সংবাদ শিরোনাম ::
তারেক রহমানের একত্রিশ দফার লিফলেট বিতরণ করেন আব্দুস সালাম তুহিন  চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ এর বিএনপির এমপি পদপ্রার্থী ইঞ্জিঃ মাসুদের বাড়ি -বাড়ি গিয়ে ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ ভুয়া ফেসবুক পেইজে গুজব ছড়ানোর প্রতিবাদ মহারাজপুর ইউপি চেয়ারম্যান রাজনের সুশাসনের ডাক: রাজশাহী-৫ এ জামায়াত প্রার্থী নুরজ্জামান লিটনের গণসংযোগ ও সমাবেশ। গোদাগাড়ীতে আটক সোনার বারকে ঘিরে ধোঁয়াশা তানোরে কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের মিলন মেলা নাইস গার্ডেন পার্কে অনুষ্ঠিত হবে আপনারা সকলে আমন্ত্রিত! গোমস্তাপুর আড্ডা থেকে নিখোঁজের দেড় মাসেও সন্ধান মেলেনি আজাহারের রাজশাহী-৬: বিএনপির মনোনয়ন যুদ্ধে এগিয়ে কে? বিদ্যুৎ সার্কিটে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে জামায়াতের সহায়তা প্রদান 📰 রাজশাহী-৫ আসনে গণজোয়ার: বেলপুকুরে জামায়াত প্রার্থীর নির্বাচনী প্রচারণা

নাচোল স্বাস্থ্য কর্মকর্তার স্বেচ্ছাচারীতা: সাংবাদিকদের সাথে অসদাচরণ, ব্যক্তিগত বাহিনীর হুমকি

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৩:০৩:২১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ অগাস্ট ২০২৫ ১০৯ বার পড়া হয়েছে
আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

 

ফারুক হোসেন ডন, নাচোল প্রতিনিধিঃ চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সাংবাদিকদের সাথে প্রকাশ্য অসদাচরণ ও হুমকির ঘটনা ঘটিয়েছেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মিজানুর রহমান। সোমবার দুপুরে তথ্য সংগ্রহে গেলে তিনি শুধু তথ্য দিতে অস্বীকৃতি জানাননি, বরং ব্যক্তিগত সংঘবদ্ধ বাহিনী দিয়ে সাংবাদিকদের ওপর চড়াও হন।

সাংবাদিক সূত্রে জানা যায়, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অ্যাম্বুলেন্স চলাচল দীর্ঘদিন বন্ধ থাকা এবং স্থানীয় একটি পেট্রোলপাম্পে প্রায় ১৫ লাখ টাকা বকেয়ার তথ্য চাইতে যান নাচোলসাংবাদিক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শাকিল রেজা (দৈনিক আমাদের সময়), সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম (দৈনিক সমকাল পত্রিকার নাচোল সংবাদ) ও অর্থ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম (দৈনিক রূপালী বাংলাদেশ)। তারা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে তথ্য চান।
কিন্তু তথ্য না দিয়ে ডা. মিজানুর রহমান সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে তাচ্ছিল্যভরা কণ্ঠে বলেন— আপনারা চাইলেই তথ্য দেওয়া যাবে না। তথ্য আইনে আবেদন করুন, তারপর পাবেন।এরপর তিনি সাংবাদিকদের পরিচয় নিয়ে প্রশ্ন তোলেন এবং জেনুইন কার্ড আছে কিনা জানতে চান। সাংবাদিকরা প্রতিবাদ করলে তিনি উত্তপ্ত হয়ে ওঠেন এবং বলেন—এটা আমার বাড়ি, এখানে আসলে পরিচয় দিতে হবে না। সাংবাদিকরা স্পষ্ট করে জানান, এটা আপনার বাড়ি নয়, এটা সরকারি কর্মস্থল।
একপর্যায়ে ক্ষিপ্ত ডা. মিজানুর রহমান সাংবাদিকদের উদ্দেশে গলা চড়িয়ে বলেন— আমি নির্বাহী অফিসার ক্যাটাগরির মানুষ। আমার সাথে কথা বললে হিসেব করে বলতে হবে। আমাকে আইন শেখাতে আসবেন না। আপনারা সরকারি কাজে বাধা দিচ্ছেন—এর ফলাফল কি হতে পারে জানেন তো? এসময় তার ব্যক্তিগত বাহিনী সাংবাদিকদের ওপর খারাপ আচরণ শুরু করে।
ঘটনার পর সাংবাদিকরা মার্জিতভাবে পরিস্থিতি সামলানোর চেষ্টা করেন এবং ডা. মিজানুর রহমানকে তার অতীত অনিয়মের কথা স্মরণ করিয়ে দেন। তখন তিনি কিছুটা নরম হন।
উল্লেখ্য, এর আগে খুলনা মেডিকেল কলেজে কর্মরত অবস্থায় ডা. মিজানুর রহমানের নানা দুর্নীতি ও অনিয়ম ধরা পড়েছিল। সেখানে অনিয়মের তথ্য সংগ্রহে গেলে খুলনার সাংবাদিকদের সাথেও তিনি একইভাবে অসদাচরণ করেন। পরে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পরিচালকের কক্ষে বসে সাংবাদিকদের কাছে ক্ষমা চাইতে বাধ্য হন তিনি। এমনকি ভিডিওচিত্রে তাকে রোগীদের সাথেও দুর্ব্যবহার করতে দেখা গেছে, যার সমাধান তিনি পরে বাড়িতে গিয়ে করার চেষ্টা করেছিলেন। স্থানীয় সাংবাদিক মহল এ ঘটনাকে প্রশাসনিক স্বেচ্ছাচারিতা, আইনের চরম অবমাননা এবং সাংবাদিকতার স্বাধীনতার ওপর নগ্ন হস্তক্ষেপ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তারা দ্রুত তদন্ত করে ডা. মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

নাচোল স্বাস্থ্য কর্মকর্তার স্বেচ্ছাচারীতা: সাংবাদিকদের সাথে অসদাচরণ, ব্যক্তিগত বাহিনীর হুমকি

আপডেট সময় : ০৩:০৩:২১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ অগাস্ট ২০২৫

 

 

ফারুক হোসেন ডন, নাচোল প্রতিনিধিঃ চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সাংবাদিকদের সাথে প্রকাশ্য অসদাচরণ ও হুমকির ঘটনা ঘটিয়েছেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মিজানুর রহমান। সোমবার দুপুরে তথ্য সংগ্রহে গেলে তিনি শুধু তথ্য দিতে অস্বীকৃতি জানাননি, বরং ব্যক্তিগত সংঘবদ্ধ বাহিনী দিয়ে সাংবাদিকদের ওপর চড়াও হন।

সাংবাদিক সূত্রে জানা যায়, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অ্যাম্বুলেন্স চলাচল দীর্ঘদিন বন্ধ থাকা এবং স্থানীয় একটি পেট্রোলপাম্পে প্রায় ১৫ লাখ টাকা বকেয়ার তথ্য চাইতে যান নাচোলসাংবাদিক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শাকিল রেজা (দৈনিক আমাদের সময়), সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম (দৈনিক সমকাল পত্রিকার নাচোল সংবাদ) ও অর্থ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম (দৈনিক রূপালী বাংলাদেশ)। তারা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে তথ্য চান।
কিন্তু তথ্য না দিয়ে ডা. মিজানুর রহমান সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে তাচ্ছিল্যভরা কণ্ঠে বলেন— আপনারা চাইলেই তথ্য দেওয়া যাবে না। তথ্য আইনে আবেদন করুন, তারপর পাবেন।এরপর তিনি সাংবাদিকদের পরিচয় নিয়ে প্রশ্ন তোলেন এবং জেনুইন কার্ড আছে কিনা জানতে চান। সাংবাদিকরা প্রতিবাদ করলে তিনি উত্তপ্ত হয়ে ওঠেন এবং বলেন—এটা আমার বাড়ি, এখানে আসলে পরিচয় দিতে হবে না। সাংবাদিকরা স্পষ্ট করে জানান, এটা আপনার বাড়ি নয়, এটা সরকারি কর্মস্থল।
একপর্যায়ে ক্ষিপ্ত ডা. মিজানুর রহমান সাংবাদিকদের উদ্দেশে গলা চড়িয়ে বলেন— আমি নির্বাহী অফিসার ক্যাটাগরির মানুষ। আমার সাথে কথা বললে হিসেব করে বলতে হবে। আমাকে আইন শেখাতে আসবেন না। আপনারা সরকারি কাজে বাধা দিচ্ছেন—এর ফলাফল কি হতে পারে জানেন তো? এসময় তার ব্যক্তিগত বাহিনী সাংবাদিকদের ওপর খারাপ আচরণ শুরু করে।
ঘটনার পর সাংবাদিকরা মার্জিতভাবে পরিস্থিতি সামলানোর চেষ্টা করেন এবং ডা. মিজানুর রহমানকে তার অতীত অনিয়মের কথা স্মরণ করিয়ে দেন। তখন তিনি কিছুটা নরম হন।
উল্লেখ্য, এর আগে খুলনা মেডিকেল কলেজে কর্মরত অবস্থায় ডা. মিজানুর রহমানের নানা দুর্নীতি ও অনিয়ম ধরা পড়েছিল। সেখানে অনিয়মের তথ্য সংগ্রহে গেলে খুলনার সাংবাদিকদের সাথেও তিনি একইভাবে অসদাচরণ করেন। পরে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পরিচালকের কক্ষে বসে সাংবাদিকদের কাছে ক্ষমা চাইতে বাধ্য হন তিনি। এমনকি ভিডিওচিত্রে তাকে রোগীদের সাথেও দুর্ব্যবহার করতে দেখা গেছে, যার সমাধান তিনি পরে বাড়িতে গিয়ে করার চেষ্টা করেছিলেন। স্থানীয় সাংবাদিক মহল এ ঘটনাকে প্রশাসনিক স্বেচ্ছাচারিতা, আইনের চরম অবমাননা এবং সাংবাদিকতার স্বাধীনতার ওপর নগ্ন হস্তক্ষেপ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তারা দ্রুত তদন্ত করে ডা. মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।