সংবাদ শিরোনাম ::
তারেক রহমানের একত্রিশ দফার লিফলেট বিতরণ করেন আব্দুস সালাম তুহিন  চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ এর বিএনপির এমপি পদপ্রার্থী ইঞ্জিঃ মাসুদের বাড়ি -বাড়ি গিয়ে ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ ভুয়া ফেসবুক পেইজে গুজব ছড়ানোর প্রতিবাদ মহারাজপুর ইউপি চেয়ারম্যান রাজনের সুশাসনের ডাক: রাজশাহী-৫ এ জামায়াত প্রার্থী নুরজ্জামান লিটনের গণসংযোগ ও সমাবেশ। গোদাগাড়ীতে আটক সোনার বারকে ঘিরে ধোঁয়াশা তানোরে কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের মিলন মেলা নাইস গার্ডেন পার্কে অনুষ্ঠিত হবে আপনারা সকলে আমন্ত্রিত! গোমস্তাপুর আড্ডা থেকে নিখোঁজের দেড় মাসেও সন্ধান মেলেনি আজাহারের রাজশাহী-৬: বিএনপির মনোনয়ন যুদ্ধে এগিয়ে কে? বিদ্যুৎ সার্কিটে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে জামায়াতের সহায়তা প্রদান 📰 রাজশাহী-৫ আসনে গণজোয়ার: বেলপুকুরে জামায়াত প্রার্থীর নির্বাচনী প্রচারণা

তানোরে গোল্লাপাড়া হাটের জায়গায় দখল পাকা দোকান নির্মাণ

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৫:৪৩:০৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ৩৬ বার পড়া হয়েছে
আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

সোহানুল হক পারভেজ রাজশাহী বিভাগীয় প্রধান : রাজশাহীর তানোর পৌর সদরে কোটি টাকা মূল্যের জায়গা দখল করে পাকা দোকান নির্মাণ করেছেন জেলা কৃষক দলের নেতা আব্দুর রশিদ ও বাজার বনিক সমিতির নেতারা বলে অভিযোগ উঠেছে। মহাউৎসবে হাটের জায়গা প্লাট ফরম দখল করে স্থাপনা নির্মাণ হলেও রহস্য জনক কারনে নির্বিকার হয়ে আছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষরা। এতে করে একদিকে যেমন সরকার হারাচ্ছে রাজস্ব ঠিক একই ভাবে সবকিছু দখল হওয়ার কারনে প্রকৃত ব্যবসায়ীদের মাঝে বাড়ছে ক্ষোভ। বিগত স্বৈরাচার সরকারের সময় একই কায়দায় দলীয় নেতারা হাটের জায়গা নিয়ে রমরমা বানিজ্য করেছেন। সেই একই কায়দায় এখন দলীয় নেতারা দখল নিয়ে বানিজ্যে মেতে উঠেছেন।

সরেজমিনে দেখা যায়, গোল্লাপাড়া খাদ্য গুদামে যাওয়ার আরসিসি রাস্তার উত্তর দিকে বনিক সমিতির কার্যালয়ের সামনে গ্যারেজের নাম করে পাকা দোকান নির্মাণ করে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ভাড়া দিয়েছে। ওই ঘরের পূর্ব দিকে জেলা কৃষক দলের যুগ্ম আহবায়ক কুঠিপাড়া গ্রামের আব্দুর রশিদ পাকা দোকান নির্মাণ করে ভাড়া দিয়েছে। এছাড়াও পাবলিক টয়লেট ঘেষে পূর্ব দিকে বিএনপির দলীয় কার্যালয় নির্মান করা হয়েছে। হাটের বিশাল আয়তনের  জায়গা দখল করে বিগত স্বৈরাচার সরকারের সময় দলীয় কার্যালয় নির্মান করা হয়। সরকারি বরাদ্দে ওই সময় আ”লীগের পার্টি অফিস নির্মাণ করা হয়েছিল। তবে পাকা ওয়ালে টিন দিয়ে ছাওয়া আছে। পতনের পর টিনগুলো ভাঙা অবস্থায় রয়েছে। পার্টি অফিস ঘেষে টিনের দোকান দেয়া হয়েছে।

হাটের ভিতরে প্লাট ফরমের ফাকা জায়গাগুলো ঘিরে ফেলে প্রদীপসহ অনেকে। হাটের তীল পরিমান জায়গা ফাঁকা নেই। কোন জায়গা ফাঁকা থাকলেই রাতারাতি ঘর নির্মাণ হয়ে পড়ছে। যেন জায়গাগুলো হাট কর্তৃপক্ষের। এর আগেও দলীয় প্রভাবে একজনের নামে কয়েকটি ঘর বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। সেই ঘরের পজিশন বিক্রি পর্যন্ত করা হয়েছে বা এখনো হচ্ছে। সরকারের জায়গা হলেও ইজারাদার, দলীয় নেতা ও বনিক সমিতিই মুল কারিগর।

তানোর সদর তহসিল অফিসের নায়েব তানভীর জানান, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ নির্দেশ দিলে সে মোতাবেক কাজ করা হবে। কারন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ ছাড়া কিছুই করনীয় নাই।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

তানোরে গোল্লাপাড়া হাটের জায়গায় দখল পাকা দোকান নির্মাণ

আপডেট সময় : ০৫:৪৩:০৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫

 

সোহানুল হক পারভেজ রাজশাহী বিভাগীয় প্রধান : রাজশাহীর তানোর পৌর সদরে কোটি টাকা মূল্যের জায়গা দখল করে পাকা দোকান নির্মাণ করেছেন জেলা কৃষক দলের নেতা আব্দুর রশিদ ও বাজার বনিক সমিতির নেতারা বলে অভিযোগ উঠেছে। মহাউৎসবে হাটের জায়গা প্লাট ফরম দখল করে স্থাপনা নির্মাণ হলেও রহস্য জনক কারনে নির্বিকার হয়ে আছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষরা। এতে করে একদিকে যেমন সরকার হারাচ্ছে রাজস্ব ঠিক একই ভাবে সবকিছু দখল হওয়ার কারনে প্রকৃত ব্যবসায়ীদের মাঝে বাড়ছে ক্ষোভ। বিগত স্বৈরাচার সরকারের সময় একই কায়দায় দলীয় নেতারা হাটের জায়গা নিয়ে রমরমা বানিজ্য করেছেন। সেই একই কায়দায় এখন দলীয় নেতারা দখল নিয়ে বানিজ্যে মেতে উঠেছেন।

সরেজমিনে দেখা যায়, গোল্লাপাড়া খাদ্য গুদামে যাওয়ার আরসিসি রাস্তার উত্তর দিকে বনিক সমিতির কার্যালয়ের সামনে গ্যারেজের নাম করে পাকা দোকান নির্মাণ করে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ভাড়া দিয়েছে। ওই ঘরের পূর্ব দিকে জেলা কৃষক দলের যুগ্ম আহবায়ক কুঠিপাড়া গ্রামের আব্দুর রশিদ পাকা দোকান নির্মাণ করে ভাড়া দিয়েছে। এছাড়াও পাবলিক টয়লেট ঘেষে পূর্ব দিকে বিএনপির দলীয় কার্যালয় নির্মান করা হয়েছে। হাটের বিশাল আয়তনের  জায়গা দখল করে বিগত স্বৈরাচার সরকারের সময় দলীয় কার্যালয় নির্মান করা হয়। সরকারি বরাদ্দে ওই সময় আ”লীগের পার্টি অফিস নির্মাণ করা হয়েছিল। তবে পাকা ওয়ালে টিন দিয়ে ছাওয়া আছে। পতনের পর টিনগুলো ভাঙা অবস্থায় রয়েছে। পার্টি অফিস ঘেষে টিনের দোকান দেয়া হয়েছে।

হাটের ভিতরে প্লাট ফরমের ফাকা জায়গাগুলো ঘিরে ফেলে প্রদীপসহ অনেকে। হাটের তীল পরিমান জায়গা ফাঁকা নেই। কোন জায়গা ফাঁকা থাকলেই রাতারাতি ঘর নির্মাণ হয়ে পড়ছে। যেন জায়গাগুলো হাট কর্তৃপক্ষের। এর আগেও দলীয় প্রভাবে একজনের নামে কয়েকটি ঘর বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। সেই ঘরের পজিশন বিক্রি পর্যন্ত করা হয়েছে বা এখনো হচ্ছে। সরকারের জায়গা হলেও ইজারাদার, দলীয় নেতা ও বনিক সমিতিই মুল কারিগর।

তানোর সদর তহসিল অফিসের নায়েব তানভীর জানান, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ নির্দেশ দিলে সে মোতাবেক কাজ করা হবে। কারন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ ছাড়া কিছুই করনীয় নাই।