সংবাদ শিরোনাম ::
তারেক রহমানের একত্রিশ দফার লিফলেট বিতরণ করেন আব্দুস সালাম তুহিন  চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ এর বিএনপির এমপি পদপ্রার্থী ইঞ্জিঃ মাসুদের বাড়ি -বাড়ি গিয়ে ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ ভুয়া ফেসবুক পেইজে গুজব ছড়ানোর প্রতিবাদ মহারাজপুর ইউপি চেয়ারম্যান রাজনের সুশাসনের ডাক: রাজশাহী-৫ এ জামায়াত প্রার্থী নুরজ্জামান লিটনের গণসংযোগ ও সমাবেশ। গোদাগাড়ীতে আটক সোনার বারকে ঘিরে ধোঁয়াশা তানোরে কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের মিলন মেলা নাইস গার্ডেন পার্কে অনুষ্ঠিত হবে আপনারা সকলে আমন্ত্রিত! গোমস্তাপুর আড্ডা থেকে নিখোঁজের দেড় মাসেও সন্ধান মেলেনি আজাহারের রাজশাহী-৬: বিএনপির মনোনয়ন যুদ্ধে এগিয়ে কে? বিদ্যুৎ সার্কিটে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে জামায়াতের সহায়তা প্রদান 📰 রাজশাহী-৫ আসনে গণজোয়ার: বেলপুকুরে জামায়াত প্রার্থীর নির্বাচনী প্রচারণা

শিবগঞ্জে ছাগলে ফসল নষ্টের প্রতিবাদ করায় আমগাছ কেটে ফেলার অভিযোগ

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৪:০৯:২৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ এপ্রিল ২০২৫ ৭৫ বার পড়া হয়েছে
আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

হাবিবুল বারি হাবিব : চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে ছাগলের দ্বারা ফসল ও আমবাগানের ক্ষতি সাধনের প্রতিবাদ করায় আমগাছ কেটে ফেলার অভিযোগ উঠেছে । ভুক্তভোগী স্থানীয় শ্যামপুর ইউনিয়ন ৭ নাম্বার ওয়ার্ড বিএনপির সহ-সভাপতি ও চৌধুরী বংশীয় মো: মোহবুল হক জানান, দীর্ঘদিন থেকে এলাকার ঘোষ বংশের কিছু গরু-ছাগল আমার পৈতৃক সম্পত্তির উপরের ফসল নষ্ট করে আসছে, যার ধারাবাহিকতায় গত ১১ এপ্রিল ফসল নষ্টের সময় ৩ টি ছাগল ধরে রাখলে ঘোষ বংশের লোকজন আমার উপরে আক্রমণ করে ছাগল ছিনিয়ে নিয়ে যায় । এরপর আমার পরিবার ও এলাকার কিছু লোকজন আমাকে উদ্ধারে আসলে এক পর্যায়ে তা সংঘর্ষে পরিণত হয় এবং আমি সহ বেশ কয়েকজন আহত হই । সেই জেরে রাতেই তারা আমার জমির উপরের বেশ কিছু রূপালি আমের গাছ কেটে ফেলে যা অত্যন্ত দুঃখজনক ও অমানবিক । এসময় নষ্টকৃত আমগাছের ক্ষতিপূরণ ও সুষ্ঠু বিচার দাবী করেন ভুক্তভোগী বিএনপি নেতা মো: মোহবুল হক । সেই সাথে ঐ মাঠে নির্বিঘ্নে আম ও বিভিন্ন ফসল চাষের নিরাপত্তাও চান তিনি । এদিকে অপর পক্ষের ও ঘোষ বংশীয় মো: নাসির উদ্দীন আমগাছ কেটে ফেলার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমাদের ছাগল আটকে রাখলে আমরা তা ফেরত চাই এবং কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে সংঘর্ষ সৃষ্টি হয় । এতে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সাইফুল ইসলামের নেতৃত্বে বাড়িঘরে ভাংচুর, ককটেল বিস্ফোরণ ও কয়েকজন আহত হওয়ার দাবী করেন নাসির উদ্দীন । কিন্তু অপর পক্ষের মোহবুল হক তা অস্বীকার করে বলেন, ককটেল বিস্ফোরণ তারাই করেছে এবং বিষয়টিকে রাজনৈতিক দ্বন্দ্বে পরিণত করার অপচেষ্টা করলেও আসলে বিষয়টি রাজনৈতিক নয়, বরং এটি দীর্ঘদিনের বংশীয় জের । সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সাইফুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি সেই ঘটনায় উপস্থিত ছিলেন না বলে জানান । এদিকে বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে স্থানীয় শ্যামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো: রবিউল ইসলাম বলেন, প্রথমত চৌধুরী বংশীয় লোকজন আমাকে মৌখিকভাবে জানালে ও মীমাংসার আশা ব্যক্ত করলে সেই প্রেক্ষিতে আমি ঘোষ বংশের সাথে যোগাযোগ করে মীমাংসার চেষ্টা অব্যহত রেখেছি ।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

শিবগঞ্জে ছাগলে ফসল নষ্টের প্রতিবাদ করায় আমগাছ কেটে ফেলার অভিযোগ

আপডেট সময় : ০৪:০৯:২৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ এপ্রিল ২০২৫

 

হাবিবুল বারি হাবিব : চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে ছাগলের দ্বারা ফসল ও আমবাগানের ক্ষতি সাধনের প্রতিবাদ করায় আমগাছ কেটে ফেলার অভিযোগ উঠেছে । ভুক্তভোগী স্থানীয় শ্যামপুর ইউনিয়ন ৭ নাম্বার ওয়ার্ড বিএনপির সহ-সভাপতি ও চৌধুরী বংশীয় মো: মোহবুল হক জানান, দীর্ঘদিন থেকে এলাকার ঘোষ বংশের কিছু গরু-ছাগল আমার পৈতৃক সম্পত্তির উপরের ফসল নষ্ট করে আসছে, যার ধারাবাহিকতায় গত ১১ এপ্রিল ফসল নষ্টের সময় ৩ টি ছাগল ধরে রাখলে ঘোষ বংশের লোকজন আমার উপরে আক্রমণ করে ছাগল ছিনিয়ে নিয়ে যায় । এরপর আমার পরিবার ও এলাকার কিছু লোকজন আমাকে উদ্ধারে আসলে এক পর্যায়ে তা সংঘর্ষে পরিণত হয় এবং আমি সহ বেশ কয়েকজন আহত হই । সেই জেরে রাতেই তারা আমার জমির উপরের বেশ কিছু রূপালি আমের গাছ কেটে ফেলে যা অত্যন্ত দুঃখজনক ও অমানবিক । এসময় নষ্টকৃত আমগাছের ক্ষতিপূরণ ও সুষ্ঠু বিচার দাবী করেন ভুক্তভোগী বিএনপি নেতা মো: মোহবুল হক । সেই সাথে ঐ মাঠে নির্বিঘ্নে আম ও বিভিন্ন ফসল চাষের নিরাপত্তাও চান তিনি । এদিকে অপর পক্ষের ও ঘোষ বংশীয় মো: নাসির উদ্দীন আমগাছ কেটে ফেলার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমাদের ছাগল আটকে রাখলে আমরা তা ফেরত চাই এবং কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে সংঘর্ষ সৃষ্টি হয় । এতে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সাইফুল ইসলামের নেতৃত্বে বাড়িঘরে ভাংচুর, ককটেল বিস্ফোরণ ও কয়েকজন আহত হওয়ার দাবী করেন নাসির উদ্দীন । কিন্তু অপর পক্ষের মোহবুল হক তা অস্বীকার করে বলেন, ককটেল বিস্ফোরণ তারাই করেছে এবং বিষয়টিকে রাজনৈতিক দ্বন্দ্বে পরিণত করার অপচেষ্টা করলেও আসলে বিষয়টি রাজনৈতিক নয়, বরং এটি দীর্ঘদিনের বংশীয় জের । সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সাইফুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি সেই ঘটনায় উপস্থিত ছিলেন না বলে জানান । এদিকে বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে স্থানীয় শ্যামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো: রবিউল ইসলাম বলেন, প্রথমত চৌধুরী বংশীয় লোকজন আমাকে মৌখিকভাবে জানালে ও মীমাংসার আশা ব্যক্ত করলে সেই প্রেক্ষিতে আমি ঘোষ বংশের সাথে যোগাযোগ করে মীমাংসার চেষ্টা অব্যহত রেখেছি ।