সংবাদ শিরোনাম ::
তারেক রহমানের একত্রিশ দফার লিফলেট বিতরণ করেন আব্দুস সালাম তুহিন  চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ এর বিএনপির এমপি পদপ্রার্থী ইঞ্জিঃ মাসুদের বাড়ি -বাড়ি গিয়ে ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ ভুয়া ফেসবুক পেইজে গুজব ছড়ানোর প্রতিবাদ মহারাজপুর ইউপি চেয়ারম্যান রাজনের সুশাসনের ডাক: রাজশাহী-৫ এ জামায়াত প্রার্থী নুরজ্জামান লিটনের গণসংযোগ ও সমাবেশ। গোদাগাড়ীতে আটক সোনার বারকে ঘিরে ধোঁয়াশা তানোরে কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের মিলন মেলা নাইস গার্ডেন পার্কে অনুষ্ঠিত হবে আপনারা সকলে আমন্ত্রিত! গোমস্তাপুর আড্ডা থেকে নিখোঁজের দেড় মাসেও সন্ধান মেলেনি আজাহারের রাজশাহী-৬: বিএনপির মনোনয়ন যুদ্ধে এগিয়ে কে? বিদ্যুৎ সার্কিটে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে জামায়াতের সহায়তা প্রদান 📰 রাজশাহী-৫ আসনে গণজোয়ার: বেলপুকুরে জামায়াত প্রার্থীর নির্বাচনী প্রচারণা

ফলন বিপর্যয়ের শঙ্কা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৩:০৭:৩১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ অগাস্ট ২০২৫ ১৮ বার পড়া হয়েছে
আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

তানোরে আমন খেতে সাতরা পোকার আক্রমণ
সোহানুল হক পারভেজ রাজশাহী বিভাগীয় প্রধান : রাজশাহীর তানোরে আমন খেতে সাতরা পোকার আক্রমণে ধান গাছের পাতা হলুদ রং হয়ে পড়েছে। শুধু হলুদ কালার না যেখানে এই পোকার আক্রমণ সেখানকার ধান গাছ নেই বললেই চলে। এরোগ থেকে ধান গাছের পাতা কে রক্ষা করতে বিভিন্ন কীটনাশক ব্যবহার করেও দূর করতে পারেন নি কৃষক রা। যে জমিতে এর আক্রমণ সেই জমিতে অর্ধেক ফলনও হবে না।

অপরদিকে রোগ দূর করতে কৃষি অফিস থেকে সঠিক পরামর্শ পায়নি কৃষকরা। একারণে রোগ দূর হয়নি, আস্তে আস্তে পুরো জমির ধান পুড়ে যাওয়ার মত অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। ফলে কৃষি অফিসের উদাসীনতার কারনে রোগ দূর করতে পারেন নি কৃষকরা।পৌর এলাকার সিন্দুকাই গ্রামের কৃষক তাইনুস বলেন, আমি ৮ বিঘা জমিতে রোপা আমন লাগিয়েছি। প্রায় জমিতে এরোগের প্রভাব পড়লেও তার মধ্যে এক বিঘা জমিতে এরোগ প্রচুর আকার ধারণ করেছে। পচন ও কারেন্ট পোকার বিষ দিয়েও দূর হয়নি। এখন পর্যন্ত কৃষি অফিসের লোকজনের কোন দেখাও পাওয়া যায়নি। একারণে রোগও দূর হয়নি এবং একবিঘা জমিতে খরচ হয়েছে প্রকার ভেদে ১২/১৪ হাজার টাকা।পৌর এলাকার গুবিরপাড়া গ্রামের কৃষক সাহেব আলী বলেন প্রায় জমিতে এরোগের প্রভাব দেখা দিয়েছে। আমার ১০ কাঠা জমিতে এরোগ হয়েছে, প্রথম দিকে মনে হয়েছিল কারেন্ট পোকা কিংবা পচন রোগের কারনে ধান গাছের পাতা হলুদ হয়ে পড়েছে। শুধু আমার না বড় ভাই মোস্তফার দেড় বিঘা জমিতে এরোগ, তসলিমের একবিঘা, কাবিলের, ১৫ কাঠা, জমিতে। এধরণের রোগ আগে কখনো দেখা যায়নি একারণে কারেন্ট পোক ও পচনের বিষ দেয়া হয়েছিল। কিন্তু রোগ দূর হওয়ার বিপরীতে দিনের দিন ধান গাছের পাতা পুড়ে যাচ্ছিল। এখন বসে গেছে, ফলন হবেনা।পাঁচন্দর ইউপির প্রানপুর পাঠাকাটা গ্রামের কৃষক কামরুল বলেন, প্রথম দিকে অল্প পরিমানে ধানগাছের পাতা হলুদ আকার ধারন করে। আমি ২০ বিঘা জমিতে রোপা আমন লাগিয়েছে, এর মধ্যে ১ বিঘা জমির ধানে এরোগ।

তিনি আরও বলেন জাহাঙ্গীরের ২ বিঘা, এরবান ৭ বিঘা জমিতে চাষাবাদ করেছে তার মধ্যে দেড় বিঘায় এরোগ, রফিকের, ১৪ বিঘার মধ্যে একবিঘায়, আইনুল মাস্টার ৭ বিঘের মধ্যে দেড় বিঘায় রোগের আক্রমণ। রোগটি এবার প্রথম বলে মনে করছেন কৃষকরা। এজন্য তারা বুঝতেই পারেন নি কিভাবে রোগ দূর করতে হবে। অনেকে বালাইনাশক দোকানীর পরামর্শে বিষ দিয়েছেন, কিন্ত কোন ফল পায়নি।
সরেজমিনে দেখা যায়, তানোর থেকে মুন্ডুমালা পর্যন্ত জমি গুলোতে এরোগের প্রভাব প্রচুর পরিমানে। জমির মাঝে মাঝে ধানগাছের পাতা হলুদ আকার ধারণ করে বসে গেছে। আবার অনেক জমিতে চার সাইড হলুদ লালচে হয়ে আছে। যেখানে রোগের আক্রমণ হয়েছে, সেখানে ধানের শীষ গজাবে না। কারন ধীরে ধীরে বসে গেছে, দূর করার কোন উপায় নেই। যার কারনে হতাশ হয়ে কৃষক রা রোগ দূর করতে না পেরে ফলনের আসা ছেড়ে দিয়েছেন।

লতিফ নামের এক কৃষক বলেন, প্রচন্ড খরার কারণে এরোগের আবির্ভাব। আমরা কোন সময় মাঠে কৃষি অফিসের লোকজন কে দেখিনি। আমরা পা ফাটা লুঙ্গি পরা কৃষক। সারা দিন মাঠে কাজ করি। কৃষি দপ্তরের কাছ মাঠে থাকা। কিন্তু তারাতো মাঠেই আসে না।

কমষকরা আরও বলেন, এবার রোপা আমন রোপনের সময় ও তার পর থেকে প্রচুর খরতাপের মধ্যে পড়ে রোপা আমনের জমি। সেচ পানি নিয়ে ধান গাছ কোন রকম বাছিয়ে রাখা হয়েছিল। খরার কারণে প্রচুর পরিমানে আগাছার জন্ম। এক বিঘা জমিতে আগাছা দূর করতে নিম্মে ৪ হাজার উর্ধ্বে ৬ হাজার টাকাও লেগেছে। রোপা আমন চাষাবাদ হয় রহমতের বৃষ্টির পানিতে। একারণে অন্য আবাদের চেয়ে খরচও কম হয়। কিন্তু এবারের চিত্র পুরোটাই উল্টো ছিল। রোপন করতে হয়েছে সেচের পানি দিয়ে এবং রোপণের পর কয়েকবার করে বিভিন্ন ভাবে সেচ দেয়া হয়েছিল। এছাড়াও কীটনাশক ও সারের বাড়তি দাম। সব মিলে অন্য বছরের তুলনায় দ্বিগুন খরচ গুনতে হয়েছে। কিন্তু সাতরা পোকার আক্রমণের কারণে ফলনের চরম বিপর্যয় ঘটবে। ধান গাছের বয়স আড়াই থেকে তিন মাস। এখন পর্যন্ত বিঘায় খরচ ১৪/১৬ হাজার টাকা।আদর্শ কৃষক নুর মোহাম্মদ বলেন, প্রচন্ড খরতাপের কারণে এরোগের সৃষ্টি। এটা সাতরা পোকার আক্রমণের কারণে পাতা হলুদ হয়ে বসে গেছে। জমির যেখানে এরোগের আক্রমণ হয়েছে সেখানে ফলন হবে না। বিশেষ করে উঁচু জমিতে এরোগের আক্রমণ ব্যাপক আকার ধারণ করেছে। এরোগের আক্রমণ দেখার সাথে সাথে সেখান কার ধান গাছ তুলে ফেলে নতুন ধানগাছ রোপন করতে হত। তাহলে ফলন পেত।

উপজেলা কৃষি অফিসার সাইফুল্লাহ আহম্মেদ বলেন, জিংক বা ক্রৃমির জন্য এধরণের রোগ হতে পারে। তবে জমিতে না গিয়ে বলা যাবে না। তাহলে কি এরোগ সম্পর্কে অবহিত না জানতে চাইলে তিনি বলেন, অজানা না কিছু কিছু জায়গায় গিয়েছি বলে দায় সারেন এই কর্মকর্তা। তিনি প্রতিদিন শহর থেকে অফিস করেন। অথচ প্রতিটি সময় কৃষকের পাশে থাকার জন্য সরকার থেকে গাড়ি দেয়া হয়েছে, প্রতিটি ইউনিয়নে মাঠ কর্মী থাকলেও কৃষকের জমিতে দেখা মিলেনা বলেও কৃষকদের অহরহ অভিযোগ। এবারে উপজেলায় ২১ হাজার ৪০০ হেক্টর জমিতে রোপা আমনের চাষাবাদ হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ফলন বিপর্যয়ের শঙ্কা

আপডেট সময় : ০৩:০৭:৩১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ অগাস্ট ২০২৫

 

তানোরে আমন খেতে সাতরা পোকার আক্রমণ
সোহানুল হক পারভেজ রাজশাহী বিভাগীয় প্রধান : রাজশাহীর তানোরে আমন খেতে সাতরা পোকার আক্রমণে ধান গাছের পাতা হলুদ রং হয়ে পড়েছে। শুধু হলুদ কালার না যেখানে এই পোকার আক্রমণ সেখানকার ধান গাছ নেই বললেই চলে। এরোগ থেকে ধান গাছের পাতা কে রক্ষা করতে বিভিন্ন কীটনাশক ব্যবহার করেও দূর করতে পারেন নি কৃষক রা। যে জমিতে এর আক্রমণ সেই জমিতে অর্ধেক ফলনও হবে না।

অপরদিকে রোগ দূর করতে কৃষি অফিস থেকে সঠিক পরামর্শ পায়নি কৃষকরা। একারণে রোগ দূর হয়নি, আস্তে আস্তে পুরো জমির ধান পুড়ে যাওয়ার মত অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। ফলে কৃষি অফিসের উদাসীনতার কারনে রোগ দূর করতে পারেন নি কৃষকরা।পৌর এলাকার সিন্দুকাই গ্রামের কৃষক তাইনুস বলেন, আমি ৮ বিঘা জমিতে রোপা আমন লাগিয়েছি। প্রায় জমিতে এরোগের প্রভাব পড়লেও তার মধ্যে এক বিঘা জমিতে এরোগ প্রচুর আকার ধারণ করেছে। পচন ও কারেন্ট পোকার বিষ দিয়েও দূর হয়নি। এখন পর্যন্ত কৃষি অফিসের লোকজনের কোন দেখাও পাওয়া যায়নি। একারণে রোগও দূর হয়নি এবং একবিঘা জমিতে খরচ হয়েছে প্রকার ভেদে ১২/১৪ হাজার টাকা।পৌর এলাকার গুবিরপাড়া গ্রামের কৃষক সাহেব আলী বলেন প্রায় জমিতে এরোগের প্রভাব দেখা দিয়েছে। আমার ১০ কাঠা জমিতে এরোগ হয়েছে, প্রথম দিকে মনে হয়েছিল কারেন্ট পোকা কিংবা পচন রোগের কারনে ধান গাছের পাতা হলুদ হয়ে পড়েছে। শুধু আমার না বড় ভাই মোস্তফার দেড় বিঘা জমিতে এরোগ, তসলিমের একবিঘা, কাবিলের, ১৫ কাঠা, জমিতে। এধরণের রোগ আগে কখনো দেখা যায়নি একারণে কারেন্ট পোক ও পচনের বিষ দেয়া হয়েছিল। কিন্তু রোগ দূর হওয়ার বিপরীতে দিনের দিন ধান গাছের পাতা পুড়ে যাচ্ছিল। এখন বসে গেছে, ফলন হবেনা।পাঁচন্দর ইউপির প্রানপুর পাঠাকাটা গ্রামের কৃষক কামরুল বলেন, প্রথম দিকে অল্প পরিমানে ধানগাছের পাতা হলুদ আকার ধারন করে। আমি ২০ বিঘা জমিতে রোপা আমন লাগিয়েছে, এর মধ্যে ১ বিঘা জমির ধানে এরোগ।

তিনি আরও বলেন জাহাঙ্গীরের ২ বিঘা, এরবান ৭ বিঘা জমিতে চাষাবাদ করেছে তার মধ্যে দেড় বিঘায় এরোগ, রফিকের, ১৪ বিঘার মধ্যে একবিঘায়, আইনুল মাস্টার ৭ বিঘের মধ্যে দেড় বিঘায় রোগের আক্রমণ। রোগটি এবার প্রথম বলে মনে করছেন কৃষকরা। এজন্য তারা বুঝতেই পারেন নি কিভাবে রোগ দূর করতে হবে। অনেকে বালাইনাশক দোকানীর পরামর্শে বিষ দিয়েছেন, কিন্ত কোন ফল পায়নি।
সরেজমিনে দেখা যায়, তানোর থেকে মুন্ডুমালা পর্যন্ত জমি গুলোতে এরোগের প্রভাব প্রচুর পরিমানে। জমির মাঝে মাঝে ধানগাছের পাতা হলুদ আকার ধারণ করে বসে গেছে। আবার অনেক জমিতে চার সাইড হলুদ লালচে হয়ে আছে। যেখানে রোগের আক্রমণ হয়েছে, সেখানে ধানের শীষ গজাবে না। কারন ধীরে ধীরে বসে গেছে, দূর করার কোন উপায় নেই। যার কারনে হতাশ হয়ে কৃষক রা রোগ দূর করতে না পেরে ফলনের আসা ছেড়ে দিয়েছেন।

লতিফ নামের এক কৃষক বলেন, প্রচন্ড খরার কারণে এরোগের আবির্ভাব। আমরা কোন সময় মাঠে কৃষি অফিসের লোকজন কে দেখিনি। আমরা পা ফাটা লুঙ্গি পরা কৃষক। সারা দিন মাঠে কাজ করি। কৃষি দপ্তরের কাছ মাঠে থাকা। কিন্তু তারাতো মাঠেই আসে না।

কমষকরা আরও বলেন, এবার রোপা আমন রোপনের সময় ও তার পর থেকে প্রচুর খরতাপের মধ্যে পড়ে রোপা আমনের জমি। সেচ পানি নিয়ে ধান গাছ কোন রকম বাছিয়ে রাখা হয়েছিল। খরার কারণে প্রচুর পরিমানে আগাছার জন্ম। এক বিঘা জমিতে আগাছা দূর করতে নিম্মে ৪ হাজার উর্ধ্বে ৬ হাজার টাকাও লেগেছে। রোপা আমন চাষাবাদ হয় রহমতের বৃষ্টির পানিতে। একারণে অন্য আবাদের চেয়ে খরচও কম হয়। কিন্তু এবারের চিত্র পুরোটাই উল্টো ছিল। রোপন করতে হয়েছে সেচের পানি দিয়ে এবং রোপণের পর কয়েকবার করে বিভিন্ন ভাবে সেচ দেয়া হয়েছিল। এছাড়াও কীটনাশক ও সারের বাড়তি দাম। সব মিলে অন্য বছরের তুলনায় দ্বিগুন খরচ গুনতে হয়েছে। কিন্তু সাতরা পোকার আক্রমণের কারণে ফলনের চরম বিপর্যয় ঘটবে। ধান গাছের বয়স আড়াই থেকে তিন মাস। এখন পর্যন্ত বিঘায় খরচ ১৪/১৬ হাজার টাকা।আদর্শ কৃষক নুর মোহাম্মদ বলেন, প্রচন্ড খরতাপের কারণে এরোগের সৃষ্টি। এটা সাতরা পোকার আক্রমণের কারণে পাতা হলুদ হয়ে বসে গেছে। জমির যেখানে এরোগের আক্রমণ হয়েছে সেখানে ফলন হবে না। বিশেষ করে উঁচু জমিতে এরোগের আক্রমণ ব্যাপক আকার ধারণ করেছে। এরোগের আক্রমণ দেখার সাথে সাথে সেখান কার ধান গাছ তুলে ফেলে নতুন ধানগাছ রোপন করতে হত। তাহলে ফলন পেত।

উপজেলা কৃষি অফিসার সাইফুল্লাহ আহম্মেদ বলেন, জিংক বা ক্রৃমির জন্য এধরণের রোগ হতে পারে। তবে জমিতে না গিয়ে বলা যাবে না। তাহলে কি এরোগ সম্পর্কে অবহিত না জানতে চাইলে তিনি বলেন, অজানা না কিছু কিছু জায়গায় গিয়েছি বলে দায় সারেন এই কর্মকর্তা। তিনি প্রতিদিন শহর থেকে অফিস করেন। অথচ প্রতিটি সময় কৃষকের পাশে থাকার জন্য সরকার থেকে গাড়ি দেয়া হয়েছে, প্রতিটি ইউনিয়নে মাঠ কর্মী থাকলেও কৃষকের জমিতে দেখা মিলেনা বলেও কৃষকদের অহরহ অভিযোগ। এবারে উপজেলায় ২১ হাজার ৪০০ হেক্টর জমিতে রোপা আমনের চাষাবাদ হয়েছে।