সুবর্ণচরে ধরা ছোঁয়ার বাইরে পতিতা ব্যবসার মূল হোতারা,
- আপডেট সময় : ০৪:০২:২০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ৮৩ বার পড়া হয়েছে

আহসান হাবীব স্টাফ রিপোর্টার
মাদকের পাশাপাশি পুরুষকে ধ্বংস করতে পারে একমাত্র নারীর দেহ ব্যবসা, দেহ ব্যবসার কবলে পড়ে ধ্বংস হচ্ছে যুবসমাজ, উঠতি বয়সের তরুণ, বাদ পড়ছে না বৃদ্ধরাও।
নোয়াখালী সুবর্ণচর উপজেলার ১নং চরজব্বর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড অংকুরাজের পরিত্যক্ত ঘরে দীর্ঘদিন যাবৎ চলে আসছে নারী দেহ ব্যবসা, বিভিন্ন জায়গা থেকে নারী এনে চালানো হচ্ছে অসামাজিক কার্যকলাপ, যেন এ এক মিনি পতিতালয়।
গত ১৬ সেপ্টেম্বর (মঙ্গলবার) রাত আনুমানিক ১২ টার দিকে পতিতা নিয়ে অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত থাকা অবস্থায় পতিতাসহ জনতার হাতে আটক হয়েছে একই এলাকার বদিউল আলমের পুত্র আবুল কাশেম (৫০)।
জানা গেছে, এ ঘটনায় একই এলাকার মোঃ হানিফ এর পুত্র আহছান উল্যাহ (৪০), রাবেন্দ্র নাথের পুত্র স্বদেপ দেবনাথ (৪২), ধজেন্দ্র দেবনাথের পুত্র সেম্পু দেবনাথ (৪০) জড়িত রয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয়রা খদ্দের এবং পতিতাকে ঘটনাস্থল থেকে ভাঙা পোল নামক স্থানে নিয়ে আসলে আবুল মাঝি গো সমাজের সভাপতি হারুন মিয়া, মৃত সফি উল্যাহ’র পুত্র জসিম উদ্দিনসহ আরো অনেকেই বিচারের নামে প্রহসন করেন। থানা পুলিশকে খবর না দিয়ে রহস্যজনক কারণে পতিতা এবং খদ্দের আবুল কাশেমকে ছেড়ে দেয়।
স্থানীয় গোপন সুত্রে জানা যায়, কালুর পুত্র রাকিব পতিতার কাছে থাকা মোবাইলফোন টি ছিনিয়ে নেয়, গাল কাটা সুজন নামের আরেক বখাটে পতিতার টাকা পয়সা নিয়ে যায়। রাকিবের বিরুদ্ধে মাদক, অস্ত্র কিশোর গ্যাং পরিচালনাসহ নানান অবৈধ কর্মকান্ডের অভিযোগ করেছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকার একাধিক ব্যাক্তি।
ঘটনার পরের দিন হিন্দু সমাজের সভাপতি বিকাশ অসামাজিক কার্যকলাপের সাথে জড়িত থাকার অপরাধে সেম্পু দেবনাথ ও স্বদেব দেববাথকে বিশটি করে বেত্রাঘাত করে এবং ৫ হাজার টাকা করে জরিমানার রায় প্রদান করেন।
সমাজের সভাপতি হারুন মিয়া ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, অসামাজিক কাজে জড়িত থাকার অভিযোগে মহিলা ও পুরুষকে লোকজন ধরে এনেছে, সমাজের সভাপতি হিসেবে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করি। থানা পুলিশকে খবর দেওয়ার আগেই উপস্থিত কিছু লোকজনের ইন্ধনে অপরাধীগন পালিয়ে যায়।
এ বিষয়ে চরজব্বর ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান আবু কাউছার জানান, বিষয়টি আমি পরের দিন জেনেছি, প্রশাসনকে না জানিয়ে এভাবে অসামাজিক কার্যকলাপের বিচার কেউ করতে পারে না।
চরজব্বর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ মিয়া জানান, বিষয়টি আমি শুনেছি, এ ধরনের অসামাজিক কার্যকলাপের কারণে এলাকার যুব সমাজ ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে, এই জঘন্য অপরাধের বিচার সামাজিক ভাবে করার কারো এখতিয়ার নেই, তাদেরকে থানা পুলিশের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা উচিৎ ছিল, তাহলে সমাজে অপরাধ প্রবণতা অনেকাংশে কমে যেতো।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চরজব্বর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ শাহীন মিয়া জানান, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে, তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।



















