সংবাদ শিরোনাম ::
তারেক রহমানের একত্রিশ দফার লিফলেট বিতরণ করেন আব্দুস সালাম তুহিন  চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ এর বিএনপির এমপি পদপ্রার্থী ইঞ্জিঃ মাসুদের বাড়ি -বাড়ি গিয়ে ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ ভুয়া ফেসবুক পেইজে গুজব ছড়ানোর প্রতিবাদ মহারাজপুর ইউপি চেয়ারম্যান রাজনের সুশাসনের ডাক: রাজশাহী-৫ এ জামায়াত প্রার্থী নুরজ্জামান লিটনের গণসংযোগ ও সমাবেশ। গোদাগাড়ীতে আটক সোনার বারকে ঘিরে ধোঁয়াশা তানোরে কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের মিলন মেলা নাইস গার্ডেন পার্কে অনুষ্ঠিত হবে আপনারা সকলে আমন্ত্রিত! গোমস্তাপুর আড্ডা থেকে নিখোঁজের দেড় মাসেও সন্ধান মেলেনি আজাহারের রাজশাহী-৬: বিএনপির মনোনয়ন যুদ্ধে এগিয়ে কে? বিদ্যুৎ সার্কিটে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে জামায়াতের সহায়তা প্রদান 📰 রাজশাহী-৫ আসনে গণজোয়ার: বেলপুকুরে জামায়াত প্রার্থীর নির্বাচনী প্রচারণা

জেলা পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে এখনো তার রাজত্ব

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৪:২৪:০৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ৭৫ বার পড়া হয়েছে
আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

রাজশাহী
বিভাগীয় প্রধান,

রাজশাহী জেলা পুলিশের উদ্ধর্তন কর্মকর্তাদের চোখে ফাঁকি দিয়ে এখনো তিনি বহাল। পুলিশের পোশাক পরে নির্বিঘ্নে চালিয়ে যাচ্ছেন অপকর্ম। এমন একজন পুলিশের উপ পরিদর্শক (এস আই) ইব্রাহিম খলিল। যার বিপি ৭৫৯৫০০৯৬১০ তিনি আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে নৌকার বৌঠা বয়ে রাজশাহীর দুর্গাপুর থানায় এসে নানা অপকর্মের জন্ম দিলে ও এখনো তিনি বহাল। শুধু বহাল নয় তিনি এখনো প্রকাশ্যে মামলা হামলার ভয় দেখিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছেন মোটা অংকের অর্থ। গত ২ সেপ্টেম্বর পুলিশ মহাপরিদর্শকের নিকট লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন একজন ভুক্তভোগী। সেই অভিযোগে তিনি এস আই ইব্রাহিম খলিলের দারা হয়রানির এক লোম হর্ষক ঘটনা উল্লেখ করেছেন। দুর্গাপুরের একটি মারামারি মামলায় চার্জশিট নরমাল দেওয়ার কথা বলে তাকে থানায় ডেকে মোটা অংকের টাকা দাবি করেন। ভুক্তভোগী সেই ব্যক্তি জানান তিনি দুর্গাপুরে থাকেন না, রাজশাহীর বাসায় বসবাস করেন। তিনি মামলার ঘটনা সমন্ধে কিছুই জানতেন না পরে নোটিশের মাধ্যমে জেনেছেন। ভুক্তভোগী আরো জানান যদি মারামারির ঘটনার কোন সত্যতা থাকতো তাহলে দুর্গাপুর থানা মামলা গ্রহণ করতেন। একটি সিন্ডিকেট ঐ এলাকার একটি সংবাদ প্রকাশের ঘটনা নিয়ে আদালতে প্রতিহিংসা মুলক একটি মারামারি মামলা দায়ের করেন। সেই মামলার দায়িত্ব পান এস আই ইব্রাহিম খলিল। দীর্ঘ সময় পরে সেই মামলার চার্জশিট প্রদানের সময় তিনি ভুক্তভোগীকে ডেকে চার্জশিট নরমাল করতে অর্থ দাবি করেন। তার দাবিকৃত অর্থ না দিলে তিনি ইচ্ছেমতো ৩২৬ ধারায় আদালতে চার্জশিট প্রদান করেন। ভুক্তভোগী জানান যে মারামারির মামলায় তাকে আসামি করা হয়েছে সেই মামলার বাদীকে জড়িয়ে সাক্ষীদের উপর তিনি পুর্বেই জিডি করে রেখেছেন। কারণ একটি নিউজ সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে তারা পুর্বে থেকে হুমকি ধামকি প্রদান করছিলেন। মামলার বাদী সাক্ষী আওয়ামী লীগের ক্যাডার হয়ার কারণে নিজের নিরাপত্তার কথা ভেবে জিডি করে রেখেছিলেন। এস আই ইব্রাহিম আওয়ামী লীগের বিস্বস্ত চাটুদার হয়ার সুবাদে পক্ষ নিয়ে অর্থ না পেয়ে মনগড়া চার্জশিট প্রদান করেছেন। যেহেতু আইনী প্রক্রিয়ায় লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে, তাই পুলিশের উচ্চমহলের তদন্তে তার শাস্তি হবে বলে মনে করেন তিনি। অপর দিকে কেন আওয়ামীলীগের পক্ষে সক্রিয় হয়ে মনগড়া চার্জশিট প্রদান করলেন সেই বিষয় নিয়ে আদালতে মামলার প্রস্তুতি নিয়েছেন অভিযোগ কারি ব্যাক্তি। সরে জমিনে দুর্গাপুর উপজেলায় এস আই ইব্রাহিম খলিলের আওয়ামী দস্যুতা নিয়ে জানতে গেলে বেরিয়ে আসে চমক প্রদক সব তথ্য। শুধু একটি ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্যদের দলীয় মামলার ভয় দেখিয়ে হাতিয়ে নিয়েছেন কয়েক লক্ষ টাকা। তারা মুখোমুখি হয়েছেন সংবাদ চলমানের ক্যামেরার সামনে। এস আই ইব্রাহিমের অর্থ দাবির একাধিক প্রমান এসেছে গণমাধ্যম কর্মীদের হাতে, যা আগামী পর্বে প্রকাশ করা হবে। বি এন পি সমর্থীত একজন মাছ চাষী জানান ২০২৪ সালের মে মাসের দিকে আমি একটি ডোবা জায়গায় পুকুর খনন করছিলাম হটাৎ মাঝ রাতে আমার বাড়িতে পুলিশের গাড়ি নিয়ে আসেন এস আই ইব্রাহিম খলিল। আমি বাড়ি থেকে বের হয়ে তাকে দেখে চমকে উঠি যেহেতু বি এন পি করি, যদি কোন মামলায় ফাঁসিয়ে দেয়। তিনি আমাকে ডাব গাছের গড়ায় নিয়ে বলেন ওসিকে বিঘা প্রতি ২০ হাজার দিয়েছেন আমি জানি, কিন্তু আমাকে বিঘা প্রতি ৫ হাজার দিতে হবে। না হলে পুকুরে ভ্রাম্যমান হবে। তিনি আরো বলেন আমি দলীয় ছেলেদের দুর্গাপুরে দেখভাল করি এটা দলের নির্দেশ। আমি পরবে দিন উপজেলা চেয়ারম্যান নজরুলের নিকট বিষয় গুলো জানাই। তিনি আমাকে বলেন দেখ এমন দুই একজন দলীয় এস আই আমাদের আছে সে সক্রিয় একজন আওয়ামী লীগ তাকে খুশি কর। মনে কর আমি জানিনা। আমি ৪০ হাজার টাকা থানার গেটে গিয়ে চায়ের দোকানে তাকে দিয়ে আসি। দুর্গাপুর থানার একটি সুত্র জানান আওয়ামী সরকারের আমলে তিনি প্রেসিডিয়াম সদস্যের আত্নীয় পরিচয় দিতেন,এখন তিনি সুর পালটিয়ে নিয়েছেন। এস আই ইব্রাহিম খলিলের নিকটতম একজন এ এস আই জানান কনেষ্টবল থাকা কালিন সময় থেকে এস আই ইব্রাহিম খলিল বে পরোয়া। এর আগেও তিনি বিতর্কের জন্ম দিয়ে শাস্তি ভোগ করেছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

জেলা পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে এখনো তার রাজত্ব

আপডেট সময় : ০৪:২৪:০৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫

 

রাজশাহী
বিভাগীয় প্রধান,

রাজশাহী জেলা পুলিশের উদ্ধর্তন কর্মকর্তাদের চোখে ফাঁকি দিয়ে এখনো তিনি বহাল। পুলিশের পোশাক পরে নির্বিঘ্নে চালিয়ে যাচ্ছেন অপকর্ম। এমন একজন পুলিশের উপ পরিদর্শক (এস আই) ইব্রাহিম খলিল। যার বিপি ৭৫৯৫০০৯৬১০ তিনি আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে নৌকার বৌঠা বয়ে রাজশাহীর দুর্গাপুর থানায় এসে নানা অপকর্মের জন্ম দিলে ও এখনো তিনি বহাল। শুধু বহাল নয় তিনি এখনো প্রকাশ্যে মামলা হামলার ভয় দেখিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছেন মোটা অংকের অর্থ। গত ২ সেপ্টেম্বর পুলিশ মহাপরিদর্শকের নিকট লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন একজন ভুক্তভোগী। সেই অভিযোগে তিনি এস আই ইব্রাহিম খলিলের দারা হয়রানির এক লোম হর্ষক ঘটনা উল্লেখ করেছেন। দুর্গাপুরের একটি মারামারি মামলায় চার্জশিট নরমাল দেওয়ার কথা বলে তাকে থানায় ডেকে মোটা অংকের টাকা দাবি করেন। ভুক্তভোগী সেই ব্যক্তি জানান তিনি দুর্গাপুরে থাকেন না, রাজশাহীর বাসায় বসবাস করেন। তিনি মামলার ঘটনা সমন্ধে কিছুই জানতেন না পরে নোটিশের মাধ্যমে জেনেছেন। ভুক্তভোগী আরো জানান যদি মারামারির ঘটনার কোন সত্যতা থাকতো তাহলে দুর্গাপুর থানা মামলা গ্রহণ করতেন। একটি সিন্ডিকেট ঐ এলাকার একটি সংবাদ প্রকাশের ঘটনা নিয়ে আদালতে প্রতিহিংসা মুলক একটি মারামারি মামলা দায়ের করেন। সেই মামলার দায়িত্ব পান এস আই ইব্রাহিম খলিল। দীর্ঘ সময় পরে সেই মামলার চার্জশিট প্রদানের সময় তিনি ভুক্তভোগীকে ডেকে চার্জশিট নরমাল করতে অর্থ দাবি করেন। তার দাবিকৃত অর্থ না দিলে তিনি ইচ্ছেমতো ৩২৬ ধারায় আদালতে চার্জশিট প্রদান করেন। ভুক্তভোগী জানান যে মারামারির মামলায় তাকে আসামি করা হয়েছে সেই মামলার বাদীকে জড়িয়ে সাক্ষীদের উপর তিনি পুর্বেই জিডি করে রেখেছেন। কারণ একটি নিউজ সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে তারা পুর্বে থেকে হুমকি ধামকি প্রদান করছিলেন। মামলার বাদী সাক্ষী আওয়ামী লীগের ক্যাডার হয়ার কারণে নিজের নিরাপত্তার কথা ভেবে জিডি করে রেখেছিলেন। এস আই ইব্রাহিম আওয়ামী লীগের বিস্বস্ত চাটুদার হয়ার সুবাদে পক্ষ নিয়ে অর্থ না পেয়ে মনগড়া চার্জশিট প্রদান করেছেন। যেহেতু আইনী প্রক্রিয়ায় লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে, তাই পুলিশের উচ্চমহলের তদন্তে তার শাস্তি হবে বলে মনে করেন তিনি। অপর দিকে কেন আওয়ামীলীগের পক্ষে সক্রিয় হয়ে মনগড়া চার্জশিট প্রদান করলেন সেই বিষয় নিয়ে আদালতে মামলার প্রস্তুতি নিয়েছেন অভিযোগ কারি ব্যাক্তি। সরে জমিনে দুর্গাপুর উপজেলায় এস আই ইব্রাহিম খলিলের আওয়ামী দস্যুতা নিয়ে জানতে গেলে বেরিয়ে আসে চমক প্রদক সব তথ্য। শুধু একটি ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্যদের দলীয় মামলার ভয় দেখিয়ে হাতিয়ে নিয়েছেন কয়েক লক্ষ টাকা। তারা মুখোমুখি হয়েছেন সংবাদ চলমানের ক্যামেরার সামনে। এস আই ইব্রাহিমের অর্থ দাবির একাধিক প্রমান এসেছে গণমাধ্যম কর্মীদের হাতে, যা আগামী পর্বে প্রকাশ করা হবে। বি এন পি সমর্থীত একজন মাছ চাষী জানান ২০২৪ সালের মে মাসের দিকে আমি একটি ডোবা জায়গায় পুকুর খনন করছিলাম হটাৎ মাঝ রাতে আমার বাড়িতে পুলিশের গাড়ি নিয়ে আসেন এস আই ইব্রাহিম খলিল। আমি বাড়ি থেকে বের হয়ে তাকে দেখে চমকে উঠি যেহেতু বি এন পি করি, যদি কোন মামলায় ফাঁসিয়ে দেয়। তিনি আমাকে ডাব গাছের গড়ায় নিয়ে বলেন ওসিকে বিঘা প্রতি ২০ হাজার দিয়েছেন আমি জানি, কিন্তু আমাকে বিঘা প্রতি ৫ হাজার দিতে হবে। না হলে পুকুরে ভ্রাম্যমান হবে। তিনি আরো বলেন আমি দলীয় ছেলেদের দুর্গাপুরে দেখভাল করি এটা দলের নির্দেশ। আমি পরবে দিন উপজেলা চেয়ারম্যান নজরুলের নিকট বিষয় গুলো জানাই। তিনি আমাকে বলেন দেখ এমন দুই একজন দলীয় এস আই আমাদের আছে সে সক্রিয় একজন আওয়ামী লীগ তাকে খুশি কর। মনে কর আমি জানিনা। আমি ৪০ হাজার টাকা থানার গেটে গিয়ে চায়ের দোকানে তাকে দিয়ে আসি। দুর্গাপুর থানার একটি সুত্র জানান আওয়ামী সরকারের আমলে তিনি প্রেসিডিয়াম সদস্যের আত্নীয় পরিচয় দিতেন,এখন তিনি সুর পালটিয়ে নিয়েছেন। এস আই ইব্রাহিম খলিলের নিকটতম একজন এ এস আই জানান কনেষ্টবল থাকা কালিন সময় থেকে এস আই ইব্রাহিম খলিল বে পরোয়া। এর আগেও তিনি বিতর্কের জন্ম দিয়ে শাস্তি ভোগ করেছেন।