৩৫ বছর পর রাজশাহীতে রাকসু নির্বাচন: উৎসবমুখর পরিবেশে জনতার ঢল, স্বাগত জানাতে উপস্থিত নুরুজ্জামান লিটন
- আপডেট সময় : ০৩:৪৪:৪৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫ ৪৯ বার পড়া হয়েছে

🖋 স্টাফ রিপোর্টার: আবু রায়হান
📅 ১৬ অক্টোবর ২০২৫
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে ৩৫ বছর পর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে রাকসু (রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ) নির্বাচন। নির্বাচনকে ঘিরে পুরো ক্যাম্পাস ও আশপাশের এলাকাজুড়ে বিরাজ করছে উৎসবমুখর পরিবেশ। সাধারণ ছাত্রছাত্রী থেকে শুরু করে সাবেক শিক্ষার্থী, রাজনৈতিক কর্মী ও বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষজনের আগ্রহ ও উদ্দীপনা চোখে পড়ার মতো।
এই ঐতিহাসিক মুহূর্ত স্বচক্ষে দেখতে আসা উৎসুক জনতার মাঝে একজন হয়ে উপস্থিত ছিলেন জামায়াত নেতা মুহাম্মদ নুরুজ্জামান লিটন । তিনি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর রাজশাহী জেলার অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি এবং রাজশাহী-৫ (দুর্গাপুর-পুঠিয়া) আসনে দলীয় এমপি পদপ্রার্থী হিসেবে মনোনীত।
নুরুজ্জামান লিটন বলেন,
> “রাকসু নির্বাচন শুধু ছাত্র রাজনীতির জন্যই নয়, দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার পুনর্জাগরণের একটি বড় মাইল ফলক। আমি এদিনটির সাক্ষী হতে পেরে গর্বিত।”
তিনি আরও বলেন,
> “আজকের শিক্ষার্থীরা আগামী দিনের নেতৃত্ব দেবে। রাকসুর মত একটি মঞ্চ থেকে যোগ্য নেতৃত্ব গড়ে উঠুক, সেটাই আমরা চাই।”
বিশ্লেষকরা বলছেন, রাকসু নির্বাচন পুনরায় চালুর মাধ্যমে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে গণতান্ত্রিক চর্চা ও ছাত্ররাজনীতির একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা হবে। এতে যেমন শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত হবে, তেমনি জাতীয় রাজনীতিতেও তরুণ নেতৃত্ব গড়ে ওঠার পথ সুগম হবে।
ছাত্রদের মাঝেও দেখা গেছে উচ্ছ্বাস। বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন ব্যানার-ফেস্টুন, র্যালি ও সাংস্কৃতিক পরিবেশনার মাধ্যমে পরিবেশকে প্রাণবন্ত করে তুলেছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী বলেন,
> “আমরা ইতিহাসের অংশ হতে পেরে গর্বিত। এই রাকসু নির্বাচন আমাদের কণ্ঠস্বরকে পৌঁছে দেবে প্রশাসনের কানে।”
রাজশাহী অঞ্চলে রাজনৈতিকভাবে সক্রিয় ব্যক্তিত্ব হিসেবে নুরুজ্জামান লিটনের সরব উপস্থিতি রাজনৈতিক মহলেও ইতিবাচক বার্তা দিচ্ছে বলে অনেকে মনে করছেন।
—
📍 শেষ কথা:
তিন দশকেরও বেশি সময় পর রাকসু নির্বাচন ফিরিয়ে আনা নিঃসন্দেহে একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। এই প্রক্রিয়াকে ঘিরে নতুন নেতৃত্বের উন্মেষ, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের চর্চা এবং তরুণ সমাজের আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে আনার সুযোগ তৈরি হয়েছে। রাজশাহীর রাজনৈতিক ও সামাজিক অঙ্গনেও এর প্রভাব সুদূরপ্রসারী হবে বলেই আশাবাদ ব্যক্ত করছেন সংশ্লিষ্টরা।


















