সংবাদ শিরোনাম ::
তারেক রহমানের একত্রিশ দফার লিফলেট বিতরণ করেন আব্দুস সালাম তুহিন  চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ এর বিএনপির এমপি পদপ্রার্থী ইঞ্জিঃ মাসুদের বাড়ি -বাড়ি গিয়ে ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ ভুয়া ফেসবুক পেইজে গুজব ছড়ানোর প্রতিবাদ মহারাজপুর ইউপি চেয়ারম্যান রাজনের সুশাসনের ডাক: রাজশাহী-৫ এ জামায়াত প্রার্থী নুরজ্জামান লিটনের গণসংযোগ ও সমাবেশ। গোদাগাড়ীতে আটক সোনার বারকে ঘিরে ধোঁয়াশা তানোরে কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের মিলন মেলা নাইস গার্ডেন পার্কে অনুষ্ঠিত হবে আপনারা সকলে আমন্ত্রিত! গোমস্তাপুর আড্ডা থেকে নিখোঁজের দেড় মাসেও সন্ধান মেলেনি আজাহারের রাজশাহী-৬: বিএনপির মনোনয়ন যুদ্ধে এগিয়ে কে? বিদ্যুৎ সার্কিটে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে জামায়াতের সহায়তা প্রদান 📰 রাজশাহী-৫ আসনে গণজোয়ার: বেলপুকুরে জামায়াত প্রার্থীর নির্বাচনী প্রচারণা

মান্দা কৃষি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির  বিস্তর অভিযোগ 

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৫:০২:৫৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১২৩ বার পড়া হয়েছে
আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

সোহানুল হক পারভেজ রাজশাহী বিভাগীয় প্রধান :রাজশাহীর তানোরের সীমান্তবর্তী  মান্দা উপজেলা  কৃষি কর্মকর্তা শায়লা শারমিনের বিরুদ্ধে বিস্তর অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
কৃষি কর্মকর্তার যোগসাজশে  ডিলারেরা নানা অজুহাতে সার সংকট দেখিয়ে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে দ্বিগুন দামে সার বিক্রি ও  ওজনে কারচুপিসহ নানা অনিয়ম করছে। তিনি ২০২০ সালে মান্দায় যোগদান এবং চাকরি বিধি লঙ্ঘন করে কৃষি কর্মকর্তা দীর্ঘদিন একই স্থানে কর্মরত থাকায় সিন্ডিকেটের সঙ্গে তার গভীর সখ্যতা রয়েছে।কৃষকেরা দ্রুত তার অপসারণ দাবি করেন। প্রকারভেদে বস্তা প্রতি তিন থেকে চারশ টাকা অতিরিক্ত দামে সার কিনতে হয় কৃষকদের।অতিরিক্ত দামে সার কিনে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ছে কৃষকরা। সচেতন মহলের অভিযোগ,কৃষি অফিস এবং ডিলার সিন্ডিকেটের ফাঁদে কৃষক কাঁদে। নানা অব্যবস্থাপনা আর কৃষি কর্মকর্তাদের উদাসীনতায় এমন সিন্ডিকেটের খুঁট গেড়েছে একশ্রেণীর ডিলার। দেশের ৮০ শতাংশ মানুষ কৃষির উপর নির্ভরশীল তাই দ্রুত কৃষকদের বাঁচাতে এ দুর্নীতিবাজ কৃষি কর্মকর্তা ও ডিলারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের (ইউপি) বটতলা এলাকার কৃষক শামসুল ইসলাম এবং স্বপন কুমার অভিযোগ করে বলেন, ভাই ভাই ট্রেডার্স ডিলারের কাছে গিয়ে কখনোই সার পাওয়া যায় না, নানা অজুহাতে এখন নয় তখন তখন নয় কাল আসেন বলে ঘুরায়। কিন্তু ১৩৫০ টাকা বস্তা ইউরিয়া সার, ১৪৫০ টাকা ১৫০০ টাকা দিলে তারা সার দেয়। একই এলাকার কৃষক নজরুল ইসলাম ও আব্দুল মান্নান বলেন, ১০৫০ টাকার ডিএপি ১২৫০ টাকা না দিলে পাওয়া যায় না। বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য আব্দুস সালাম জানান, এই ডিলারের বিরুদ্ধে বহু অভিযোগ সে কারো কোনো কথাই শোনে না সময়মতো সার দেয় না এবং অতিরিক্ত দামে সার বিক্রি করে। অতিরিক্ত দামে সার বিক্রয়ের বিষয়ে সরেজমিন বিষ্ণুপুর ইউনিয়নে (ইউপি) গিয়ে ভাই ভাই ট্রেডার্স এর সত্তাধিকারী যুগল চন্দ্র মন্ডল বিসিআইসি ডিলার হলেও পরিচালনা করেন তার ভাই সুবল চন্দ্র মণ্ডল তিনি বলেন এগুলো গোপন কথা বলা হয় না আবার না বললেও চলে না, প্রতিমাসে কৃষি কর্মকর্তাকে দশ হাজার টাকা ঘুষ দিতে হয় এজন্য কিছু কিছু সময় অতিরিক্ত দামে সার বিক্রি করতে হয়। তিনি আরো বলেন চার মাসের চল্লিশ হাজার টাকা মাসোহারা বাকি ছিল এজন্য কৃষি কর্মকর্তা আমাকে হুমকিও দিয়েছেন। বিসিআইসির ডিলার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি জীবন কুমার কুন্ডু বলেন, ১৬ই ডিসেম্বর, ২৬ শে মার্চ ২১শে ফেব্রুয়ারি,পহেলা বৈশাখসহ নানা দিবসসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে প্রত্যেকটি ডিলারের কাছ থেকে আনুঃপাতিক হারে চাঁদা উত্তোলন করে কৃষি অফিসে দিতে হয়। কিন্তু অতিরিক্ত দামে সার বিক্রির বিষয়টি অস্বীকার করেন তিনি। পরানপুর ইউনিয়নের কৃষক সাইফুল ইসলাম, আব্দুর রাজ্জাক, হুমায়ুন বলেন ইরি বোরো মৌসুমী ডিলারের কাছে গিয়ে সার পাওয়া যায় না তাই বাধ্য হয়ে বাজার থেকে অতিরিক্ত দামে সার কিনতে হয়। চককানো গ্রামের কৃষক মোবারক হোসেন বলেন, ডিলারের কাছে সার পাওয়া যায় না সময় মত। আর যা পাওয়া যায় এতেও পাঁচ থেকে ছয় কেজি ওজনের কম থাকে প্রতি বস্তায়। প্রসাদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন মন্ডল বলেন, ডিলার পয়েন্টে নাকি কৃষকরা সার পায় না, পেলেও অতিরিক্ত দাম দিতে হয় এমন অভিযোগ প্রায়ই করে কৃষকরা। তেঁতুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোখলেসুর রহমান কামরুল বলেন, আমার ইউনিয়নের সাবাইহাট এলাকায় বেশ কয়েকটা ডিলার পয়েন্ট হয়েছে। কৃষকদের স্যার সময়মতো দেওয়া হয় না অথচ বাহিরে গাড়ি গাড়ি ছাড় বিক্রি হয়ে যাচ্ছে এ ধরনের অভিযোগ প্রায়ই কৃষকরা এসে করে থাকেন। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই প্রত্যেকটা এলাকায় মনিটরিং এর মাধ্যমে সিন্ডিকেটের মুখোশ উন্মোচন করে জনগণের স্বার্থে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এগিয়ে আসতে হবে।
অপরদিকে কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় ২৫-২৬ অর্থবছরের চাহিদা রয়েছে ইউরিয়া ১০ হাজার ২৭০ মেট্রিক টন, টিএসপি ২ হাজার ৪ মেট্রিক টন, ডিএপি ৫ হাজার ৫১২ মেট্রিক টন, এমওপি ৩ হাজার ৬৬০ মেট্রিক টন, জিপসাম, ১ হাজার ৯১০ মেট্রিক টন, জিংক সালফেট, ৬৪৩ মেট্রিক টন, ম্যাগনেসিয়াম, ৬১৯, মেট্রিক টন। মান্দায় ১৪ টি ইউনিয়নে ১৫ জন বিসিএইসি এবং ২০ জন বিএডিসি ডিলার রয়েছে। এসব ডিলারের মাধ্যমে উপজেলায় বিভিন্ন ফসলের জন্য সঠিক সময়ের কৃষকের কাছে সরকার নির্ধারিত মূল্যে সার বিক্রয়ের কথা থাকলেও কৃষি কর্মকর্তার যোগসাজশে সিন্ডিকেট করে অতিরিক্ত দামে সার বিক্রি করছে এমনটাই অভিযোগ কৃষকের। এসব অনিয়মের বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শায়লা শারমিনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সারের কোন সংকট নেই, তবে কিছু কিছু জায়গায় কৃত্রিম সংকটের দেখিয়ে অতিরিক্ত দামে সার বিক্রির খবর পেয়েছি। অনুসন্ধান চলছে দ্রুত সেগুলোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে প্রতিমাসে ডিলারদের কাছে ১০ হাজার করে টাকা মাসোহারা নেয়ার বিষয় তিনি মিথ্যা ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে দাবি করেন। এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আখতার জাহান সাথী বলেন, সার সংকট কিংবা অতিরিক্ত দামে সার বিক্রির অভিযোগ পেলে মোবাইল কোটের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এবিষয়ে নওগাঁ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক মেহেদুল ইসলাম জানান, জেলায় সারের যে চাহিদা এতে সংকটের কোন কারণ নেই। তবে কিছু কিছু জায়গায় ডিলার পয়েন্টে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। তদন্ত করে সেগুলো ব্যবস্থা নেয়া হবে। মান্দা কৃষি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে প্রতি মাসে মাসোহারা নেওয়ার অভিযোগ করেছেন কয়েকজন ডিলার। এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন এখন পর্যন্ত কোন লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি অভিযোগ পেলে অবশ্যই তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

মান্দা কৃষি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির  বিস্তর অভিযোগ 

আপডেট সময় : ০৫:০২:৫৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫

সোহানুল হক পারভেজ রাজশাহী বিভাগীয় প্রধান :রাজশাহীর তানোরের সীমান্তবর্তী  মান্দা উপজেলা  কৃষি কর্মকর্তা শায়লা শারমিনের বিরুদ্ধে বিস্তর অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
কৃষি কর্মকর্তার যোগসাজশে  ডিলারেরা নানা অজুহাতে সার সংকট দেখিয়ে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে দ্বিগুন দামে সার বিক্রি ও  ওজনে কারচুপিসহ নানা অনিয়ম করছে। তিনি ২০২০ সালে মান্দায় যোগদান এবং চাকরি বিধি লঙ্ঘন করে কৃষি কর্মকর্তা দীর্ঘদিন একই স্থানে কর্মরত থাকায় সিন্ডিকেটের সঙ্গে তার গভীর সখ্যতা রয়েছে।কৃষকেরা দ্রুত তার অপসারণ দাবি করেন। প্রকারভেদে বস্তা প্রতি তিন থেকে চারশ টাকা অতিরিক্ত দামে সার কিনতে হয় কৃষকদের।অতিরিক্ত দামে সার কিনে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ছে কৃষকরা। সচেতন মহলের অভিযোগ,কৃষি অফিস এবং ডিলার সিন্ডিকেটের ফাঁদে কৃষক কাঁদে। নানা অব্যবস্থাপনা আর কৃষি কর্মকর্তাদের উদাসীনতায় এমন সিন্ডিকেটের খুঁট গেড়েছে একশ্রেণীর ডিলার। দেশের ৮০ শতাংশ মানুষ কৃষির উপর নির্ভরশীল তাই দ্রুত কৃষকদের বাঁচাতে এ দুর্নীতিবাজ কৃষি কর্মকর্তা ও ডিলারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের (ইউপি) বটতলা এলাকার কৃষক শামসুল ইসলাম এবং স্বপন কুমার অভিযোগ করে বলেন, ভাই ভাই ট্রেডার্স ডিলারের কাছে গিয়ে কখনোই সার পাওয়া যায় না, নানা অজুহাতে এখন নয় তখন তখন নয় কাল আসেন বলে ঘুরায়। কিন্তু ১৩৫০ টাকা বস্তা ইউরিয়া সার, ১৪৫০ টাকা ১৫০০ টাকা দিলে তারা সার দেয়। একই এলাকার কৃষক নজরুল ইসলাম ও আব্দুল মান্নান বলেন, ১০৫০ টাকার ডিএপি ১২৫০ টাকা না দিলে পাওয়া যায় না। বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য আব্দুস সালাম জানান, এই ডিলারের বিরুদ্ধে বহু অভিযোগ সে কারো কোনো কথাই শোনে না সময়মতো সার দেয় না এবং অতিরিক্ত দামে সার বিক্রি করে। অতিরিক্ত দামে সার বিক্রয়ের বিষয়ে সরেজমিন বিষ্ণুপুর ইউনিয়নে (ইউপি) গিয়ে ভাই ভাই ট্রেডার্স এর সত্তাধিকারী যুগল চন্দ্র মন্ডল বিসিআইসি ডিলার হলেও পরিচালনা করেন তার ভাই সুবল চন্দ্র মণ্ডল তিনি বলেন এগুলো গোপন কথা বলা হয় না আবার না বললেও চলে না, প্রতিমাসে কৃষি কর্মকর্তাকে দশ হাজার টাকা ঘুষ দিতে হয় এজন্য কিছু কিছু সময় অতিরিক্ত দামে সার বিক্রি করতে হয়। তিনি আরো বলেন চার মাসের চল্লিশ হাজার টাকা মাসোহারা বাকি ছিল এজন্য কৃষি কর্মকর্তা আমাকে হুমকিও দিয়েছেন। বিসিআইসির ডিলার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি জীবন কুমার কুন্ডু বলেন, ১৬ই ডিসেম্বর, ২৬ শে মার্চ ২১শে ফেব্রুয়ারি,পহেলা বৈশাখসহ নানা দিবসসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে প্রত্যেকটি ডিলারের কাছ থেকে আনুঃপাতিক হারে চাঁদা উত্তোলন করে কৃষি অফিসে দিতে হয়। কিন্তু অতিরিক্ত দামে সার বিক্রির বিষয়টি অস্বীকার করেন তিনি। পরানপুর ইউনিয়নের কৃষক সাইফুল ইসলাম, আব্দুর রাজ্জাক, হুমায়ুন বলেন ইরি বোরো মৌসুমী ডিলারের কাছে গিয়ে সার পাওয়া যায় না তাই বাধ্য হয়ে বাজার থেকে অতিরিক্ত দামে সার কিনতে হয়। চককানো গ্রামের কৃষক মোবারক হোসেন বলেন, ডিলারের কাছে সার পাওয়া যায় না সময় মত। আর যা পাওয়া যায় এতেও পাঁচ থেকে ছয় কেজি ওজনের কম থাকে প্রতি বস্তায়। প্রসাদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন মন্ডল বলেন, ডিলার পয়েন্টে নাকি কৃষকরা সার পায় না, পেলেও অতিরিক্ত দাম দিতে হয় এমন অভিযোগ প্রায়ই করে কৃষকরা। তেঁতুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোখলেসুর রহমান কামরুল বলেন, আমার ইউনিয়নের সাবাইহাট এলাকায় বেশ কয়েকটা ডিলার পয়েন্ট হয়েছে। কৃষকদের স্যার সময়মতো দেওয়া হয় না অথচ বাহিরে গাড়ি গাড়ি ছাড় বিক্রি হয়ে যাচ্ছে এ ধরনের অভিযোগ প্রায়ই কৃষকরা এসে করে থাকেন। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই প্রত্যেকটা এলাকায় মনিটরিং এর মাধ্যমে সিন্ডিকেটের মুখোশ উন্মোচন করে জনগণের স্বার্থে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এগিয়ে আসতে হবে।
অপরদিকে কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় ২৫-২৬ অর্থবছরের চাহিদা রয়েছে ইউরিয়া ১০ হাজার ২৭০ মেট্রিক টন, টিএসপি ২ হাজার ৪ মেট্রিক টন, ডিএপি ৫ হাজার ৫১২ মেট্রিক টন, এমওপি ৩ হাজার ৬৬০ মেট্রিক টন, জিপসাম, ১ হাজার ৯১০ মেট্রিক টন, জিংক সালফেট, ৬৪৩ মেট্রিক টন, ম্যাগনেসিয়াম, ৬১৯, মেট্রিক টন। মান্দায় ১৪ টি ইউনিয়নে ১৫ জন বিসিএইসি এবং ২০ জন বিএডিসি ডিলার রয়েছে। এসব ডিলারের মাধ্যমে উপজেলায় বিভিন্ন ফসলের জন্য সঠিক সময়ের কৃষকের কাছে সরকার নির্ধারিত মূল্যে সার বিক্রয়ের কথা থাকলেও কৃষি কর্মকর্তার যোগসাজশে সিন্ডিকেট করে অতিরিক্ত দামে সার বিক্রি করছে এমনটাই অভিযোগ কৃষকের। এসব অনিয়মের বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শায়লা শারমিনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সারের কোন সংকট নেই, তবে কিছু কিছু জায়গায় কৃত্রিম সংকটের দেখিয়ে অতিরিক্ত দামে সার বিক্রির খবর পেয়েছি। অনুসন্ধান চলছে দ্রুত সেগুলোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে প্রতিমাসে ডিলারদের কাছে ১০ হাজার করে টাকা মাসোহারা নেয়ার বিষয় তিনি মিথ্যা ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে দাবি করেন। এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আখতার জাহান সাথী বলেন, সার সংকট কিংবা অতিরিক্ত দামে সার বিক্রির অভিযোগ পেলে মোবাইল কোটের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এবিষয়ে নওগাঁ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক মেহেদুল ইসলাম জানান, জেলায় সারের যে চাহিদা এতে সংকটের কোন কারণ নেই। তবে কিছু কিছু জায়গায় ডিলার পয়েন্টে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। তদন্ত করে সেগুলো ব্যবস্থা নেয়া হবে। মান্দা কৃষি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে প্রতি মাসে মাসোহারা নেওয়ার অভিযোগ করেছেন কয়েকজন ডিলার। এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন এখন পর্যন্ত কোন লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি অভিযোগ পেলে অবশ্যই তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।