রাকসুতে নিরঙ্কুশ বিজয়ে শিবির, রাজশাহীতে নতুন অধ্যায়ের সূচনা
- আপডেট সময় : ০৫:১৬:৪৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৫ ৮৯ বার পড়া হয়েছে

স্টাফ রিপোর্টার: আবু রায়হান
রাজশাহী | ১৭ অক্টোবর ২০২৫
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনে ছাত্রশিবিরের নিরঙ্কুশ বিজয়ে রাজশাহীর রাজনীতিতে যেন নতুন এক ধারা বইতে শুরু করেছে। বহু বছর পর অনুষ্ঠিত এই নির্বাচনে শিবিরের এ জয় অনেককেই চমকে দিয়েছে, আবার কারও কাছে এটি সুপরিকল্পিত সাংগঠনিক কৌশলের প্রত্যাশিত ফলাফল।
নির্বাচনের ঘোষিত ফলাফলে দেখা যায়, রাকসুর ২৩টি আসনের মধ্যে ২০টিতেই জয় পেয়েছে ইসলামী ছাত্রশিবির। বাকি ৩ টি আসনে জয়ী হয়েছেন স্বতন্ত্র ও বামধারার প্রার্থীরা। বিজয়ের এই রেকর্ড সংখ্যাগরিষ্ঠতা ছাত্র রাজনীতির মাঠে শিবিরের শক্তিশালী উপস্থিতি আবারও প্রমাণ করল।
বিশ্লেষকরা বলছেন, দীর্ঘদিন পর রাকসু নির্বাচন হওয়ায় সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে আগ্রহ ছিল ব্যাপক। ভোটদানে শিক্ষার্থীদের সরব উপস্থিতি এবং শিবিরের সুসংগঠিত ক্যাম্পেইন তাদের জয়কে সহজ করেছে।
ছাত্রশিবিরের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে
“এই জয় শুধু শিবিরের নয়, এটি সাধারণ শিক্ষার্থীদের আস্থার প্রতিফলন। আমরা ছাত্রদের অধিকার, শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ এবং নৈতিক নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠায় কাজ করে যাব।”
অন্যদিকে, নির্বাচনে পরাজিত বিভিন্ন সংগঠন অভিযোগ তুলেছে, নির্বাচনী প্রচারণায় তারা প্রশাসনিক সহায়তা পাননি এবং কিছু কেন্দ্রে নানান অনিয়মের অভিযোগও রয়েছে। তবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে এসব অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।
সাধারণ শিক্ষার্থীদের মতামত,
“জয়-পরাজয় বড় কথা নয়, আমরা চাই একটি সক্রিয় রাকসু, যারা আমাদের কথা বলবে, সমস্যার সমাধান করবে।”
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে সর্বশেষ রাকসু নির্বাচন হয়েছিল ১৯৮৯ সালে। দীর্ঘ ৩৬ বছর পর পুনরায় এই নির্বাচন আয়োজনকে কেন্দ্র করে ক্যাম্পাসে ছিল উত্তেজনা ও প্রত্যাশার মিশেল।
রাকসু নির্বাচনে শিবিরের এই নিরঙ্কুশ বিজয় রাজনীতির মাঠে এক গুরুত্বপূর্ণ বার্তা বহন করছে। এটি কেবল একটি সংগঠনের জয় নয়, বরং ছাত্র রাজনীতির নতুন পর্বের সূচনা—যেখানে সংগঠন, কৌশল ও যোগাযোগই মূল চাবিকাঠি হয়ে দাঁড়িয়েছে।


















