সম্ভব হয়নি, তবে বাচ্চা ছেলেরা তোসলিম উদ্দীনের বাড়ির জানালায় উঠে দেখেন, জলি অচেতন অবস্থায় তোসলিম উদ্দীনের ছেলে ইমনের বিছানার উপর সূয়ে আছেন, পরে শিবগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনা স্থলে এসে মেয়েটিকে উদ্ধার করে তার মায়ের কাছে রেখে যান।
ভিকটিমের মামা বাদল হোসেন ও প্রতিবেশী লাইলী বেগম বলেন, ইমনের চাচা ইয়াসিন আলী পুলিশের সাব ইন্সপেক্টর পদে চাকরি করেন, সেই সুবাদে এলাকায় মাদক থেকে শুরু করে এমন কোন অপরাধ নাই যে তারা করেন না, কেউ প্রতিবাদ করতে গেলে তার উপর নেমে আসে অমানবিক নির্যাতন। সংবাদ সংগ্রহ কালে সংবাদকর্মীদের দেখে গ্রামবাসীরা তাদের বিভিন্ন অপকর্ম তুলে ধরে তাঁকে দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানান।
এ বিষয়ে শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম কিবরিয়া, বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এজাহার পেয়েছি, আসামি গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।






















