সংবাদ শিরোনাম ::
তারেক রহমানের একত্রিশ দফার লিফলেট বিতরণ করেন আব্দুস সালাম তুহিন  চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ এর বিএনপির এমপি পদপ্রার্থী ইঞ্জিঃ মাসুদের বাড়ি -বাড়ি গিয়ে ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ ভুয়া ফেসবুক পেইজে গুজব ছড়ানোর প্রতিবাদ মহারাজপুর ইউপি চেয়ারম্যান রাজনের সুশাসনের ডাক: রাজশাহী-৫ এ জামায়াত প্রার্থী নুরজ্জামান লিটনের গণসংযোগ ও সমাবেশ। গোদাগাড়ীতে আটক সোনার বারকে ঘিরে ধোঁয়াশা তানোরে কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের মিলন মেলা নাইস গার্ডেন পার্কে অনুষ্ঠিত হবে আপনারা সকলে আমন্ত্রিত! গোমস্তাপুর আড্ডা থেকে নিখোঁজের দেড় মাসেও সন্ধান মেলেনি আজাহারের রাজশাহী-৬: বিএনপির মনোনয়ন যুদ্ধে এগিয়ে কে? বিদ্যুৎ সার্কিটে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে জামায়াতের সহায়তা প্রদান 📰 রাজশাহী-৫ আসনে গণজোয়ার: বেলপুকুরে জামায়াত প্রার্থীর নির্বাচনী প্রচারণা

খেলাফত ভাঙানো ও মুক্তিযোদ্ধা পরিচয় নিয়ে বিতর্কে নবীনগর জাতীয় পার্টির নেতা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৫:৪৬:১১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৫ বার পড়া হয়েছে
আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

এস এম অলিউল্লাহ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রতিনিধি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর পৌর এলাকার নারাণপুরে আধ্যাত্মিক সাধক ছাওয়াল শাহের খেলাফতের নাম ভাঙিয়ে প্রতারণার চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠেছে উপজেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোসলেম উদ্দিন মৃধার বিরুদ্ধে। একইসঙ্গে তাঁর মুক্তিযোদ্ধা পরিচয় নিয়েও দেখা দিয়েছে তীব্র বিতর্ক। এ ঘটনায় ছাওয়াল শাহের ছেলে জহিরুল আলম মিঠু সম্প্রতি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, জীবদ্দশায় ছাওয়াল শাহ কাউকে খেলাফত প্রদান করেননি। অথচ মোসলেম উদ্দিন মৃধা নিজেকে খেলাফতপ্রাপ্ত দাবি করে পোস্টার-ব্যানার ছাপান। প্রতিবছর ৬ জানুয়ারি ওরসের নামে ভক্তদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করছেন।

ছাওয়াল শাহের ছেলে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “আমার বাবা কারও হাতে খেলাফত দেননি। আমি উত্তরাধিকার সূত্রে গদিনিশিন। মৃধা ভুয়া দাবির মাধ্যমে মানুষকে বিভ্রান্ত করছেন।”

খেলাফতের ভুয়া দাবির পাশাপাশি মুক্তিযোদ্ধা পরিচয় নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার ছামছুল আলম শাহন বলেন, “মোসলেম উদ্দিন মৃধা আসলেই মুক্তিযোদ্ধা কিনা তা আমাদের জানা নেই। তবে গেজেট প্রকাশের সময় অনৈতিকভাবে তার নাম অন্তর্ভুক্ত করে তিনি বছরের পর বছর সরকারি ভাতা ও সুবিধা ভোগ করছেন। এটি প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য অপমানজনক।”

অভিযোগ অস্বীকার করে মোসলেম উদ্দিন মৃধা জানান, তাঁর বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ ভিত্তিহীন। তিনি বলেন, “আমি প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা, প্রমাণ আমার কাছে আছে। এসব ষড়যন্ত্র ছাড়া আর কিছুই নয়।”

নবীনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও বর্তমান মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার রাজীব চৌধুরী বলেন, “সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা কার্যালয়ে টাঙানো আছে। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

 

বার্তাপ্রেরক-

এস এম অলিউল্লাহ
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রতিনিধি
মোবাইল: ০১৭৫২৯৮৪৫২২

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

খেলাফত ভাঙানো ও মুক্তিযোদ্ধা পরিচয় নিয়ে বিতর্কে নবীনগর জাতীয় পার্টির নেতা

আপডেট সময় : ০৫:৪৬:১১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০২৫

 

এস এম অলিউল্লাহ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রতিনিধি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর পৌর এলাকার নারাণপুরে আধ্যাত্মিক সাধক ছাওয়াল শাহের খেলাফতের নাম ভাঙিয়ে প্রতারণার চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠেছে উপজেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোসলেম উদ্দিন মৃধার বিরুদ্ধে। একইসঙ্গে তাঁর মুক্তিযোদ্ধা পরিচয় নিয়েও দেখা দিয়েছে তীব্র বিতর্ক। এ ঘটনায় ছাওয়াল শাহের ছেলে জহিরুল আলম মিঠু সম্প্রতি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, জীবদ্দশায় ছাওয়াল শাহ কাউকে খেলাফত প্রদান করেননি। অথচ মোসলেম উদ্দিন মৃধা নিজেকে খেলাফতপ্রাপ্ত দাবি করে পোস্টার-ব্যানার ছাপান। প্রতিবছর ৬ জানুয়ারি ওরসের নামে ভক্তদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করছেন।

ছাওয়াল শাহের ছেলে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “আমার বাবা কারও হাতে খেলাফত দেননি। আমি উত্তরাধিকার সূত্রে গদিনিশিন। মৃধা ভুয়া দাবির মাধ্যমে মানুষকে বিভ্রান্ত করছেন।”

খেলাফতের ভুয়া দাবির পাশাপাশি মুক্তিযোদ্ধা পরিচয় নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার ছামছুল আলম শাহন বলেন, “মোসলেম উদ্দিন মৃধা আসলেই মুক্তিযোদ্ধা কিনা তা আমাদের জানা নেই। তবে গেজেট প্রকাশের সময় অনৈতিকভাবে তার নাম অন্তর্ভুক্ত করে তিনি বছরের পর বছর সরকারি ভাতা ও সুবিধা ভোগ করছেন। এটি প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য অপমানজনক।”

অভিযোগ অস্বীকার করে মোসলেম উদ্দিন মৃধা জানান, তাঁর বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ ভিত্তিহীন। তিনি বলেন, “আমি প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা, প্রমাণ আমার কাছে আছে। এসব ষড়যন্ত্র ছাড়া আর কিছুই নয়।”

নবীনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও বর্তমান মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার রাজীব চৌধুরী বলেন, “সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা কার্যালয়ে টাঙানো আছে। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

 

বার্তাপ্রেরক-

এস এম অলিউল্লাহ
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রতিনিধি
মোবাইল: ০১৭৫২৯৮৪৫২২