সংবাদ শিরোনাম ::
তারেক রহমানের একত্রিশ দফার লিফলেট বিতরণ করেন আব্দুস সালাম তুহিন  চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ এর বিএনপির এমপি পদপ্রার্থী ইঞ্জিঃ মাসুদের বাড়ি -বাড়ি গিয়ে ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ ভুয়া ফেসবুক পেইজে গুজব ছড়ানোর প্রতিবাদ মহারাজপুর ইউপি চেয়ারম্যান রাজনের সুশাসনের ডাক: রাজশাহী-৫ এ জামায়াত প্রার্থী নুরজ্জামান লিটনের গণসংযোগ ও সমাবেশ। গোদাগাড়ীতে আটক সোনার বারকে ঘিরে ধোঁয়াশা তানোরে কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের মিলন মেলা নাইস গার্ডেন পার্কে অনুষ্ঠিত হবে আপনারা সকলে আমন্ত্রিত! গোমস্তাপুর আড্ডা থেকে নিখোঁজের দেড় মাসেও সন্ধান মেলেনি আজাহারের রাজশাহী-৬: বিএনপির মনোনয়ন যুদ্ধে এগিয়ে কে? বিদ্যুৎ সার্কিটে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে জামায়াতের সহায়তা প্রদান 📰 রাজশাহী-৫ আসনে গণজোয়ার: বেলপুকুরে জামায়াত প্রার্থীর নির্বাচনী প্রচারণা

তানোর খাদ্য অফিসের খন্ডকালিন ঝাড়ুদারের দাপটে কর্মকর্তাগণ অতিষ্ঠ!

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৫:২৩:১৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৯ বার পড়া হয়েছে
আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

সোহানুল হক পারভেজ রাজশাহী বিভাগীয় প্রধান : রাজশাহীর তানোর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ের খন্ডকালিন ঝাড়ুদার পদের কর্মচারী মাসুদ রানার বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। তিনি অফিস খন্ডকালিন ঝড়ুদার পদে চাকুরী করলেও, তার দাপটে কর্মকর্তা ও মিলার, ডিলার, সংবাদকর্মী সহ এলাকার সুবিধাভোগীরা রীতিমতো অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে।

খাদ্য বান্ধব সুবিধাভোগীর কার্ড প্রদানে সরকারি বরাদ্দ রয়েছে, সেখানে প্রতি কার্ডে ১০০ থেকে ২০০ টাকা মাসুদ রানা ঘুষ গ্রহন করে থাকেন। এছাড়াও খাদ্য বান্ধব ডিলারদের কাছ থেকে ডিও, প্রতি ৫০০ টাকা টন অফিস নামে সে উৎকোচ গ্রহনের পর ডিও প্রদান করে থাকেন। খাদ্য অফিসে আগত চালকল মিলারদের কোন ফাইল টাকা ছাড়া কাজ করেন না! ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করে বলেন যে, খন্ড-কালিন ঝাড়ুদার মাসুদ সবার কাছে অফিসার মাসুদ নামে পরিচয় দেই, খন্ডকালিন ঝাড়ুদার পদে চাকরি করে অফিস কক্ষের দরজার উপর তার নামের নেম প্লেট লাগিয়ে রেখেছে।
তানোর উপজেলা খাদ্য অফিসে আগত সবার কাজে ক্রটি থাক বা নাই থাক প্রতিটি কাজে তাকে ঘুষ দিতে হচ্ছে।

খন্ডকালিন ঝাড়ুদার মাসুদ রানা রীতি মতো অফিসে চেয়ার টেবিল নিয়ে ফাইল পত্রের সকল কাজ করেন। অফিসে আগত সবাই তাকে খন্ডকালিন ঝাড়ুদার নয় (টিসিএফ) মাসুদ বলে ডাকেন, তিনি চেয়ার-টেবিলে বসে কর্মকর্তার মতোই কাজ করছেন। সবাই তাকে কর্মকর্তা বলেই জানেন। তিনি প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তার মতো রাজশাহী শহর থেকে যাতায়াত করেন। তার যাতায়াতের খরচ ডিলার ও মিলারদের বহন করতে হয় বলেও অভিযোগ উঠেছে। তার এসব অপকর্মের অভিযোগ একাধিক বার (টিসিএফ) শেখ মলিউজ্জামান কে জানানোর পরেও রহস্যজনক কারণে কোনো ব্যাবস্থা নেওয়া হয় না, এখানও সে বহাল তবিওতে রয়েছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির এক ডিলার বলেন, প্রতিটি ডিও নিতে তাকে আনুঃপাতিক হারে উৎকোচ দিতে হয়। এছাড়াও খাদ্যগুদামের কর্মকর্তাদের বিভিন্ন ফাইল আটকে রেখে টাকা আদায় করা হয়। এবিষয়ে মিলারগণ সংশ্লিষ্ট বিভাগের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

এবিষয়ে জানতে চাইলে মাসুদ রানা এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার করা হচ্ছে একটি গোষ্ঠী তার কাছে অবৈধ সুবিধা না পেয়ে তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার করছে।

এবিষয়ে তানোর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা (টিসিএফ) মলিউজ্জামান সজিব বলেন, অনেকে তার বিরুদ্ধে মৌখিক অভিযোগ করেছে,
তিনি বলেন, লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত পদক্ষেপ নেয়া হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

তানোর খাদ্য অফিসের খন্ডকালিন ঝাড়ুদারের দাপটে কর্মকর্তাগণ অতিষ্ঠ!

আপডেট সময় : ০৫:২৩:১৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫

 

সোহানুল হক পারভেজ রাজশাহী বিভাগীয় প্রধান : রাজশাহীর তানোর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ের খন্ডকালিন ঝাড়ুদার পদের কর্মচারী মাসুদ রানার বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। তিনি অফিস খন্ডকালিন ঝড়ুদার পদে চাকুরী করলেও, তার দাপটে কর্মকর্তা ও মিলার, ডিলার, সংবাদকর্মী সহ এলাকার সুবিধাভোগীরা রীতিমতো অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে।

খাদ্য বান্ধব সুবিধাভোগীর কার্ড প্রদানে সরকারি বরাদ্দ রয়েছে, সেখানে প্রতি কার্ডে ১০০ থেকে ২০০ টাকা মাসুদ রানা ঘুষ গ্রহন করে থাকেন। এছাড়াও খাদ্য বান্ধব ডিলারদের কাছ থেকে ডিও, প্রতি ৫০০ টাকা টন অফিস নামে সে উৎকোচ গ্রহনের পর ডিও প্রদান করে থাকেন। খাদ্য অফিসে আগত চালকল মিলারদের কোন ফাইল টাকা ছাড়া কাজ করেন না! ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করে বলেন যে, খন্ড-কালিন ঝাড়ুদার মাসুদ সবার কাছে অফিসার মাসুদ নামে পরিচয় দেই, খন্ডকালিন ঝাড়ুদার পদে চাকরি করে অফিস কক্ষের দরজার উপর তার নামের নেম প্লেট লাগিয়ে রেখেছে।
তানোর উপজেলা খাদ্য অফিসে আগত সবার কাজে ক্রটি থাক বা নাই থাক প্রতিটি কাজে তাকে ঘুষ দিতে হচ্ছে।

খন্ডকালিন ঝাড়ুদার মাসুদ রানা রীতি মতো অফিসে চেয়ার টেবিল নিয়ে ফাইল পত্রের সকল কাজ করেন। অফিসে আগত সবাই তাকে খন্ডকালিন ঝাড়ুদার নয় (টিসিএফ) মাসুদ বলে ডাকেন, তিনি চেয়ার-টেবিলে বসে কর্মকর্তার মতোই কাজ করছেন। সবাই তাকে কর্মকর্তা বলেই জানেন। তিনি প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তার মতো রাজশাহী শহর থেকে যাতায়াত করেন। তার যাতায়াতের খরচ ডিলার ও মিলারদের বহন করতে হয় বলেও অভিযোগ উঠেছে। তার এসব অপকর্মের অভিযোগ একাধিক বার (টিসিএফ) শেখ মলিউজ্জামান কে জানানোর পরেও রহস্যজনক কারণে কোনো ব্যাবস্থা নেওয়া হয় না, এখানও সে বহাল তবিওতে রয়েছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির এক ডিলার বলেন, প্রতিটি ডিও নিতে তাকে আনুঃপাতিক হারে উৎকোচ দিতে হয়। এছাড়াও খাদ্যগুদামের কর্মকর্তাদের বিভিন্ন ফাইল আটকে রেখে টাকা আদায় করা হয়। এবিষয়ে মিলারগণ সংশ্লিষ্ট বিভাগের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

এবিষয়ে জানতে চাইলে মাসুদ রানা এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার করা হচ্ছে একটি গোষ্ঠী তার কাছে অবৈধ সুবিধা না পেয়ে তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার করছে।

এবিষয়ে তানোর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা (টিসিএফ) মলিউজ্জামান সজিব বলেন, অনেকে তার বিরুদ্ধে মৌখিক অভিযোগ করেছে,
তিনি বলেন, লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত পদক্ষেপ নেয়া হবে।