সংবাদ শিরোনাম ::
মসজিদ থেকে তুলে নিয়ে মারধরের পর উল্টো সন্ত্রাসীদের থানায় মিথ্যা অভিযোগের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন চলতি মৌসুমে গোমস্তাপুরে ১২ হাজার ৩ শত জন কৃষক পাবে বিনামূল্যে বীজ ও রাসায়নিক সার গোমস্তাপুরে আইন শৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত তানোরে অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ি পরিদর্শন করলেন বিএনপি নেতা হযরত আলী চাঁপাইনবাবগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজে অনলাইন পেমেন্ট সেবা চালু রাজশাহী মডেল প্রেসক্লাব নির্বাচনে আলোচনার কেন্দ্রে এশিয়ান টিভির প্রতিনিধি সোহাগ আলী ধানের শীষের বিজয়ের লক্ষ্যে শিবগঞ্জে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত পদ্মার খেয়াঘাটে অল্পের জন্য রক্ষা পেলেন ১৫০ জন যাত্রী চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৫ দিন ব্যাপী শিল্প উদ্যোক্তা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ কোর্সের শুভ উদ্বোধন তারেক রহমানের একত্রিশ দফার লিফলেট বিতরণ করেন আব্দুস সালাম তুহিন 

ইমাম মোঃ খুশবর আলীর চিরবিদায় – এক যুগান্তকারী অধ্যায়ের অবসান

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৫:৫৯:১৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ৮৯ বার পড়া হয়েছে
আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

স্টাফ রিপোর্টার: আবু রায়হান
তারিখ: ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, দুর্গাপুর, রাজশাহী

রাজশাহী জেলার দুর্গাপুর উপজেলার ঝালুকা ইউনিয়নের বর্দ্ধনপুর গ্রাম আজ এক গভীর শোকের আবহে আচ্ছন্ন। গ্রামের প্রাণপ্রিয় জামে মসজিদের ইমাম, মোঃ খুশবর আলী, যিনি প্রায় ৫৫ বছর ধরে নিষ্ঠা ও দায়িত্বশীলতার সঙ্গে ইমামতির পবিত্র দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন, তিনি আজ চিরবিদায় নিলেন।

সম্প্রতি হঠাৎ স্ট্রোক করায় তাঁকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসকদের আপ্রাণ চেষ্টার পরও শেষরক্ষা হয়নি। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।

একজন ইমাম নয়, ছিলেন গ্রামের অভিভাবক

মোঃ খুশবর আলী শুধু একজন ইমাম ছিলেন না, তিনি ছিলেন পুরো গ্রামের আস্থার প্রতীক, ধর্মীয় শিক্ষার বাতিঘর এবং নৈতিকতার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। পাঁচ দশকের বেশি সময় ধরে তিনি গ্রামের প্রতিটি প্রজন্মকে ইসলামের আলোয় আলোকিত করেছেন, জানাজা পড়ানো থেকে শুরু করে ধর্মীয় নানা বিষয়ের জটিল প্রশ্নের জবাব দিয়ে গেছেন নিরবিচারে।

তাঁর মুখে ছিল দোয়ার মাধুর্য, হৃদয়ে ছিল মানুষের ভালোবাসা

ইমাম সাহেবের কণ্ঠে কুরআনের তিলাওয়াত শুনে প্রভাত শুরু করত গ্রামের মানুষ। তাঁর দোয়া যেন ছিল বাতাসে ভেসে বেড়ানো শান্তির পরশ। নামাজে তাঁর উপস্থিতি ছিল আত্মার খোরাক। শিশুরা তাঁকে ভয় নয়, ভালোবাসতো। যুবকরা তাঁর কাছে খুঁজে পেতেন দিকনির্দেশনা। প্রবীণদের কাছে তিনি ছিলেন শ্রদ্ধার পাত্র।

শেষ জানাজায় জনসমুদ্র

আজ শুক্রবার বেলা ১১টাই অনুষ্ঠিত হয় তাঁর জানাজা নামাজ, যেখানে শুধুমাত্র বর্দ্ধনপুর গ্রাম নয়, আশপাশের অনেক গ্রাম থেকেও হাজারো মানুষ অংশ নেয়। মসজিদ প্রাঙ্গণ উপচে পড়ে মানুষের ঢলে। অনেকেই চোখের জল ধরে রাখতে পারেননি – কারণ তারা জানেন, একজন যুগান্তকারী মানুষ চলে গেছেন, যাঁর শূন্যতা সহজে পূরণ হবার নয়।

একটি ইতিহাসের শেষ, কিন্তু অনুপ্রেরণার শুরু

মোঃ খুশবর আলীর ইন্তেকালে বর্দ্ধনপুর গ্রামে যে শূন্যতা সৃষ্টি হয়েছে, তা পূরণযোগ্য নয়। কিন্তু তাঁর রেখে যাওয়া আদর্শ, সেবা, নৈতিকতা ও ধর্মীয় দীক্ষা পরবর্তী প্রজন্মকে পথ দেখাবে বহু বছর।

পরিবারের পক্ষ থেকে সবার দোয়া কামনা করা হয়েছে। আল্লাহ তাআলা যেন তাঁকে জান্নাতুল ফেরদৌস নসিব করেন। আমিন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ইমাম মোঃ খুশবর আলীর চিরবিদায় – এক যুগান্তকারী অধ্যায়ের অবসান

আপডেট সময় : ০৫:৫৯:১৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫

 

স্টাফ রিপোর্টার: আবু রায়হান
তারিখ: ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, দুর্গাপুর, রাজশাহী

রাজশাহী জেলার দুর্গাপুর উপজেলার ঝালুকা ইউনিয়নের বর্দ্ধনপুর গ্রাম আজ এক গভীর শোকের আবহে আচ্ছন্ন। গ্রামের প্রাণপ্রিয় জামে মসজিদের ইমাম, মোঃ খুশবর আলী, যিনি প্রায় ৫৫ বছর ধরে নিষ্ঠা ও দায়িত্বশীলতার সঙ্গে ইমামতির পবিত্র দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন, তিনি আজ চিরবিদায় নিলেন।

সম্প্রতি হঠাৎ স্ট্রোক করায় তাঁকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসকদের আপ্রাণ চেষ্টার পরও শেষরক্ষা হয়নি। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।

একজন ইমাম নয়, ছিলেন গ্রামের অভিভাবক

মোঃ খুশবর আলী শুধু একজন ইমাম ছিলেন না, তিনি ছিলেন পুরো গ্রামের আস্থার প্রতীক, ধর্মীয় শিক্ষার বাতিঘর এবং নৈতিকতার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। পাঁচ দশকের বেশি সময় ধরে তিনি গ্রামের প্রতিটি প্রজন্মকে ইসলামের আলোয় আলোকিত করেছেন, জানাজা পড়ানো থেকে শুরু করে ধর্মীয় নানা বিষয়ের জটিল প্রশ্নের জবাব দিয়ে গেছেন নিরবিচারে।

তাঁর মুখে ছিল দোয়ার মাধুর্য, হৃদয়ে ছিল মানুষের ভালোবাসা

ইমাম সাহেবের কণ্ঠে কুরআনের তিলাওয়াত শুনে প্রভাত শুরু করত গ্রামের মানুষ। তাঁর দোয়া যেন ছিল বাতাসে ভেসে বেড়ানো শান্তির পরশ। নামাজে তাঁর উপস্থিতি ছিল আত্মার খোরাক। শিশুরা তাঁকে ভয় নয়, ভালোবাসতো। যুবকরা তাঁর কাছে খুঁজে পেতেন দিকনির্দেশনা। প্রবীণদের কাছে তিনি ছিলেন শ্রদ্ধার পাত্র।

শেষ জানাজায় জনসমুদ্র

আজ শুক্রবার বেলা ১১টাই অনুষ্ঠিত হয় তাঁর জানাজা নামাজ, যেখানে শুধুমাত্র বর্দ্ধনপুর গ্রাম নয়, আশপাশের অনেক গ্রাম থেকেও হাজারো মানুষ অংশ নেয়। মসজিদ প্রাঙ্গণ উপচে পড়ে মানুষের ঢলে। অনেকেই চোখের জল ধরে রাখতে পারেননি – কারণ তারা জানেন, একজন যুগান্তকারী মানুষ চলে গেছেন, যাঁর শূন্যতা সহজে পূরণ হবার নয়।

একটি ইতিহাসের শেষ, কিন্তু অনুপ্রেরণার শুরু

মোঃ খুশবর আলীর ইন্তেকালে বর্দ্ধনপুর গ্রামে যে শূন্যতা সৃষ্টি হয়েছে, তা পূরণযোগ্য নয়। কিন্তু তাঁর রেখে যাওয়া আদর্শ, সেবা, নৈতিকতা ও ধর্মীয় দীক্ষা পরবর্তী প্রজন্মকে পথ দেখাবে বহু বছর।

পরিবারের পক্ষ থেকে সবার দোয়া কামনা করা হয়েছে। আল্লাহ তাআলা যেন তাঁকে জান্নাতুল ফেরদৌস নসিব করেন। আমিন।