সংবাদ শিরোনাম ::
তারেক রহমানের একত্রিশ দফার লিফলেট বিতরণ করেন আব্দুস সালাম তুহিন  চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ এর বিএনপির এমপি পদপ্রার্থী ইঞ্জিঃ মাসুদের বাড়ি -বাড়ি গিয়ে ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ ভুয়া ফেসবুক পেইজে গুজব ছড়ানোর প্রতিবাদ মহারাজপুর ইউপি চেয়ারম্যান রাজনের সুশাসনের ডাক: রাজশাহী-৫ এ জামায়াত প্রার্থী নুরজ্জামান লিটনের গণসংযোগ ও সমাবেশ। গোদাগাড়ীতে আটক সোনার বারকে ঘিরে ধোঁয়াশা তানোরে কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের মিলন মেলা নাইস গার্ডেন পার্কে অনুষ্ঠিত হবে আপনারা সকলে আমন্ত্রিত! গোমস্তাপুর আড্ডা থেকে নিখোঁজের দেড় মাসেও সন্ধান মেলেনি আজাহারের রাজশাহী-৬: বিএনপির মনোনয়ন যুদ্ধে এগিয়ে কে? বিদ্যুৎ সার্কিটে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে জামায়াতের সহায়তা প্রদান 📰 রাজশাহী-৫ আসনে গণজোয়ার: বেলপুকুরে জামায়াত প্রার্থীর নির্বাচনী প্রচারণা

তানোরে বিএনপির বিরুদ্ধে একাধিক মামলা, ভোটের আগে প্রত্যাহারের দাবি

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০২:১৭:১৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৯ বার পড়া হয়েছে
আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

সোহানুল হক পারভেজ রাজশাহী বিভাগীয় প্রধান : রাজশাহীর তানোরে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে হত্যাসহ বিএনপির বিরুদ্ধে বিএনপির একাধিক মামলায় জর্জরিত নেতাকর্মীরা। এসব মামলা আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগে প্রত্যাহারের জোর দাবি তুলেছেন সিনিয়র নেতা থেকে শুরু করে মামলার আসামী ও তৃনমূলের নেতাকর্মীরা। তা না হলে জাতীয় নির্বাচনে বিরুপ প্রভাব পড়বে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। ফলে আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগে মামলা প্রত্যাহার করে দলে ঐক্য ফিরিয়ে আনতে কেন্দ্রীয় ও জেলা এবং মনোনয়ন প্রত্যাশীদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

জানা গেছে, গত রমজান মাসে উপজেলার পাঁচন্দর ইউনিয়ন বিএনপির ইফতার মাহফিলের প্রধান অতিথি মেজর জেনারেল (অব) শরিফ উদ্দিন কে বরণ করা নিয়ে ইউপি বিএনপির সভাপতি প্রভাষক মজিবুর রহমান ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মমিনুল হক মমিন গ্রুপের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রামেক হাসপাতালে মমিনের ভাই বিএনপি কর্মী গানিউল মারা যান। এঘটনায় মমিন বাদী হয়ে ইউপি সভাপতি প্রভাষক মজিবুর রহমান ও সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান মিজানকে প্রধান করে মামলা দায়ের করেন। মামলায় উচ্চ আদালত থেকে জামিন পেলেও নিম্ন আদালতে মিজান ছাড়া সবাই কে কারা বরণ করতে হয়। অথচ ওই ইফতার মাহফিলে মিজান অতিথি হিসেবে ছিলেন। অনেক অতিথি থাকলেও মিজানকে আসামী করা নিয়েও ব্যাপক সমালোচনা হয়।
এছাড়াও রমজান মাসের শেষের দিকে চান্দুড়িয়া ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান মফিজ উদ্দিনের আয়োজনে দেওতলা স্কুলে ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। ইফতার মাহফিল শেষে রাতৈল গ্রামে গভীর নলকূপের দখল, সেচ সংক্রান্ত ঘটনা ও চাঁদা বাজিকে কেন্দ্র করে মফিজ এবং ইউপি সভাপতি আজাদ গ্রুপের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে নেকচার নামের একজন নিহত হন। মফিজ গ্রুপের লোকজন নেকচারকে কৃষক দলের কর্মী দাবি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় আসামীরা জেলও খাটেন। তবে আজাদ গ্রুপের নেতাকর্মী দের দাবি নেকচার চান্দুড়িয়া ইউপির ৭ নম্বর ওয়ার্ড আ”লীগের যুগ্ম সম্পাদক ছিলেন এবং তাকে সরকারি বাড়ি দেয়া হয়েছিল। নেকচারের মা দাবি করেন নেকচারের জায়গার উপর সরকারি বাড়ি থাকলেও সেটি আমাদের নামে। তবে তাদের নামে কোন কাগজপত্র দেখাতে পারেনি। মারপিটের ঘটনায় তিনটি মামলা দায়ের করা হয়।

এছাড়াও কামারগাঁ ইউনিয়ন ইউপির ১ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপি নেতা সাইফুল কে বিএনপির আরেক অংশের লোকজন বেধড়ক পিটিয়ে টাকা ছিনিয়ে নেয়। এঘটনায় তিন টি মামলা দায়ের করা হয়। মামলায় সব আসামীরা জামিনে থাকলেও কোর্টে নিয়োমিত হাজিরা দিতে হচ্ছে।

তৃনমূলর ভাষ্য, নিজ দলের আধিপত্য বিস্তার বা তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মারপিট ও হত্যার মত ঘটনা কল্পনাতীত। হত্যার পর অনেকে মামলা বানিজ্য শুরু করেছেন। নিজ দলের কর্মীর হাতে নিজ দলের কর্মীরা নিরাপদ হয়নি। তবে হত্যার পর উভয় পক্ষকে নিয়ে বসে মিমাংসা করতে পারত সিনিয়র নেতারা। সেটা না করে মামলা বানিজ্যে জড়িয়ে পড়ে। এক পক্ষ আরেক পক্ষ কে ঘায়েল করতে মরিয়া হয়ে পড়ে। এসব কারনে প্রতিটি ইউনিয়ন থেকে শুরু করে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে চরম বিভক্ত। এঅবস্থায় আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগে মামলা প্রত্যাহারসহ দল কে সুসংগঠিত করতে না পারলে মহা বিপদে পড়বে। কারন অন্য দল চরমভাবে এগিয়ে চলেছে। নির্বাচন কে সামনে রেখে যাবতীয় সব কাজ করছে। আর বিএনপি মামলা হাজিরা নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। এখনই সময় সবকিছু ভূলে ঐক্য ফিরিয়ে আনা।

একাধিক সিনিয়র নেতারা জানান, আগামী জাতীয় নির্বাচনে দলকে ঐক্যবদ্ধ করতে হলে সকল মামলা প্রত্যাহারের ব্যবস্থা করতে হবে। তানাহলে ভোটে চরম প্রভাব পড়বে। বিএনপি বৃহত্তর দল লবিংগ্রুপিং থাকবেই। কিন্তু হত্যার মত ঘটনা লজ্জা জনক। যেহেতু নিজেদের মধ্যেই হত্যা মামলা হয়েছে। সুতরাং নিজেরাই বসে মিমাংসা করে মামলা, বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে ভোটের আগেই এক কাতারে আসার জন্য জেলা বা সংশ্লিষ্ট দায়িত্ব প্রাপ্ত নেতাদের জরুরি ভাবে হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

তানোরে বিএনপির বিরুদ্ধে একাধিক মামলা, ভোটের আগে প্রত্যাহারের দাবি

আপডেট সময় : ০২:১৭:১৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫

 

সোহানুল হক পারভেজ রাজশাহী বিভাগীয় প্রধান : রাজশাহীর তানোরে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে হত্যাসহ বিএনপির বিরুদ্ধে বিএনপির একাধিক মামলায় জর্জরিত নেতাকর্মীরা। এসব মামলা আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগে প্রত্যাহারের জোর দাবি তুলেছেন সিনিয়র নেতা থেকে শুরু করে মামলার আসামী ও তৃনমূলের নেতাকর্মীরা। তা না হলে জাতীয় নির্বাচনে বিরুপ প্রভাব পড়বে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। ফলে আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগে মামলা প্রত্যাহার করে দলে ঐক্য ফিরিয়ে আনতে কেন্দ্রীয় ও জেলা এবং মনোনয়ন প্রত্যাশীদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

জানা গেছে, গত রমজান মাসে উপজেলার পাঁচন্দর ইউনিয়ন বিএনপির ইফতার মাহফিলের প্রধান অতিথি মেজর জেনারেল (অব) শরিফ উদ্দিন কে বরণ করা নিয়ে ইউপি বিএনপির সভাপতি প্রভাষক মজিবুর রহমান ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মমিনুল হক মমিন গ্রুপের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রামেক হাসপাতালে মমিনের ভাই বিএনপি কর্মী গানিউল মারা যান। এঘটনায় মমিন বাদী হয়ে ইউপি সভাপতি প্রভাষক মজিবুর রহমান ও সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান মিজানকে প্রধান করে মামলা দায়ের করেন। মামলায় উচ্চ আদালত থেকে জামিন পেলেও নিম্ন আদালতে মিজান ছাড়া সবাই কে কারা বরণ করতে হয়। অথচ ওই ইফতার মাহফিলে মিজান অতিথি হিসেবে ছিলেন। অনেক অতিথি থাকলেও মিজানকে আসামী করা নিয়েও ব্যাপক সমালোচনা হয়।
এছাড়াও রমজান মাসের শেষের দিকে চান্দুড়িয়া ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান মফিজ উদ্দিনের আয়োজনে দেওতলা স্কুলে ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। ইফতার মাহফিল শেষে রাতৈল গ্রামে গভীর নলকূপের দখল, সেচ সংক্রান্ত ঘটনা ও চাঁদা বাজিকে কেন্দ্র করে মফিজ এবং ইউপি সভাপতি আজাদ গ্রুপের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে নেকচার নামের একজন নিহত হন। মফিজ গ্রুপের লোকজন নেকচারকে কৃষক দলের কর্মী দাবি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় আসামীরা জেলও খাটেন। তবে আজাদ গ্রুপের নেতাকর্মী দের দাবি নেকচার চান্দুড়িয়া ইউপির ৭ নম্বর ওয়ার্ড আ”লীগের যুগ্ম সম্পাদক ছিলেন এবং তাকে সরকারি বাড়ি দেয়া হয়েছিল। নেকচারের মা দাবি করেন নেকচারের জায়গার উপর সরকারি বাড়ি থাকলেও সেটি আমাদের নামে। তবে তাদের নামে কোন কাগজপত্র দেখাতে পারেনি। মারপিটের ঘটনায় তিনটি মামলা দায়ের করা হয়।

এছাড়াও কামারগাঁ ইউনিয়ন ইউপির ১ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপি নেতা সাইফুল কে বিএনপির আরেক অংশের লোকজন বেধড়ক পিটিয়ে টাকা ছিনিয়ে নেয়। এঘটনায় তিন টি মামলা দায়ের করা হয়। মামলায় সব আসামীরা জামিনে থাকলেও কোর্টে নিয়োমিত হাজিরা দিতে হচ্ছে।

তৃনমূলর ভাষ্য, নিজ দলের আধিপত্য বিস্তার বা তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মারপিট ও হত্যার মত ঘটনা কল্পনাতীত। হত্যার পর অনেকে মামলা বানিজ্য শুরু করেছেন। নিজ দলের কর্মীর হাতে নিজ দলের কর্মীরা নিরাপদ হয়নি। তবে হত্যার পর উভয় পক্ষকে নিয়ে বসে মিমাংসা করতে পারত সিনিয়র নেতারা। সেটা না করে মামলা বানিজ্যে জড়িয়ে পড়ে। এক পক্ষ আরেক পক্ষ কে ঘায়েল করতে মরিয়া হয়ে পড়ে। এসব কারনে প্রতিটি ইউনিয়ন থেকে শুরু করে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে চরম বিভক্ত। এঅবস্থায় আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগে মামলা প্রত্যাহারসহ দল কে সুসংগঠিত করতে না পারলে মহা বিপদে পড়বে। কারন অন্য দল চরমভাবে এগিয়ে চলেছে। নির্বাচন কে সামনে রেখে যাবতীয় সব কাজ করছে। আর বিএনপি মামলা হাজিরা নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। এখনই সময় সবকিছু ভূলে ঐক্য ফিরিয়ে আনা।

একাধিক সিনিয়র নেতারা জানান, আগামী জাতীয় নির্বাচনে দলকে ঐক্যবদ্ধ করতে হলে সকল মামলা প্রত্যাহারের ব্যবস্থা করতে হবে। তানাহলে ভোটে চরম প্রভাব পড়বে। বিএনপি বৃহত্তর দল লবিংগ্রুপিং থাকবেই। কিন্তু হত্যার মত ঘটনা লজ্জা জনক। যেহেতু নিজেদের মধ্যেই হত্যা মামলা হয়েছে। সুতরাং নিজেরাই বসে মিমাংসা করে মামলা, বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে ভোটের আগেই এক কাতারে আসার জন্য জেলা বা সংশ্লিষ্ট দায়িত্ব প্রাপ্ত নেতাদের জরুরি ভাবে হস্তক্ষেপ কামনা করেন।